নাজাতের এ দশকে যে বিশেষ দোয়াগুলো পড়ব
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2021/May/04/1620149870654.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আজ পবিত্র মাহে রমজানের নাজাতের দশকের প্রথম রোজা আমরা সুস্থতার সাথে অতিবাহিত করেছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহতায়ালার অপার অনুগ্রহে বিশ্বমুসলিম উম্মাহ পবিত্র রমজানের এ শেষ দশকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগিতে রত থেকে অতিবাহিত করছেন। রমজানের শেষ দশক অর্থাৎ নাজাত বা মুক্তির দশকে দোয়া কবুলিয়তের বিশেষ মুহূর্ত সৃষ্টি হয়। রোজাদার একাগ্রতার সাথে তার প্রভুকে ডাকেন এবং তার সন্তুষ্টি কামনা করেন।
হজরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সৎকর্মশীলতার দিক দিয়ে আল্লাহর দৃষ্টিতে রমজানের শেষ দশকের চেয়ে মহৎ ও প্রিয় আর কোন দিন নেই।’ (মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল, ২য় খণ্ড)
কেননা রমজানের এই শেষ দশকেই আসে সেই সৌভাগ্য রজনী অর্থাৎ লাইলাতুল কদর। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাস অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
এ দোয়ার সাথে নাজাতের দশকে আমরা পবিত্র কোরআনের এই দোয়াগুলোও অধিকহারে পাঠ করব- ‘রাব্বানা মা খালাকতা হাযা বাতিলান সুবহানাকা ফাকিনা আযাবান্নার।’ অর্থ ‘হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক! তুমি এ (বিশ্বজগতকে) বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি পবিত্র। সুতরাং তুমি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।’ (সুরা আলে ইমরান: আয়াত ১৯১)
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়াকিনা আযাবান্নার।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেও এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর আর আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ২০১)
‘রাব্বি ইন্নি যালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! নিশ্চয় আমি আমার আত্মার ওপর অত্যাচার করেছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা কর।’ (সুরা কাসাস: আয়াত ১৬)
‘রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি।’ অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা কর এবং যারা আমাদের আগে যারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকেও ক্ষমা কর।’ (সুরা হাশর : আয়াত ১০)
আসুন, রমজানের এই শেষ দশকে অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দোয়ার প্রতিও অনেক বেশি জোর দেই আর দয়াময় প্রভুর দরবারে সকাতর প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের দোয়া গ্রহণ করে আমাদেরকে ক্ষমা করেন, আমিন।
লেখক: ইসলামী গবেষক ও কলামিস্ট, ই-মেইল- [email protected]