রমজান ও দ্বীনের আহ্বান বা দাওয়াত



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলাম ধর্ম সকল মানুষের জন্য আলো স্বরূপ আর মুসলমানগণ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ প্রদানকারী। অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানগণ সমগ্র মানব জাতিকে কল্যাণ ও সরল-সুপথে আহ্বানকারী। বস্তুত পক্ষে, দ্বীনের পথে দাওয়াত দেওয়া বা আহ্বান করা সকল নবীর কাজ রূপে স্বীকৃত। সকল নবী-রাসুলই একজন দাঈ বা আহ্বানকারী তথা শিক্ষক রূপে এসেছিলেন। সকলেই নিজ নিজ আমলের মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে তৌহিদের এই অম্লান বাণী প্রচার করেছিলেন:

‘তোমরা সবাই আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করো। তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোনো উপাস্য নেই’ (সুরা আরাফ: আয়াত ৫৯)।  

আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার  দ্বীনের প্রতি আহ্বান জানানোর জন্য কেউ কোনো প্রতিদান কামনা করেননি। পরিস্কার ভাষায় বলেছেন:

‘আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চাই না’ (সুরা শোয়ারা: আয়াত ১০৯)।

এই আহ্বান ও দ্বীনের প্রতি দাওয়াতের গুরুত্বের পাশাপাশি তার পদ্ধতি ও নীতিমালা সম্পর্কে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন:

‘আপনি আপনার রব (প্রভু)-এর পথে প্রজ্ঞা এবং উত্তম উপদেশের সাথে মানুষকে ডাকুন এবং উত্তম পন্থায় বিতর্ক করুন’ (সুরা নাহল: আয়াত ১২৫)।

‘হে নবী, আপনি মানুষকে বলে দিন এ হচ্ছে আমার পথ, আমি মানুষদেরকে আল্লাহর পথে আহ্বান করি। আমি এবং আমার অনুসারীরা পূর্ণাঙ্গ সচেতনতার সাথে এ পথে আহ্বান জানাই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র এবং আমি কখনোই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’ (সুরা ইউসুফ: আয়াত ১০৮)।

‘তার চেয়ে উত্তম কথা আর কোন্ ব্যক্তির হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে, নেক কাজ করে এবং বলে আমি মুসলমানদেরই একজন’ (সুরা হামিম সাজদাহ: আয়াত ৩৩)।

ফলে প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য হলো আল্লাহর পথে, দ্বীনের পথে, সৎ কাজের পথে এবং অসৎ কাজের বিরুদ্ধে আহ্বান করা বা দাওয়াত দেওয়া। রমজান মাসের পবিত্র পরিবেশে এ দাওয়াত বা আহ্বানের কাজ আরো বৃদ্ধি করাই ঈমানের দাবি এবং আমল হিসাবে অধিক সাওয়াবের মাধ্যম। ইসলামী স্কলারদের মতে দাওয়াতের পাঁচটি আদব, পাঁচটি পন্থা এবং পাঁচটি ফলাফল রয়েছে। এগুলো সম্পর্কে অবহিত হয়ে সঠিক ও ইসলাম সম্মত ভাবে আহ্বান বা দাওয়াতের কাজ করা যেতে পারে। কুতর্ক বা চিৎকার করে নয়, মিষ্টভাষা, উত্তম উপদেশ ও হেকমতের সঙ্গেই দাওয়াতি কাজ পরিচালনা করা ইসলামের নির্দেশিত বিধান। এ কারণে দাওয়াতের আদব, পন্থা ও ফলাফল সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

#দাওয়াতের আদব পাঁচটি

১. ইখলাস ও আন্তরিকতার মাধ্যমে দাওয়াত দিতে হবে। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন: ‘এদের এ ছাড়া আর কোন কিছুর আদেশ দেওয়া হয়নি, তারা আল্লাহর জন্য নিজেদের দ্বীন ও ইবাদত নিবেদিত করে নেবে’ (সুরা বায়্যিনাহ: আয়াত ৫)।

