যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারী নিহত, পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আটলান্টার পুলিশ প্রধান পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (১৪ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বিক্ষোভকারী নিহতের ঘটনায় আটলান্টায় ক্রমাগত পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় বেশকিছু দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে আটলান্টা থেকে কমপক্ষে ৩৬ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ১০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুন) আটলান্টায় বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের ছোড়া গুলিতে ব্রুকস নামে ২৭ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহত হয়। তার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটলান্টা পুলিশ প্রধান এরিকা শিল্ডস ঘোষণা করেন যে, তিনি পদত্যাগ করছেন।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রুকসকে যে অফিসার মেরেছিলেন (গ্যারেট রোলফ) তাকে শনিবার বরখাস্ত করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক দায়িত্বে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা হলেন ডেভিন ব্রনসান।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার তিন সপ্তাহ পরেও পুলিশের এহেন আচরণ কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি চরম বর্বরতা এবং বর্ণবাদকেই উস্কে দেয়। একইভাবে পুলিশ গত ২৫ মে পুলিশ অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটা ভিডিওতে দেখা যায়, হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। এ ভিডিও প্রকাশের পরই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।