রোজাদারের প্রাপ্তি
দুনিয়া ও আখেরাতের অফুরন্ত কল্যাণ রয়েছে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার যাবতীয় হুকুম পালনের মধ্যে, বিশেষথ রমজানের রোজা পালনের মধ্যে অশেষ শারীরিক-মানসিক-আত্মীক কল্যাণ। পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে। এগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো, যাতে রোজাদারের জন্য বিরাট কল্যাণ ও প্রাপ্তি বিবরণ রয়েছে, যা একজন প্রকৃত রোজাদার পেয়ে থাকেন।
* রোজার প্রতিদান আল্লাহ স্বয়ং নিজে প্রদান করবেন:
প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সাওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে সাওয়াব বা পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি অন্য সকল আমলের সাওয়াব থেকে আলাদা। কারণ, রোজার সাওয়াব বা প্রতিদান সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ ঘোষণা রয়েছে। ইসলামের অন্য কোনো আমলের ক্ষেত্রে এমন অনন্য সুযোগ আর একটিও নেই। একটি হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোজা আলাদা। কেননা, তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করবো। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে’ (মুসলিম শরিফ: ১১৫১)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, বান্দা একমাত্র আমার জন্য তার পানাহার ও কামাচার বর্জন করে রোজা রেখেছে আমারই জন্য। আমি নিজেই তার পুরস্কার দেবো আর (অন্যান্য) নেক আমলের বিনিময় হচ্ছে তার দশগুণ’ (বোখারি শরিফ: ১৮৯৪)। হাদিসে এমনও বলা হয়েছে যে: ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, প্রত্যেক ইবাদতই ইবাদতকারী ব্যক্তির জন্য, পক্ষান্তরে রোজা আমার জন্য। আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো’ (বোখারি শরিফ: ১৯০৪)। রোজার এতো বড় প্রতিদানের কারণ এটাও হতে পারে যে, রোজা ধৈর্য্যরে ফলস্বরূপ। আর ধৈর্য্যধারণকারীদের জন্য আল্লাহ তায়ালার সুসংবাদ হলো: ‘ধৈর্য্যধারণকারীগণই অগণিত সাওয়াবের অধিকারী হবে’ (সুরা যুমার: আয়াত ১০)।
* আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে কেয়ামতের দিন পানি পান করাবেন:
এটা তো পরম সৌভাগ্য যে, আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে কেয়ামতের দিন পানি পান করাবেন। একটি হাদিসে হযরত আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে: ‘আল্লাহ তায়ালা নিজের উপর অবধারিত করে নিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন’ (মুসনাদে বাযযার: ১০৩৯)। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, রোজা আমার জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। কিয়ামতের দিন রোজাদারদের জন্য একটি বিশেষ পানির হাউজ থাকবে, যেখানে রোজাদার ব্যতিত অন্য কারো আগমন ঘটবে না’ (মুসনাদে বাযযার: ৮১১৫)।
* রোজা জান্নাত লাভের পথ হবে:
সকল আমলই জান্নাতের পথকে সুগম করে। কিন্তু রোজা সুনির্দিষ্টভাবে জান্নাত লাভের পথ বা পন্থা। হযরত হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ‘আমি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমার বুকের সাথে মিলিয়ে নিলাম। তারপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলে মৃত্যুবরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় একদিন রোজা রাখবে, মৃত্যুর পর সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোনো দান-সাদাকা করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৩২৪)। হযরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে যে: ‘আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে আগমন করে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন, যার দ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো। তিনি (মহানবী) বলেন, তুমি রোজা রাখ। কেননা, এর সমতুল্য কিছু নেই। আমি পুনরায় তার নিকট এসে একই কথা বললাম। তিনি (মহানবী) বললেন, তুমি রোজা রাখ’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২১৪৯)।
* রোজাদার জান্নাতে প্রবেশ করবে রাইয়্যান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে:
রোজাদার শুধু জান্নাতেই প্রবেশ করবে না, বরং এবটি বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যে সুযোগ কেবলমাত্র রোজাদারদের জন্য নির্ধারিত। হযরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘জান্নাতের একটি দরজা আছে, যার নাম রাইয়্যান। কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে কেবল রোজাদার ব্যক্তিরাই প্রবেশ করবে। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে, কোথায় সেই সৌভাগ্যবান রোজাদারগণ? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে। তারা ব্যতিত কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অতঃপর রোজাদারগণ যখন প্রবেশ করবে, তখন তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে অন্য কেউ ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না’ (বোখারি শরিফ: ১৮৯৬)। হযরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বর্ণনা করেন যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘জান্নাতে রোজাদার ব্যক্তির জন্য একটি বিশেষ দরজা আছে। যার নাম রাইয়্যান। রোজাদারগণ ছাড়া অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যখন সর্বশেষ রোজাদার ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে, তখন সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, সে জান্নাতের পানীয় পান করবে। আর যে পান করবে সে কখনো পিপাসার্ত হবে না’ (তিরমিজি শরিফ: ৭৬৫)। আরেক হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রকাশের নেক আমলকারীর জন্য জান্নাতে একটি করে বিশেষ দরজা থাকবে। যার যে আমলের প্রতি অধিক অনুরাগ ছিল, তাকে সে দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে। রোজাদারদের জন্যেও একটি বিশেষ দরজা থাকবে, যা দিয়ে তাদেরকে ডাকা হবে। সেই দরজার নাম রাইয়্যান। