কঙ্গোতে ১৬ জনকে হত্যা করেছে মিলিশিয়া বাহিনী
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর উত্তর-পূর্বের একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৬ জনকে হত্যা করেছে মিলিশিয়া যোদ্ধারা। বুধবার (৩ জুন) এই জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হেনরি জুগা ট্রাইলো বলেন, বুধবার (৩ জুন) প্রথম প্রহরে ইতুরি প্রদেশের মূলত হেমা জাতিগোষ্ঠীর গ্রাম মৌসাতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারী কোডেকো মিলিশিয়ার অধিকাংশ সদস্য লেন্দু জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
ট্রাইলো জানান, হামলাকারীরা চারজন পুরুষ, ছয়জন নারী ও ছয়জন মেয়েকে হত্যা করেছে এবং বেশ কিছু ছাগল চুরি করে পালিয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র এবং জাতিসংঘের একজন সূত্র, বুনিয়া শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং উগান্ডা সীমান্তের নিকটস্থ এই গ্রামে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ কোডেকো সংঘটিত হত্যা, শিরচ্ছেদ, ধর্ষণ এবং অন্যান্য বর্বর কর্মকান্ড মানবতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়।
২০১৮ সালের জুন থেকে ইতুরি প্রদেশের হাজার হাজার মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ১২ লাখেরও বেশি মানুষ এখন বাস্তুহারা।
১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সোনা, হীরা এবং কোলতান খনি সমৃদ্ধ ইতুরি প্রদেশে দেশের অন্যতম কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে।
ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বে মূলত হেমা এবং লেন্দু গোষ্ঠীর বিদ্রোহী বাহিনী জাতিগত সহিংসতা শুরু করে। এরপর বেশ কয়েক বছর পরিস্থিতি শান্ত থাকার পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আবার পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। গত বছর শেষের দিকে সেনাবাহিনী জঙ্গিদের নির্মূল করার অভিযান শুরু করে। এই অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর একের পর এক পরিকল্পিত হামলার ফলে করোনাভাইরাস এবং ইবোলা মহামারি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।