অন্ধ্রপ্রদেশে কারখানার গ্যাস লিক হয়ে ৮ জনের মৃত্যু
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক হাজার মানুষ। কমপক্ষে ২০০ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রদেশের বিশাখাপত্তনমে এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, বিষাক্ত গ্যাসের কারণ মানুষ তার ঘরের মধ্যে, অলি-গলিতে অবচেতন হয়ে পড়ে ছিল। লকডাউনের কারণে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে বেগ পেতে হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, কারখানার আশপাশের তিনটি গ্রামের মানুষকে সরিয়ে নেওযা হচ্ছে এবং কেউ অবচেতন হয়ে আছেন কিনা এ জন্য ঘরে ঘরে চেক করা হচ্ছে।
বুধবার (৬ মে) দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটে গ্যাস লিক হওয়া শুরু হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় এক টুইট বার্তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
১৯৬১ সালে হিন্দুস্তান পলিমার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটিকে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেম অধিগ্রহণ করে। তারপরেই এই সংস্থাটির নতুন নাম হয় এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া।
বিশাখাপত্তনম পৌর করপোরেশন স্থানীয়দের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে একটি টু্ইট করেছে। তাতে বলা হয়, গোপালপতনমে এলজি পলিমারে ছিদ্র দেখা গেছে, সেখান থেকেই বিষাক্ত গ্যাস বাইরে এসেছে। সাধারণের সুরক্ষার্থে সবাইকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
বিশাখাপত্তনমের পুলিশ প্রধান মীনা জানিয়েছেন, গ্যাসটি অপসারণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে।
কারখানাটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ওই কারখানা থেকে যে গ্যাস লিক হচ্ছে তা রাত সাড়ে তিনটায় প্রথম টের পাওয়া যায়। কারখানার কাছাকাছি থাকা আরআর ভেঙ্কটাপুরাম গ্রামের বাসিন্দারাই প্রথম বুঝতে পারেন। বাসিন্দারা জানান, তাদের চোখ হঠাৎ করে খুব জ্বালা করছে ও শ্বাস-প্রশ্বাসে ভয়ঙ্কর কষ্ট হচ্ছে। এরপর অনেক অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।