২. দাওয়াত ও আমলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। অর্থাৎ দাওয়াত দেওয়ার আগে নিজেকে সেসব বিষয়ে আমল করতে হবে। কেননা, কথার সাথে কাজের মিল না থাকাটা অপমানকর, লজ্জাজনক এবং মোনাফেক বা প্রবঞ্চকের লক্ষণ। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন: ‘তোমরা কি অন্যদের সৎকাজের আদেশ দাও আর নিজেদের ভুলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব তেলাওয়াত করে থাকো। তোমরা কি বুঝবে না!’ (সুরা বাকারা: আয়াত ৪৪)।

৩. দাওয়াত ও তাবলিগের ক্ষেত্রে ন¤্রতা ও কোমলতা অবলম্বন করতে হবে। পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্টভাবে ইরশাদ করা হয়েছে: ‘তোমরা তার সাথে নরম ভাষায় কথা বলো, যাতে করে সে উপদেশ গ্রহণ করে, অথবা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো’ (সুরা ত্বাহা: আয়াত ৪৪)। আরো ইরশাদ হয়েছে: ‘আল্লাহর অসীম দয়ায় আপনি তাদের জন্য ছিলেন কোমল প্রকৃতির মানুষ। এর বিপরীতে যদি আপনি নিষ্ঠুর ও পাষাণ হৃদয়ের মানুষ হতেন, তাহলে এসব লোক আপনার আশপাশ থেকে দূরে চলে যেতো’ (সুরা আলে ইমরান: আয়াত ১৫৯)। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এই নির্দেশ দিয়েছেন যে: ‘তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, তাদের মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টি করো না’ (মুসলিম শরিফ: ১৭৩২)।

৪. দাওয়াত বা আহ্বানের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দিয়ে শুরু করতে হবে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও দাওয়াতের ক্ষেত্রে এরূপ করতেন। যেমন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানে প্রেরণ করার সময় এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলেন: ‘তুমি আহলে কিতাবের এক গোত্রের কাছে যাচ্ছো। তোমার সর্বপ্রথম দাওয়াত যেন হয় এ কথার সাক্ষ্য দেওয়ার দিকে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আর আমি (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসুল। যদি তারা তোমার এ দাওয়াতে সাড়া দেয়, তাহলে তাদের এ সংবাদ দাও যে, আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন’ (মুসলিম শরিফ: ১৯)।

৫. প্রত্যেককে তার মান ও প্রয়োজন অনুসারে দাওয়াত প্রদান করা। অর্থাৎ শহুরে লোকদের জন্য দাওয়াত বা আহ্বানের ভাষা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ আর গ্রামীণ জনতার জন্য তা একই রকম হলে বোধগম্য হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এজন্য স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী দাওয়াতের ভাষা ও বক্তব্য নির্ধারণ করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেছেন: ‘যাকে হিকমত ও প্রজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়েছে’ (সুরা বাকারা: আয়াত ২৬৯)।

#দাওয়াতের পন্থা পাঁচটি

১. যাকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে, এককভাবে তার প্রতি মনোযোগী হয়ে দাওয়াত দিতে হবে, যাতে পুরো আলোচনায় তিনি সম্পৃক্ত বোধ করেন। ব্যক্তিগত দাওয়াতের ক্ষেত্রে এ পন্থা উপযোগী।

২. পাবলিক লেকচার বা সমষ্টিকে দাওয়াত দেওয়ার সময় অবিতর্কিত মৌলিক বক্তব্য পেশের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

৩. দাওয়াতের আগে সঠিক প্রশিক্ষণ ও নোট নেওয়া, যাতে কোরআন ও হাদিসের সঠিক রেফারেন্স ও অর্থ প্রদান করা যায় এবং কোনোরূপ বিভ্রান্তির সৃষ্টি যাতে না হয়।

