একের পর এক মসজিদ বন্ধ করছে ফ্রান্স

  • ইসলাম ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের আরও ছয়টি মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন। একই সঙ্গে বেশকিছু ইসলামি সংস্থা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইসলামের নামে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

২০২০ সালের নভেম্বর থেকে দেশটির কোন এলাকা থেকে ইসলামের নামে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ ছড়ানো হচ্ছে- তা জানতে ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন।

বিজ্ঞাপন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ‘ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদের’ বিরুদ্ধে জাতীয় লড়াই ঘোষণার এক বছর পর থেকে কার্যত উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ফ্রান্সের মুসলমানরা। গত জুলাই মাসে ‘মূল্যবোধের পরিপন্থী’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে দুই মসজিদের দুইজন ইমামকে চাকরিচ্যুত করেছে ফ্রান্স। এছাড়া গত এক বছরে ৩০টি মসজিদ বন্ধ করেছে দেশটি। একের পর এক মসজিদ বন্ধের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন দেশের মুসলিমরা। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৯ মসজিদ পরিদর্শন শেষে ৩০ মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী আইনে এসব মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে।

মুসলিম সম্প্রদায়, মসজিদ, ইসলামি সংগঠন ও সংস্থার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে ম্যাক্রোর সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী আইন প্রণয়নের আগে, ২৪ হাজার ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন করে উগ্রবাদ প্রশ্রয়ের অভিযোগে ৬৫০ ধর্মীয় স্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

যে আইনের আওতায় ফ্রান্স এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা শুধু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও এনজিওর সমালোচনার বিষয়বস্তু নয়, জাতিসঙ্ঘও এ আইনের সমালোচনা করেছে। কারণ, এ আইনের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে কোনঠাসা করা হচ্ছে।