মতবিরোধ ইসলাম নিষিদ্ধ কাজ



মুফতি আবদুল আলিম, অতিথি লেখক, ইসলাম
আর তোমরা সকলে আল্লাহর রশি দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না

আর তোমরা সকলে আল্লাহর রশি দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং মতবিরোধ করতে নিষেধ করেছেন। এ মর্মে তিনি বলেন, ‘আর তোমরা সকলে আল্লাহর রশি দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো, যখন তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু অতঃপর তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তার অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা তো জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে ছিলে, তিনি তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তার নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাতে তোমরা হেদায়াত পেতে পারো।’ -সুরা আলে ইমরান : ১০৩

এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত নুমান বিন বাশীর (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দিক থেকে মুমিনদের উদাহরণ একটি দেহের মতো; যখন তার কোনো একটি অঙ্গ পীড়িত হয়, তখন তার জন্য সারাদেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

কাজেই ঐক্যবদ্ধতা, মিত্রতা, একতা, মতৈক্য, পারস্পরিক দায়িত্ব পালন, সহমর্মিতা, সত্যের সমর্থন এবং মতবিরোধ ও দলাদলি পরিহার এমন এক সুরক্ষিত দূর্গ; যেখানে সমাজ আশ্রয় নেয় এবং তা সবার আশ্রয়স্থল ও নিরাপদ স্থান। এটি দ্বীনের শক্তি, পার্থিব কল্যাণ সংরক্ষণকারী, ফেতনা-ফাসাদে রক্ষাকবচ এবং শত্রুর চক্রান্ত ও ক্ষতি মোকাবেলায় সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদানকারী। মহান আল্লাহ যেভাবে সামাজিক বন্ধন, শক্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আদেশ দিয়েছেন, তেমনিভাবে সম্পর্কচ্ছেদ, পেছনে লেগে থাকা, শত্রুতা পোষণ, মতবিরোধ, হাঙ্গামা ও খারাপ কাজের দ্বার উন্মুক্ত করতে নিষেধ করেছেন।

হজরত ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই স্বরূপ; সে তার প্রতি জুলুম করবে না ও তাকে দুশমনের কাছে সমর্পণ করবে না।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই স্বরূপ; সে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, তার সঙ্গে মিথ্যা বলবে না এবং তাকে লাঞ্চিত করবে না।’ -সুনানে তিরমিজি

উল্লেখিত আয়াত ও হাদিসসমূহে মুসলিমদের পারস্পরিক হক বিনষ্ট করতে নিষেধ ও সতর্ক করা হয়েছে, যে হকগুলো বিনষ্ট করলে মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছিন্নতা ও মতবিরোধ সৃষ্টি করে।

মুসলমানদের প্রতি আল্লাহর অন্যতম রহমত হলো, তিনি তাদেরকে সাধারণ ফেতনা থেকে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা ফেতনা থেকে বেঁচে থাকো যা বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে যারা জালেম শুধু তাদের ওপরই আপতিত হবে না। আর জেনে রাখো, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর।’ –সুরা আল আনফাল : ২৫

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেছেন, ‘প্রত্যেক ক্ষতিকর ফেতনার উপকরণ থেকে বেঁচে থাকা, যা মানুষকে আল্লাহর শাস্তির মুখোমুখি করবে।’

ইসলাম যেভাবে সাধারণ ফেতনা ও তার ক্ষতি থেকে সতর্ক করেছে, তেমনিভাবে বিশেষ ফেতনা থেকেও সতর্ক করেছে- যা সেই ব্যক্তির ক্ষতি করে, এমনকি জনসাধারণেরও। এরই ধারাবাহিকতায় মুসলিম জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা থাকার বিষয়ে শরিয়ত কঠোরভাবে সতর্ক করেছে। হজরত আবু যর (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেল, সে ইসলামের রুজু তার গর্দান হতে খুলে ফেললো।’ -সুনানে আবু দাউদ

হজরত ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কোনো গোমরাহির ওপর আমার উম্মতের সবাই কখনও একত্রিত হবে না। কাজেই তোমরা জামাতবদ্ধ থাকো। কেননা জামাতবদ্ধদের ওপর আল্লাহর সাহায্য রয়েছে।’ -মুজাম তাবরানি

সমাজ বিনির্মাণ এবং সামাজিক সুরক্ষা, সম্প্রীতি, শক্তি, ফেতনা-দুর্যোগে স্থিতিশীল থাকা, শত্রুর চক্রান্ত নস্যাৎ করা এবং বিপর্যয়রোধের অন্যতম মাধ্যম হলো, সালফে সালেহিনের নীতিতে শাসকবর্গের জন্য সর্বদা কল্যাণ কামনা করা এবং তাদেরকে সুপরামর্শ দিয়ে নসিহত করা। যেন সর্বদা আল্লাহর এই বাণীর বাস্তবায়ন হয়, ‘নেককাজ ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করবে।’ –সুরা আল মায়েদা : ২

এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের তিনটি জিনিস পছন্দ করেন। তিনি পছন্দ করেন যেনো তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করো ও তার সঙ্গে কোনো অংশীদার স্থাপন না করো। তোমরা যেনো আল্লাহর রশিকে ঐক্যবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধরো ও বিভক্ত না হও এবং তোমরা যেনো তাদের শুভকামনা করো; যাদের হাতে আল্লাহ তোমাদের বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’ -সহিহ মুসলিম

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রাসুলের আনুগত্য করো, আরও আনুগত্য করো তোমাদের মধ্যকার ক্ষমতাশীলদের। অতঃপর কোনো বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা উপস্থাপিত করো আল্লাহ ও রাসুলের নিকট, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান এনে থাকো। এ পন্থাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর।’ -সুরা আন নিসা : ৫৯

ইসলাম যেসব বিষয়ে সতর্ক করেছে তার অন্যতম হলো, জিহ্বার স্খলন ও ধ্বংসাত্মক কথাবার্তা। কেননা কোনো কোনো কথা বা লিখনি ঐক্যে ফাটল ধরায়, বিভাজন তৈরি করে, মতবিরোধ সৃষ্টি করে, হৃদয়কে বিভক্ত করে, সত্য থেকে বিচ্যুত করে এবং বিরোধকে তীব্রতর করে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

যখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ফেতনা-ফাসাদ থেকে সতর্ক করেছেন, তখন তিনি একাধিকবার বর্ণনা করেছেন যে, মিথ্যা ও বাতিল কথাবার্তায় ধ্বংস অনিবার্য। হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘... জিহ্বার ব্যবহার তখন তরবারির আঘাতের চেয়েও মারাত্মক হবে।’ -সুনানে আবু দাউদ

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘...সে সময় মুখে কিছু বলা তরবারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার ন্যায় মারাত্মক হবে।’ -সুনানে আবু দাউদ

কাজেই উম্মতের ওপর দয়া, দ্বীনের হেফাজত ও ফেতনা নিবারণ করতে আপনারা মাওলার ইবাদত করুন ও হারাম বর্জন করে তার নৈকট্য লাভের মাধ্যমে শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির নেয়ামতকে ধরে রাখুন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতএব, তারা ইবাদত করুক এ ঘরের রবের; যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় খাদ্য দিয়েছেন এবং ভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।’ -সুরা কোরাইশ : ৩-৪

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;