অন্তরের রোজা



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীর বা দেহ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতোই অন্তর ও হৃদয়কে রোজায় শামিল করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অন্তর ও হৃদয়কে পাপাচার, কুচিন্তা, বক্রতা, শত্রুতা, কুটিলতা থেকে সরল, সোজা ও পবিত্রতায় ভরপুর ঈমানের পথে রাখাই ঈমানদারের কর্তব্য এবং রোজার দাবি। অন্তরের রোজার বিষয় অনুধাবণ করার জন্য প্রথমে অন্তর/মন/হৃদয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন:

‘যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, আল্লাহ তার অন্তরকে সরল পথ দেখান’ (সুরা তাগাবুন: আয়াত ১১)।

বস্তুত পক্ষে অন্তরের সরল পথ বা হেদায়েত হলো সকল হেদায়েতের মূল এবং তাওফিকের শিকড় তথা সকল সুকর্মের অনুপ্রেরণার উৎস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

‘শোন, দেহের মধ্যে একটি মাংসপি- রয়েছে, যখন তা সুস্থ থাকে তখন গোটা দেহটাই সুস্থ থাকে আর যখন তা অসুস্থ হয়ে যায়, তখন গোটা দেহটাই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রাখো, তা হলো অন্তর’ (বোখারি শরিফ: ৫২)।

অন্তর সুস্থ থাকা কেবল মানুষের শরীর বা দেহের জন্যেই নয়, মানুষের যাবতীয় কল্যাণের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষের সুস্বাস্থ্য, শান্তি, কল্যাণ বহুলাংশে নির্ভর করে তার অন্তর, মানসিকতা ও মনের সুস্থতার উপর। দুনিয়া এবং আখেরাতের সাফল্য ও কল্যাণের প্রয়োজনে দেহের পাশাপাশি অন্তরকেও সুস্থ, সচল, পবিত্র রাখতে হয়। কারণ, শারীরিক অসুস্থতার মতোই অন্তরের অসুস্থতা ও সমস্যা মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দুনিয়ার কাজে এবং আখেরাতের কাজে পিছিয়ে দেয়। অন্তরকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি পবিত্র কোরআনেও বলা হয়েছে। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন:

‘নিশ্চয় এর মাঝে যে ব্যক্তির জন্য প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, যার একটি জীবন্ত অন্তর রয়েছে, অথবা যে ব্যক্তি একাগ্র চিত্তে শুনতে চায়’ (সুরা কাফ: আয়াত ৩৭)।

ফলে জীবন্ত, আগ্রহী, সুস্থ অন্তর একজন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুধু অন্তর থাকলেই হবে না, একে জীবন্ত, সুস্থ ও পবিত্র রাখতে হবে। যদিও প্রতিটি মানুষেরই অন্তর আছে তথাপি অন্তর পবিত্র, সুস্থ ও জীবন্ত না হলে সেই অন্তর কোনো কাজে আসবে না।

সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে দুই ধরনের অন্তরের উপস্থিতি দেখা যায়। একটি হলো জীবন্ত অন্তর, যা ঈমানের নূরে উজ্জ্বল, তাকওয়া ও বিশ্বাসে ভরপুর। আরেক প্রকার অন্তর হলো মৃত, যা বেখেয়ালী, বেপরোয়া এবং ধ্বংস, অসুস্থতা ও অকল্যাণের কারণ। এরূপ অন্তর সত্য, কল্যাণ, আলো ও সুস্থতা থেকে বিমুখ হয়ে ধ্বংসের পথে গমনকারী। যাদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে:

‘মূলত এদের অন্তরে রয়েছে মারাত্মক ব্যাধি, অতঃপর আল্লাহ তায়ালা এদের সে রোগ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পীড়াদায়ক শাস্তি। কেননা, তারা মিথ্যা বলেছিল’ (সুরা বাকারা: আয়াত ১০)।

এইসব মৃত, অসুস্থ ও পথভ্রষ্ট অন্তর সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরো ইরশাদ করা হয়েছে:

‘তারা বলে আমাদের অন্তরের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। মূলতঃ তাদের ক্রমাগত অস্বীকার করার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর অভিসম্পাত করেছেন। অতঃপর তাদের সামান্য পরিমাণ লোকই ঈমান গ্রহণ করেছে।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ৮৮)।

