ইসলামি ব্যাংকিংয়ে শরিয়া পরিপালন বিষয়ে মতবিনিময়
সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ইসলামি ব্যাংকিংয়ে শরিয়া পরিপালন’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) শরিয়া বোর্ডের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভি এমপি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস্ অব বাংলাদেশের ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা এম শামাউন আলী, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ও ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এইচ এম শহিদুল ইসলাম বারাকাতি।
এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভি, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, তাকওয়া সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. গোলজারে নবী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর ফ্যাকাল্টি মেম্বার ড. এম মহব্বত হোসেন এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল্লাহ শরীফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড সচিবালয়ের প্রশাসন ইনচার্জ সৈয়দ সাখাওয়াতুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ডকে শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইএসডিবি), কুয়েত ফাইন্যান্স হাউজ ও ইসরা ইত্যাদির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করতে হবে। বছরে কমপক্ষে ২টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, ৩টি জার্নাল প্রকাশ এবং নিয়মিত গবেষণাকর্ম চালিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা এম শামাউন আলী সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ডের সাম্প্রতিককালের অর্জনের ওপর আলোকপাত করে ভবিষ্যতে ইসলামি ব্যাংকিংয়ে শরিয়া পরিপালন নিশ্চিত করতে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভায় শরিয়া পরিপালনে সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটির অতিরিক্ত সদস্য সচিব ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন রব্বানী।
সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসলাসি ব্যাংকিংকে পরিচিত করতে ‘ইসলামি ব্যাংকিং মেলা’র আয়োজন ও দ্রুত বিকাশমান এ শিল্পের উৎকর্ষ সাধনে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এ লক্ষ্য অর্জনে শীর্ষ পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় এবং পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ জোর দেন।