ঈদের আনন্দ বয়ে যাক সবার ঘরে ঘরে
পবিত্র ঈদুল ফিতর সবার জন্য বয়ে আনুক অনেক অনেক আনন্দ আর কল্যাণ। ইনশাআল্লাহ আমরা সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ঈদ উদযাপন করবো।
মুসলিম উম্মাহ বছরে দু’টি ঈদ পালন করে থাকে আর তা হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। একটি আসে পবিত্র মাহে রমজানে রোজা পালনের মাধ্যমে আর অপরটি আসে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের মহান কুরবানির স্মৃতিরূপে পশু কুরবানির মাধ্যমে।
মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ঈদ আদায় করে থাকেন। একজন আল্লাহ প্রেমিক মাত্রই তার সব আনন্দ আল্লাহর সন্তুষ্টির সঙ্গেই যুক্ত করেন।
তাই একজন প্রকৃত আল্লাহ প্রেমিক তার সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ পেলে শুকরিয়া আদায় করে থাকেন আর ঈদ আমাদের সেই শুকরিয়া আদায়ের সুযোগ করে দেয়। তাই সবাই মিলে-মিশে শুকরিয়া স্বরূপ দুই রাকাআত নামাজের মাধ্যমে ঈদ পালন করে মুসলিম উম্মাহ।
আল্লাহ তাআলার একান্ত রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত লাভে রমজান মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে যে ঈদ আসে, তাহলো- 'ঈদুল ফিতর'। একজন রোজাদারের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো আল্লাহতয়ালার আদেশ অনুযায়ী মাসব্যাপী রোজা রাখতে আল্লাহ তাকে তাওফিক দিয়েছেন।
এ খুশি প্রকাশ করতেই রমজান মাস শেষ করে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদের আনন্দে মিলিত হয় মুমিন মুসলমান। আর এই দিনটির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুমিনের জন্য সব বৈধ খাবার-পানীয় ও কাজ-কর্ম যা কিনা রোজার কারণে বিরত রেখেছিলেন তার অনুমতি প্রদান করেন।
ঈদের পূর্বে প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী, শিশু এমনকি সদ্য জন্মলাভকারী শিশুর জন্যও নির্ধারিত ফিতরা আদায় করা জরুরি। ফিতরার টাকা দিয়ে গরিব, অসহায় দুস্থরা অন্যান্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ করে থাকে। যেহেতু ফিতরার টাকা দিয়ে দুস্থ অসহায়গণ ঈদ করেন, তাই ঈদের কিছুদিন আগে এ টাকা আদায় করা সবচেয়ে উত্তম।
এ ফিতরা ঈদের নামাজের আগেই আদায় করা উচিত। কেননা গরিব রোজাদার যেন ফিতরার অর্থ দিয়ে ঈদের খুশিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
ঈদের নামাজ সাধারণত খোলা আকাশের নিচে অথবা জামে মসজিদে হয়ে থাকে। আমাদের প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহ যাওয়া-আসায় ভিন্ন ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করতেন। যেন অনেক বেশি লোকের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং যেন তাদের খোঁজ খবর নেওয়া যায়।
তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এটি এবার সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে নামাজ আদায় করব। এ ছাড়া ঈদের দিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সম্ভব হলে নতুন পোশাক পরিধান করে ঈদগাহে উপস্থিত হতে হয়।
ঈদ আনন্দে একে অপরকে বুকে টেনে নেয়। বুকে বুক মিলিয়ে প্রত্যেকেই আন্তরিকতায় একাকার হয়ে যায়। তবে এই কাজটি থেকে এবার আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। আমরা দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করব।
ঈদের প্রকৃত তাৎপর্য মূলতঃ মহান আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা আদায় করা। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি হাসিল করে তার ইবাদতের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করতে এটাকে বাস্তবে প্রকাশ করা।
সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোরারক।