শ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়ার জন্য যে ১০টি গুণ থাকা আবশ্যক



মুফতি আমিনুল ইসলাম, অতিথি লেখক, ইসলাম
হজরত রাসূলুল্লাহ সা.-এর হাদিসের বিশাল ভাণ্ডারে এরকম আরও অনেক বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ আছে, ছবি: সংগৃহীত

হজরত রাসূলুল্লাহ সা.-এর হাদিসের বিশাল ভাণ্ডারে এরকম আরও অনেক বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ আছে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমস্ত সৃষ্টির মাঝে মানুষই একমাত্র সৃষ্টি, যাদেরকে আল্লাহতায়ালা সুমহান মর্যাদার আসনে সমাসীন করেছেন। মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব বলে ঘোষণা করেছেন। এ মর্যাদা তিনি আর কাউকে দেননি।

অভিন্ন উৎস অর্থাৎ হজরত আদম ও হজরত হাওয়া আলাইহিস সালামের সন্তান হিসেবে সব মানুষ সমমর্যাদার অধিকারী। তবুও নিজ গুণ এবং বৈশিষ্ট্যের কারণে মানবসমাজের একজন অন্যজনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে থাকেন। এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের বিবরণ হজরত রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ করেছেন। পরিচয় দিয়েছেন শ্রেষ্ঠ মানুষদের। আলোচনা করেছেন শ্রেষ্ঠ মানুষের বিভিন্ন গুণাবলির কথা। হাদিসে বর্ণিত শ্রেষ্ঠ হওয়ার অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্য থেকে এখানে ১০টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো।

মুত্তাকি হওয়া
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) জিজ্ঞেস করা হলো, শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী কে? হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহতায়ালার কাছে শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে। -সহিহ বোখারি: ৪৬৮৯

কোরআন শিক্ষা
নিজে বিশুদ্ধভাবে কোরআনে কারিম শিক্ষা করা এবং অন্যকে শিক্ষা দেওয়া। সাহাবি হজরত উসমান (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে তা শিক্ষা দেয়। -সহিহ বোখারি: ৫০২৭

নিজের চরিত্র সুন্দর করা
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে বেশি সুন্দর। -সহিহ বোখারি: ৩৫৫৯

অন্যের কল্যাণকামী হওয়া
হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, একদা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবায়ে কেরামের একদলের মধ্যে উপবিষ্ট অবস্থায় বললেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি কে, আমি কি তা তোমাদের বলব? সাহাবায়ে কেরাম নীরব রইলেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ কথা তিনবার বললেন। অতঃপর জনৈক সাহাবি আরজ করলেন, অবশ্যই বলুন হে আল্লাহর রাসূল! হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো, যার কাছ থেকে সবাই মঙ্গলের আশা করে এবং তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে। আর তোমাদের মধ্যে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি হলো, যার কাছ থেকে মঙ্গলের আশা করা যায় না এবং তার অনিষ্ট থেকে মানুষ নিরাপদ নয়। -সুনানে তিরমিজি: ২২৬৩

লেনদেনে উত্তম হওয়া
হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজ পাওনাদারের পাওনা উত্তমভাবে আদায় করে। -সহিহ বোখারি: ২৩০৫

দীন-ধর্ম রক্ষায় নিয়োজিত হওয়া
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মানুষ কে? হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওই মুমিন, যে নিজ জান-মাল নিয়ে (দীন-ধর্ম রক্ষায়) আল্লাহর পথে জিহাদ করে। -সহিহ বোখারি: ২৭৮৬

নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সদাচারী হওয়া
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজের পরিবারের কাছে ভালো। -সুনানে তিরমিজি: ১৯৭৭

প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা
হজরত আবু সাঈদ (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের পাশে বসা ছিলাম। তখন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বের হয়ে ইরশাদ করেন, আমি কি বলব, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ কে? সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ হলো, যে প্রতিশ্রুতি পূরণে অধিক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। -মুসনাদে আবু ইয়ালা: ১০৫২

উত্তম প্রতিবেশী এবং উত্তম সঙ্গী হওয়া
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সঙ্গী হিসেবে আল্লাহতায়ালার কাছে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের সঙ্গীদের কাছে ভালো এবং প্রতিবেশী হিসেবে আল্লাহতায়ালার কাছে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, যে আপন প্রতিবেশীর কাছে ভালো। -সুনানে তিরমিজি: ১৯৪৪

পাপমুক্ত জীবনযাপন করা
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মানুষ কে? হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওই ব্যক্তি, যার অন্তর পাপমুক্ত, পরিষ্কার, কারও প্রতি কোনো আক্রোশ ও বিদ্বেষ নেই এবং যে সত্যবাদী হয়। -ইবনে মাজাহ: ৪২১৬

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসের বিশাল ভাণ্ডারে এরকম আরও অনেক বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ আছে। এসব বর্ণনার কোনোটিই পারস্পরিক সাংঘর্ষিক নয়। প্রতিটিই নিজ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ বহন করে। তাই আমাদের উচিত হলো, মুসলিম হিসেবে উল্লিখিত প্রতিটি গুণ অর্জনে ব্রতী হওয়। একইসঙ্গে কোরআন ও হাদিস অধ্যয়নের মাধ্যমে আরও ইসলামি জ্ঞান অর্জন ও তা বাস্তব জীবনে অনুসরণের মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর প্রিয়পাত্রে পরিণত করা।

মুফতি আমিনুল ইসলাম: মুহাদ্দিস, জামেয়া রাহমানিয়া দারুল ইসলাম, দক্ষিণ কাজলা, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;