‘তবে কি তারা এ কোরআন সম্পর্কে কোনো রকম চিন্তা গবেষণা করে না! নাকি এদের অন্তরসমূহের উপর তালা ঝুলে আছে!’ (সুরা মুহাম্মদ: আয়াত ২৪)।

‘তারা বলে, যে বিষয়ের দিকে তুমি আমাদের ডাকছো, তার জন্য আমাদের অন্তরসমূহ আবরণে আচ্ছাদিত হয়ে আছে, আমাদের কানেও রয়েছে বধিরতা’ (সুরা হা-মীম সাজদা: আয়াত ৫)।

পবিত্র কোরআনের এমন বহু আয়াতের মাধ্যমে মূলতঃ এটাই স্পষ্ট হয় যে, মানুষের অন্তরও অসুস্থ হয়, তালাবদ্ধ হয় এবং সত্য জানতে বিমুখ হলে অন্তর এক সময় মরেও যায়। যদিও খোদাদ্রোহী, পথভ্রষ্ট ও অন্যায়কারীর বুকেও একটি অন্তর আছে, তথাপি সে অন্তর জীবন্ত, কল্যাণকামী, পবিত্র, আলোকিত ও সঠিক পথে বিচরণশীল নয়। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি করে এই দোয়া পড়তেন:

‘হে আল্লাহ, হে হৃদয়ের পরিবর্তনকারী, আপনি আমার হৃদয়কে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন’ (তিরমিজি শরিফ: ২১৪০)।

ফলে হৃদয় বা অন্তরকে সব সময় দ্বীনের দিকে রাখা দরকার এবং রোজার সময় সেটি আরো দৃঢ়ভাবে রাখা জরুরি, যাতে অন্তরের কুচিন্তা ও মন্দ প্ররোচনা দ্বারা ঈমান ও রোজার কোনো ক্ষতি না হয়। ইসলামী স্কলারগণ বলেছেন যে, অন্তরের রোজা হলো অন্তরকে ভ্রান্ত বিশ্বাস, কুমন্ত্রণা, কুচিন্তা, খারাপ ও গর্হিত চিন্তা বা কল্পনা থেকে মুক্ত রাখা।

বিশ্বাসী, ঈমানদার, মুমিন-মুসলমানের অন্তর সর্বদা ঈমানের নূরে আলোকিত থাকতে হবে। ঈমান, দ্বীন ও কল্যাণের চিন্তায় মুমিন-মুসলমানের হৃদয় সর্বদা আলোকিত থাকে। মিথ্যা, কুফর, অসৎ চিন্তা, ষড়যন্ত্র, কুচিন্তা, কুমন্ত্রণা ইত্যাদি অন্ধকার সেখানে স্থান পাবে না। এসব অন্ধকার এবং হিংসা অহংকার, গিবত, বড়ত্ব ইত্যাদি থাকলে অন্তর কালিমাময় হয়ে যায়। সে কারণে রোজার মাধ্যমে শারীরিক কৃচ্ছ্বতা সাধনের পাশাপাশি অন্তর বা হৃদয়কেও অন্ধকারাচ্ছন্ন বিষয় থেকে পরিপূর্ণভাবে সরিয়ে রাখতে হবে।

রোজায় শরীর যেমন পানাহার করবে না, অন্তরও তেমনিভাবে খারাপ চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবে। রোজায় শারীরিকভাবে পানাহার বন্ধ করে অন্তরে অসৎ চিন্তা ও পরিকল্পনা বহাল থাকলে রোজার হক আদায় হবে না। পানাহারের কষ্ট হলেও মন-মানসিকতায় উন্নতি এবং অন্তর আলোকিত হবে না। এজন্য রোজার সময় শারীরিকভাবে পানাহার বন্ধ করা, রিপুকে দমন করা যেমন দরকার, তেমনি অন্তরকে ঈমানের চিন্তায় মশগুল রাখা এবং যাবতীয় অন্ধকারময় কুচিন্তাকে পরিশুদ্ধ রাখাও বিশেষভাবে অপরিহার্য্য। কারণ সুস্থ দেহে যেমন সুস্থ মনের অবস্থান, তেমনি সুস্থ মনে বা অন্তরেও তেমনিভাবে সুস্থ দেহের অবস্থান। দেহ ও মন পারস্পরিকভাবে গভীর সম্পর্কযুক্ত। ফলে শরীর ও মন উভয়টিকেই পবিত্র, স্বচ্ছ, নিষ্কলুষ, কালিমাহীন রাখা একজন ঈমানদারের শারীরিক-মানসিক-আত্মীক কল্যাণের জন্য অতীব জরুরি। রোজার সময় এ বিষয়ে অধিক মনোযোগী হতে হবে, যাবে শরীরের পাশাপাশি মনও পবিত্রতা, কৃচ্ছ্বতা আর ঈমানের আলোয় আলোকিত হয়।

