বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
সবাই মিলে সততা, নিষ্ঠা আর দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে চাই।
রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নবনিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে পরিচিতি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত পরিচিতি সভায় ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম পিএইচডি সভাপতিত্ব করেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সকল ধর্মাবলম্বীর সমধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই কিছু দুষ্টু লোক থাকে, যারা তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে সে সব দুষ্টুচক্রকে কঠোর হস্তে দমন করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নৈতিকতাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে চাই। এক্ষেত্রে আমি সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনার আলোকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনার যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, মঠ-মন্দির, প্যাগোডা সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের ভিশন-২০২১ প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করার জন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ উন্নয়ন অভিযাত্রায় সমাজের সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে।