চীনের কাঁচাবাজারে আবারও সংক্রমণ, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের একটি কাঁচাবাজার থেকে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১২ জুন) নতুন এ সংক্রমণ স্থল শনাক্তের পর সশস্ত্র পুলিশ কাঁচাবাজার ঘেরাও করে এবং এটি বন্ধ করে দেয়। বেইজিংয়ের ওই জেলাটিতে ‘যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে আন্তপ্রদেশীয় পর্যটনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বেইজিংকে নতুন করে লকডাউন করা আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির সংবাদদাতা স্টিফেন ম্যাকডোনেল এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বেইজিংয়ে একটি কাঁচাবাজার থেকে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শত শত সশস্ত্র পুলিশকে জিনফাডি নামে ওই পাইকারি বাজার বন্ধের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, আমদানি করা সালমন মাছ কাটার একটি চপিং বোর্ডে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এর অর্থ এই নয় যে, ভাইরাসটি মাছ থেকে এসেছে। এটি এমন হতে পারে যে, মাছ কাটা ব্যক্তিটি আগে থেকেই সংক্রমিত ছিল।
বেইজিংয়ের ফেঙ্গিটাই জেলার এক কর্মকর্তা বলেন, জেলার জিনফাদি নামক ওই কাঁচাবাজারের ৫১৭ জনকে টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জনের পিজিটিভ এসেছে।
তিনি আরও দাবি করেন, বেইজিংয়ের নতুন করোনাভাইরাস কেসগুলোর সবাই ওই কাঁচাবাজারের ছিল।
বেইজিং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের আধিকারিক পাং জিংহুও বলেছেন, ভবিষ্যতে পরবর্তী ক্ষেত্রে এমন ঘটনাগুলো আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা চীন নতুন করে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। আস্তে আস্তে অর্থনীতি সচল করা সহ চলাচলে বিধি-নিষেধ উঠিয়ে নেওয়া হয়। তবে বেইজিংয়ে নতুন করে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই চীন কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এতে চীনে নতুন করে আবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে কর্মকর্তারা।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ ছড়ানো এ নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এখনও পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।