পবিত্র রমজানের পবিত্রতম রজনী



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতম রজনী হলো লাইলাতুল কদর বা শবে কদও, যা রমজানে রোজার মাসের এক অনন্য উপহার স্বরূপ। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার পক্ষ হতে এমন গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় রজনী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতদের ছাড়া অন্য কোনো উন্মতকে প্রদান করা হয় নি। মুসলমান তথা উম্মতে মুহাম্মদী এই অপরিসীম সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছে।

আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদীকে শ্রেষ্ঠ উম্মতের মর্যাদা দিয়েছেন। কিন্তু এই শ্রেষ্ঠ উম্মতের হায়াত বা জীবনকাল অতীতের পূর্ববর্তী উম্মতগণের চেয়ে অনেক কম। কারণ, অতীতে অনেক নবীর উম্মত শত শত বছর বেঁচে ছিলেন। ফলে সুদীর্ঘ হায়াত পেয়ে তারা অনেক বেশি নেক আমল করেছেন। কম হায়াতের অধিকারী হলেও যাতে বেশি আমল ও সাওয়াব হাসিল করতে পারে, এজন্য উম্মতে মুহাম্মদীকে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা শবে কদরের মতো মহান রাত্রি ইবাদতের জন্য দান করেছেন। এক রাত্রির ইবাদতের মাধ্যমে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সাওয়াব পাওয়ার সুযোগ একমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীতে দান করেছেন আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা।

পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ শিরোনামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরা অবর্তীণ করার মাধ্যমে মাসটির গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন যে, ‘আমি লাইলাতুল কদরে কোরআন অবর্তীণ করেছি। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ (সুরা কদর)।

অতএব, শবে কদরে ইবাদত করা হাজার মাস ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। হাজার মাসে ৮৩ বছর ৪ মাস। এ হিসাবে কেউ যদি জীবনে ১২টি শবে কদর পায় ও ইবাদত করতে পারে, তাহলে তার এক হাজার বছর ইবাদতের সাওয়াবের সমতুল্য হবে। উল্লেখ্য, পবিত্র কোরআনে এ কথা বলা হয় নি যে, ‘শবে কদর হাজার মাসের সমান’, বরং বলা হয়েছে ‘শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, শবে কদরে ইবাদত করতে পারলে হাজার মাস নয়, বরং হাজার মাসের চেয়েও অধিক ইবাদতের সাওয়াব হাসিল করা সম্ভব।

শবে কদরের রাত্রিটির মর্যাদা ও গুরুত্ব সম্পর্কে, বিশেষত এ রাত্রিতে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার বিশেষ রহমত ও দয়া সম্পর্কেও ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন:

‘সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ তথা জিবরাইল (আ.) অবতরণ করেন, প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতি নিয়ে’ (সুরা কদর)।

পবিত্র হাদিসেও শবে কদরের মর্যাদা ও গুরুত্ব সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

‘যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় সাওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার আগের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় সাওয়াবের আশায় শবে কদরে ইবাদত করবে, তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’ (বোখারি ও মুসলিম)।

পবিত্র, মর্যাদাবান ও হাজার মাসের চেয়ে উত্তম শবে কদর প্রত্যেক রমজান মাসেই রয়েছে। কিন্তু তাকে সন্ধান করে নিতে হয়। বোখারি ও মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে ‘শবে কদর’ খোঁজ কর।

ফলে রমজানের শেষ দশ দিনের  ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ তম তারিখে, অর্থাৎ বেজোড় তারিখের রাতে শবে কদর হতে পারে। এ রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ বা সন্ধান করতে হবে। সমান গুরুত্ব দিয়ে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগৃুলোতে শবে কদর পাওয়ার আশায় ইবাদতে মশগুল হওয়াই উত্তম। কেউ কেউ শুধু ২৭ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদত করেন বা মনে করেন যে, ২৭ তারিখ রাতই শবে কদর। এমন ধারণা ভ্রান্ত। ইসলামী শরিয়তে তা সঠিক বলে অনুমোদিত নয়। 

