প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে লুকালেন ট্রাম্প!
হোয়াইট হাউসের বাইরে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করার সময় প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে দেশটির ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৯ মে) রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তার কথা ভেবে ট্রাম্পকে মাটির নিচের বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা সিএনএনকে জানিয়েছে। এ সময় মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও তাদের ছেলে ব্যারনকেও বাঙ্কারে নেয়া হয়। তবে বাঙ্কারে তাদের বেশিক্ষণ রাখা হয়নি। বাঙ্কার থেকে ট্রাম্পকে ওপরে তোলার পরেও বেশ আতঙ্কে ছিলেন।
হোয়াইট হাউসের দিকে এগিয়ে আসা বিক্ষোভকারীদের মাঝপথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওয়াশিংটন পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের থামাতে না পেরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একপর্যায়ে বলপ্রয়োগ করে হটিয়ে দেয়।
এদিকে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রোববার (৩১ মে) শত শত মানুষ লন্ডন এবং বার্লিনের রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৫ মে) কারাগারে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে খুনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।