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ, এমন কেউ কি হবেন, যাকে সকল দরজা থেকে জান্নাতে প্রবেশের জন্য আহ্বান করা হবে? তিনি (মহানবী) বললেন, হ্যাঁ, আমি আশা করি তুমিও তাদের একজন হবে’ (মুসনাদে আহমাদ: ৯৮০০)।
* রোজা কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে:
হযরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব, আমি তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। অতঃপর তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতঃপর তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে’ (মুসনাদে আহমাদ: ৬৬২৬)।
*রোজাদারের সকল গোনাহ মাফ হবে:
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে বলা হয়েছে: ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার পূর্বের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (বোখারি শরিফ: ৩৮২০১৪)। হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। আর আমি কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ তারাবির নামাজ সুন্নত করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রমজানের রোজা ও তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে ঐ দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যে দিন সে মায়ের গর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ট হয়েছিল’ (মুসনাদে আহমাদ: ১৬৬০)।
*রোজা পালন গোনাহের কাফফারা স্বরূপ:
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘মানুষের জন্য তার পরিবার, ধন-সম্পদ, তার নফস, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী ফিতনা স্বরূপ। তার কাফফারা হলো নামাজ, রোজা, দান-সাদাকাহ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ (মুসলিম শরিফ: ৫২৫)। এজন্য ফরজ রোজার পাশাপাশি নফল রোজার মাধ্যমে পাপের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
*রোজাদারের দোয়া কবুল হয়:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করে তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না’ (ইবনে মাজা: ১৭৫৩)। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। ন্যায়পরায়ন শাসকের দোয়া, রোজাদার ব্যক্তির দোয়া, ইফতারের সময় পর্যন্ত দোয়া ও মজলুমের দোয়া। তাদের দোয়া মেঘমালার উপরে উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং এর জন্য সব আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। তখন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, আমার ইজ্জতের কসম, বিলম্বে হলেও অবশ্যই আমি তোমাদের সাহায্য করবো’ (মুসনাদে আহমাদ: ৮০৪৩)। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না’ (মুসন্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ৮৯৯৫)।
*রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত:
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে, যখন সে আনন্দিত হবে। যখন সে ইফতার করে তখন ইফতারের কারণে আনন্দ পায়। যখন সে তার রবের সাথে মিলিত হবে, তখন তার রোজার কারণে আনন্দিত হবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যখন সে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে আর আল্লাহ তাকে পুরস্কার দেবেন, তখন সে আনন্দিত হবে’ (মুসনাদে আহমাদ: ৯৪২৯)। অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশির সময় রয়েছে। একটি হলো, ইফতারের সময় এবং অপরটি স্বীয় প্রভু আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়ার সময়’ (মুসলিম শরিফ: ১১৬১)।
* রোজাদার পরকালে সিদ্দিকীন ও শহীদগণের সাথে থাকবে:
হযরত আমর ইবনে মুররা আল জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: ‘এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি যদি এ কথার সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই এবং অবশ্যই আপনি আল্লাহর রাসুল আর আমি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, জাকাত প্রদান করি, রমজান মাসের সিয়াম (রোজা) ও কিয়াম (তারাবি ও অন্যান্য নফল-নামাজ আমল) আদায় করি, তাহলে আমি কাদের দলভুক্ত হবো? তিনি (মহানবী) বললেন, সিদ্দিকীন ও শহীদগণের দলভুক্ত হবে’ (ইবনে হিব্বান: ৩৪২৯)।
* রোজা হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে:
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘সবরের মাসের (রমজান মাস) রোজা এবং প্রতি মাসের তিন দিনের (আইয়ামে বীয) রোজা অন্তরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দেয়’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৩০৭০)। বস্তুত রোজার ফজিলত, গুরুত্ব ও তাৎপর্য মানবজবিনে বহুমাত্রিক, যা একমাত্র রোজাদারগণই পেয়ে থাকেন।