তদুপরি, বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও উৎসবের আমেজে শবে কদর পালনের কিছু রেওয়াজ কোথাও কোথাও দেখা যায়, যা সম্পূর্ণভাবে পরিতাজ্য। কারণ, শবে কদর হলো নিজের ব্যক্তিগত আমলের মাধ্যমে সাওয়াব হাসিলের রাত। অহেতুক এবং ইসলাম সমর্থন করে না, এমন কোনো কিছু করার মাধ্যমে এ পবিত্র ও বরকতময় রাতকে নষ্ট করা চরম বোকামি। বরং এ রাতে ফরজ নামাজ তথা মাগরিব, ইশা ও ফজর নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কেউ কেউ নফলের পেছনে ছুটে ফরজ নষ্ট করে। ফলে নফলের কারণে রাত জেগে কোনোক্রমেই ফজরের ফরজ নামাজ নষ্ট করা যাবে না। কারণ, সব নফল একত্রিত করলেও ফরজের সমান হয় না। তাই সর্বাবস্থায় ফরজ আমলগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং শবে কদরের রাতেও ফরজ নামাজ সবচেয়ে আগে সুষ্ঠুভাবে আদায় করতে হবে। অতঃপর, শবে কদরের রাতে অধিক পরিমাণে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকার ইত্যাদি ইবাদত বেশি বেশি করতে হবে। এ রাতের নফল নামাজের জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই। বরং অন্য সময়ের নফল নামাজের মতো এ রাতে নফল নামাজ আদায় করা যায়। বিশেষত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের প্রতিও এ রাতে বিশেষ মনোযোগী হওয়া দরকার।

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি হওয়া সাল্লামরকে বলেছিলেন, ‘আমি যদি শবে কদর পাই, তাহলে আমি কী দোয়া করবো?’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, ‘তুমি এ দোয়া করবে: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী’ (হে আল্লাহ, আপনি বড়ই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন)- মুসনাদে আহমাদ/তিরমিজি শরিফ।     

সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার হজযাত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মধ্যরাতে এ তথ্য জানায় হজ পোর্টাল।

হজ পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, সৌদিতে পৌঁছানো ১৫ হাজার ২৯ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৬৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৪৬৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ২১ মে শুরু হয়। সৌদি আরবে যাওয়ার শেষ ফ্লাইট ২২ জুন। অন্যদিকে হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সর্বমোট ২৯ হাজার ১০৪টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ভিসা পেয়েছে ১৬ শতাংশ, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা পেয়েছে ৮৪ শতাংশ।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আগত সরকারি ব্যবস্থাপনার চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ফ্লাইটের হজযাত্রীগণ মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে আজ মক্কা থেকে মদিনায় গমন করেছেন।

প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন সৌদিতে হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ প্রায় ৫ হাজার কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

 

;

জেদ্দা পৌঁছেছেন ৮২৯ হজযাত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিমানের দু'টি ফ্লাইটে সৌদি আরবের জেদ্দা বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন ৮২৯ জন হজযাত্রী।

স্থানীয় সময় রোববার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইটে ৪১৪ জন এবং সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় ফ্লাইটে ৪১৫ জন যাত্রী জেদ্দা পৌঁছান।

সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আবদুলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত এসময় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

জেদ্দা বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক ও হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হজযাত্রীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আপনাদের পাশে দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন পাশে রয়েছে।

হজযাত্রীদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশি হাজীগণই প্রথম গেলেন জেদ্দায়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন পবিত্র হজ পালন করবেন।

;

হজের প্রথম ফ্লাইট আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট শুরু করার জন্য প্রস্তুত রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্প। শুক্রবার থেকে হজক্যাম্পে আসতে শুরু করেছেন হজযাত্রীরা।

শনিবার (২০ মে) দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় হজযাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ফ্লাইটটি জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে।

এর আগে শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ এর উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার শুরু হতে যাওয়া হজ ফ্লাইট উপলক্ষে রাত ১২টায় বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত থাকবেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের করবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। বাকি ৫০ শতাংশ সৌদি এয়ারলাইনস বহন করবে।

এ বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে। প্রাক হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।

;

ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই জাহাজটিটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন হজ যাত্রা হতো না। এটা দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। একটা টাকা রিজার্ভ মানি নেই। কারেন্সি নোট নেই। গোলায় খাবার নেই। এর মাঝে মানুষ যাতে অল্প খরচে হজ করতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন।’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।

এর আগে, সকালে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। জানা গেছে, চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে স্থানীয় সময় আগামী ২১মে রাত পৌনে ৪টায়। এ বছর প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। নির্ধারিত সময় ২১মে রাত পৌনে ৪টায় প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩০০১ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

ফ্লাইটটি এদিনই জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। আগামী ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে চলতি হজ মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট।

;