৪. শুধু বক্তব্যের উপর নির্ভর না করে লেখালেখি, গবেষণা ও সাহিত্য সৃষ্টির মাধ্যমেও দাওয়াতের কাজকে অগ্রসর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

৫. আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রচারমাধ্যমকে বিশুদ্ধ ও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে দাওয়াতের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। যুগের চাহিদা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নয়নকে দ্বীন, ইসলাম ও দাওয়াতের কাজে লাগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

#দাওয়াতের পাঁচটি ফল

১. সকল নবী-রাসুলের দ্বীনী ও আদর্শিক উত্তরাধিকারী লাভ করা যায়। কারণ, তারাই ছিলেন প্রথম ও অগ্রণী দাঈ এবং দ্বীনের দাওয়াতের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র তুল্য ব্যক্তিত্ব।

২. দাঈ-এর জন্য সকল মাখলুক ইস্তেগফার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানুষের দ্বীনের জন্য চেষ্টা ও পরিশ্রম করে, তার নিজের দ্বীন ও ঈমান সর্বাগ্রে মজবুত হয়। যে ব্যক্তি মানুষের কল্যাণের কথা বলে দাওয়াত দেয়, তার কল্যাণও সর্বাগ্রে সুনিশ্চিত হয়। মাখলুকের সকলের সঙ্গে সঙ্গে গভীর সমুদ্রের তলদেশের মাছও পর্যন্ত দাঈ বা আহ্বানকারীর জন্য দোয়া এবং মাগফেরাত কামনা করতে থাকে।

৩. যাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে, তাদের সংখ্যার হিসাবে দাওয়াত দানকারী সাওয়াব লাভ করে। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে: ‘যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে ডাকবে, সে তার দাওয়াতের অনুসারীদের সাওয়াবের অনুরূপ সাওয়াব পাবে। এটা তাদের সাওয়াবের মধ্যে কোনো হ্রাস ঘটাবে না’ (মুসলিম শরিফ: ১০১৭)।

৪. যাকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে, এক সময় সে নিজেই দাঈ হয়ে যায়। ফলে দাওয়াত জারি থাকে এবং দাওয়াতের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে জড়িতরা অবিরাম সাওয়াব পেতে থাকে।

৫. যে মানুষকে দ্বীন, কল্যাণ, সৎকর্মের দাওয়াত দেয়, তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে এবং নেতৃত্বে আসীন করতে চায়। মহান আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা নেককারদের গুণাবলি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, তারা দাওয়াত দেয় এবং বলে ‘আমাদেরকে মুত্তাকিদের ইমাম বানিয়ে দিন’ (সুরা ফোরকান: আয়াত ৭৪)।

রমজানে মাসে রোজা রেখে দ্বীন ও ইসলামের পক্ষে দাওয়াত দেওয়ার চেয়ে লাভজনক ও সাওয়াবের কাজ আর কিছুই হতে পারে না। কথা বলা ও লেখার মাধ্যমে, চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে দ্বীন, ইসলাম, ঈমান, আমল এবং যাবতীয় সুকর্মের পক্ষে আর কুকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একজন আদর্শ দাঈ-এর দায়িত্ব। প্রতিটি মুসলমানই নিজের সাধ্যমতো এ দায়িত্ব সারা বছর তো বটেই, মাহে রমজানের সময় বিশেষভাবে পালন করতে পারেন এবং রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফেরাতের মাহে রমজানকে নিজের জীবনে সার্থক করতে পারেন।

দুই দশক ধরে কাবা প্রাঙ্গণে শ্রীলঙ্কান এক দম্পতি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আশরাফ ও ফাতেমা দম্পতি, ছবি: সংগৃহীত