একটি হাদিস থেকে জানা যায় যে:

একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সাহাবি সম্পর্কে তিনবার বললেন, লোকটি জান্নাতি। সেই সাহাবিকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আপনি কোন আমলের দ্বারা জান্নাতের অধিকারী হলেন? সাহাবি বললেন, আমি যখন ঘুমাই তখন কারো প্রতি কোনো হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা থাকে না (খুতবাতুর রামাদান, পৃ. ৭৬)।

অতএব রোজায় দেহের পাশাপাশি মনের পরিশুদ্ধি সাধনের জন্যেও সচেষ্ট হওয়া কর্তব্য। যার মাধ্যমে ঈমানের নূরে অন্তর আলোকিত হবে এবং আধ্যাত্মিকতা বা রুহানিয়্যাতের সৃষ্টি হবে।

সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার হজযাত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মধ্যরাতে এ তথ্য জানায় হজ পোর্টাল।

হজ পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, সৌদিতে পৌঁছানো ১৫ হাজার ২৯ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৬৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৪৬৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ২১ মে শুরু হয়। সৌদি আরবে যাওয়ার শেষ ফ্লাইট ২২ জুন। অন্যদিকে হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সর্বমোট ২৯ হাজার ১০৪টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ভিসা পেয়েছে ১৬ শতাংশ, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা পেয়েছে ৮৪ শতাংশ।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আগত সরকারি ব্যবস্থাপনার চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ফ্লাইটের হজযাত্রীগণ মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে আজ মক্কা থেকে মদিনায় গমন করেছেন।

প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন সৌদিতে হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ প্রায় ৫ হাজার কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

 

;

জেদ্দা পৌঁছেছেন ৮২৯ হজযাত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিমানের দু'টি ফ্লাইটে সৌদি আরবের জেদ্দা বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন ৮২৯ জন হজযাত্রী।

স্থানীয় সময় রোববার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইটে ৪১৪ জন এবং সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় ফ্লাইটে ৪১৫ জন যাত্রী জেদ্দা পৌঁছান।

সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আবদুলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত এসময় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

জেদ্দা বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক ও হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হজযাত্রীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আপনাদের পাশে দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন পাশে রয়েছে।

হজযাত্রীদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশি হাজীগণই প্রথম গেলেন জেদ্দায়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন পবিত্র হজ পালন করবেন।

;

হজের প্রথম ফ্লাইট আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট শুরু করার জন্য প্রস্তুত রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্প। শুক্রবার থেকে হজক্যাম্পে আসতে শুরু করেছেন হজযাত্রীরা।

শনিবার (২০ মে) দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় হজযাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ফ্লাইটটি জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে।

এর আগে শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ এর উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার শুরু হতে যাওয়া হজ ফ্লাইট উপলক্ষে রাত ১২টায় বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত থাকবেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের করবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। বাকি ৫০ শতাংশ সৌদি এয়ারলাইনস বহন করবে।

এ বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে। প্রাক হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।

;

ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই জাহাজটিটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন হজ যাত্রা হতো না। এটা দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। একটা টাকা রিজার্ভ মানি নেই। কারেন্সি নোট নেই। গোলায় খাবার নেই। এর মাঝে মানুষ যাতে অল্প খরচে হজ করতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন।’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।

এর আগে, সকালে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। জানা গেছে, চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে স্থানীয় সময় আগামী ২১মে রাত পৌনে ৪টায়। এ বছর প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। নির্ধারিত সময় ২১মে রাত পৌনে ৪টায় প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩০০১ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

ফ্লাইটটি এদিনই জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। আগামী ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে চলতি হজ মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট।

;