আশরাফ ও ফাতেমা দম্পতি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দুই দশক ধরে মক্কার মসজিদে হারামে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার এক দম্পতি। পবিত্র এ মসজিদে আগত হজ ও উমরাযাত্রী এবং মুসল্লিদের সেবায় তারা কাজ করছেন। সম্প্রতি সৌদি গেজেট তাদের নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে ১৪ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছে। তাদের মধ্যে সৌভাগ্যবান এক দম্পতি হলেন শ্রীলঙ্কার আশরাফ ও ফাতেমা। ইসলামের এ পণ্যভূমিতে দীর্ঘকাল সেবা দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।

মক্কার মসজিদে হারামে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ এ সময়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখী হন তিনি। জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি একটি উত্তম কাজের সুযোগ পাওয়া তারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করেন।

সম্মানিত এ স্থানে আসার গল্প শুরু হয় প্রায় বিশ বছর আগে। তখন ফাতেমা মসজিদে হারামে কাজের সুযোগ পায়। তিনি নারীদের নামাজের স্থানে কাজ করতেন। সেখানে ছড়িয়ে থাকা জায়নামাজগুলো গুছিয়ে রাখার দায়িত্ব ছিল তার।

কয়েক বছর পর তিনি নিজের স্বামীকেও মসজিদে হারামের দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। প্রেসিডেন্সি বিভাগ তার আবেদনকে অনুমোদন দেয়।

ফাতেমা জানান, মসজিদে হারামে তিনি চার বছর একাকী দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান, যেন তার স্বামী আশরাফকে হারামাইনের কর্মী হিসেবে আনা হয়। এদিকে এতদিন যাবত শ্রীলঙ্কায় কাজ করতেন আশরাফ।

প্রথম পর্যায়ে অনিচ্ছুক থাকলেও পরবর্তীতে মক্কায় চলে আসেন আশরাফ। পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে এখন মুসল্লিদের সেবা দিয়ে আনন্দবোধ করছেন তিনি।

আশরাফ বলেন, ‘পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। ফাতেমা ও আমি একসঙ্গে কাজ করি এবং একেঅপরকে সহযোগিতা করি। প্রতি সপ্তাহে আমরা উমরা পালন করি।’

মক্কার মতো সম্মানিত স্থানে দায়িত্ব পালন তাদের জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। মসজিদে হারামে কাজ করতে পেরে নিজেদেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার এ দম্পতি।

;

যেভাবে দরুদ-সালাম পৌঁছে নবী কারিম (সা.)-এর কাছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি : সংগৃহীত

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। তার নাম শুনলে দরুদ পাঠ করা তার প্রতি ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন। উম্মতের পঠিত দরুদ-সালাম তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনি শোনেন ও জবাব দেন।

দরুদ-সালাম পাঠের নির্দেশনা
নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতসহ অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির মতো নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করার নির্দেশনা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ রাসুলের প্রতি দরুদ-সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত নাজিল করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবীর জন্য রহমতের দোয়া করে। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর প্রতি রহমতের দোয়া করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ -সুরা আহযাব : ৫৬

দরুদ-সালাম পাঠের ফজিলত : হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। দুনিয়া ও আখেরাতে দরুদ-সালাম পাঠকারীর জন্য সৌভাগ্যের সব দুয়ার খুলে যায়।

দরুদ-সালাম পাঠের বিভিন্ন মর্যাদার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করে, মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন। -সহিহ মুসলিম : ৪০৮

দূরবর্তীদের দরুদ-সালাম পৌঁছানো হয়
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যেকোনো উম্মত, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে তার প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করলে ফেরেশতারা তা তার কাছে পৌঁছে দেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর নির্ধারিত একদল ফেরেশতা রয়েছেন, যারা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ান এবং আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেন।’ -সহিহ ইবনে হিব্বান : ৯১৪

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। আর আমার কবরে উৎসব করো না। আমার ওপর দরুদ পাঠাও। কেননা তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের দরুদ আমার কাছে পৌঁছবে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২০৪২

নিকটবর্তীদের দরুদ-সালাম শোনেন
নবী কারিম (সা.)-এর কবরের পাশ থেকে দরুদ-সালাম পেশ করলে তিনি তা শোনেন। মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে নবীদের দুনিয়ার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ -সুরা জুমার : ৩০

তবে মৃত্যুর পর তারা আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেন। নবীদের কবরের জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো- কবরে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন- কবরে তাদের দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। -সুনানে আবু দাউদ : ১০৪৭

তারা কবরে নামাজ আদায় করেন। -মুসনাদে আবু ইয়ালা : ৩৪২৫

হজরত মুসা (আ.) তার কবরে স্বশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়টি নবী (সা.) উল্লেখ করেছেন। -সহিহ মুসলিম : ২৩৪৭

আল্লাহর পক্ষ থেকে তারা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত। -ইবনে মাজাহ : ১৬৩৭

তাদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তারা তা সরাসরি শোনেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর দরুদ পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূরে থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ -ফাতহুল বারি : ৬/৬০৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সালামের জবাব দেন
কেউ নবী কারিম (সা.)-কে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ থেকে ও দূর থেকে নবী কারিম (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে দরুদ-সালাম পেশ করতে থাকে, আর নবী কারিম (সা.) এর উত্তর দিতে থাকেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি যখন আমার ওপর সালাম পেশ করে, তখন আল্লাহ আমার মধ্যে আমার আত্মা ফিরিয়ে দেন। ফলে আমি তার সালামের জবাব দিই।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২০৪১

বস্তুত মহান আল্লাহ নবী কারিম (সা.)-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। তিনি উম্মতের প্রতি অত্যন্ত দয়ার্দ্র ও স্নেহশীল ছিলেন। উম্মতের কল্যাণে তিনি সদা ব্যাকুল থাকতেন। এই উম্মতের ওপর তার অবারিত অনুগ্রহ রয়েছে। এর অন্যতম দাবি হলো- তার প্রতি দরুদ-সালামের নাজরানা পেশ করা। তার প্রতি পঠিত দরুদ-সালাম তার কাছে পৌঁছে যায়।

;

মুসলিমদের কাছে ক্ষমা চাইল শ্রীলঙ্কা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইফতার মাহফিলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ছবি: সংগৃহীত

ইফতার মাহফিলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস মহামারির সময় মৃতদের লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় মুসলিমদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

এ ছাড়া ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত একটি যৌথ প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা।

করোনা মহামারির সময় মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিমদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।

বুধবার (২৪ জুলাই) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিমদের লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বীপ দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। যদিও করোনায় মৃতদের লাশ মুসলিম রীতিতে দাফন করাকে নিরাপদ বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া মৃতদের লাশ ইসলামিক রীতিতে দাফন নিরাপদ বলে বিশেষজ্ঞরাও মতামত দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাধ্যতামূলকভাবে লাশ পুড়িয়ে ফেলার নীতির বিষয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা’ করেছে দেশের মন্ত্রিসভা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারির সময় লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পুড়িয়ে ফেলার বিষয়ে সরকারের এই নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল সম্প্রদায়ের কাছে ‘সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে’ মন্ত্রিসভার সদস্যদের একটি গ্রুপ যৌথ প্রস্তাবও অনুমোদন করেছেন।

করোনা মহামারির সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন গোটাবায়া রাজাপাকসে। তার সরকারই সেসময় এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় একটি নতুন আইন করা হবে হবে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মুসলিম বা অন্যকোনো সম্প্রদায়ের মানুষের দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার রীতিনীতি লঙ্ঘন না করা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।

ঐতিহ্যগতভাবে, মুসলমানরা মুসলিমদের লাশকে কেবলার দিকে মুখ করে দাফন করে থাকে। আর শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের মরদেহ হিন্দুদের মতো সাধারণত দাহ করা হয়।

শ্রীলঙ্কার মুসলিম প্রতিনিধিরা সরকারের এই ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু তারা বলেছে, তাদের সমগ্র সম্প্রদায় এই ঘটনার আঘাত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশের ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ হচ্ছে মুসলিম জনগোষ্ঠী।

;

ব্রিটিশ রাজনীতিতে মুসলমানদের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো আইন ও বিচার মন্ত্রী হয়েছেন একজন মুসলিম নারী, তিনি কোরআন হাতে শপথ নিয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো আইন ও বিচার মন্ত্রী হয়েছেন একজন মুসলিম নারী, তিনি কোরআন হাতে শপথ নিয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়া সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে রেকর্ডসংখ্যক মুসলিম এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারই প্রথমবারের মতো দেশটির মন্ত্রিসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন একজন মুসলিম নারী। শাবানা মাহমুদ নামের ওই মন্ত্রী পবিত্র কোরআন হাতে শপথ নিয়েছেন।

এ ছাড়া আরও দুই মুসলিম নারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তাদের অন্যতম হলেন- বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী। তিনি গৃহায়ণ, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি হয়েছেন। এর আগে যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ।

মুসলিম নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে ২০১৯ সালে ১৯ জন এমপি ছিলেন। এবারের নির্বাচনে ২৫ জন মুসলিম নির্বাচিত হয়েছে। ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলিম এমপি এবারই নির্বাচিত হলেন।

নির্বাচিতদের মধ্যে ১৮ জন লেবার পার্টির, চারজন স্বতন্ত্র, দুজন কনজারভেটিভ পার্টির এবং একজন লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের।

মুসলিম নেটওয়ার্কের দাবি, গাজার প্রতি মুসলিম ভোটারদের সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। ফলে চারজন মুসলিমসহ পাঁচটি স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয় পেয়েছেন।

তারা মোট ৬৫০ এমপির প্রায় ৪ শতাংশ। তবে মুসলিমরা যেহেতু ব্রিটেনের জনসংখ্যার ৬.৫ শতাংশ, তাই হাউস অফ কমন্সে মুসলিমদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আরও ১৭ জন এমপি দরকার।

নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে ব্রিটেনের ইসলামি মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মাসুদ শাজারেহ বলেছেন, ব্রিটেনের রাজনৈতিক অঙ্গনে মুসলমানরা প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ব্রিটেনে বেশি সংখ্যায় মুসলমানদের যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয় প্রায় এক শতাব্দী আগে। বর্তমানে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্রিটেনে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ।

মাসুদ শাজারেহ সম্প্রতি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম ভোটের প্রভাবের কথা তুলে ধরে বলেন, ব্রিটিশ রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা কার্যকর শক্তিতে পরিণত হয়েছে মুসলমানরা। এটাকে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহারের জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনে মুসলমানদের অসন্তোষের কারণে ব্রিটিশ লেবার পার্টি কয়েকটি আসন হারিয়েছে। এই প্রভাব ব্রিটিশ রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

ব্রিটিশ মুসলিম কাউন্সিলের মতো আরও সংগঠন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের সংগঠনের উপস্থিতি মুসলমানদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে তা মানুষের কাছে উপস্থাপনের সুযোগ তৈরি করে।

গত ৪ জুলাই সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে লেবার পার্টি পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তবে গাজায় নির্বিচার গণহত্যার ব্যাপারে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিল মুসলমানেরা। তারা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

ব্রিটিশ জনগণ দেশটির খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং দখলদার ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞের প্রতি সরকারের সমর্থনের প্রতিবাদে ভোট দিয়েছে। এর অর্থ হলো, লেবার পার্টি বিজয় পেলেও সেটা তার নিজের নীতির কারণে পায়নি বরং বিরোধী দলের অপছন্দনীয় কিছু কাজ ও নীতির কারণে মানুষ বিদ্যমান বিকল্প ধারাটিকে বেছে নিয়েছে।

;