বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প



ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, অতিথি লেখক, ইসলাম
বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প, কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স, মদিনা

বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প, কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স, মদিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলাম ধর্মের প্রধান গ্রন্থ কোরআনে কারিমের অনুবাদ, ভাষ্য তৈরি, মুদ্রণ ও বিতরণের উদ্দেশ্যে এক বিশাল প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে মদিনায়। এর সরকারি নাম কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স। এটি কোনো বাণিজ্যিক প্রকল্প নয়। সম্পূর্ণ দাওয়াতি কাজের জন্য উৎসর্গীকৃত একটি মিশনারি প্রকল্প। এটি পঞ্চম আব্বাসীয় শাসক বাদশাহ হারুনুর রশিদ (৭৬৩-৮০৯) কর্তৃক বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত ‘বায়তুল হিকমাহ’র কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

বিশ্বব্যাপী পবিত্র কোরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত, চর্চা ও অনুশীলন ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহৎ ব্রত নিয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ ১৯৮৫ সালে মদিনায় এ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন। ৩০ জন বিদেশিসহ এক হাজার ৭০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। একই ভাষার স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন মুফাসসিরের অনুবাদ ও তাফসির প্রকাশ করা হয়। নানা ভাষার জন্য রয়েছে উচ্চপর্যায়ের শক্তিশালী সম্পাদনা বোর্ড। দুনিয়াব্যাপী কোরআনের দাওয়াত প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই কমপ্লেক্স।

এ পর্যন্ত পৃথিবীর ৩৯টি ভাষায় অনুবাদসহ কোরআনের তাফসির প্রকাশ করা হয়েছে। একই ভাষায় একাধিক অনুবাদ ও তাফসির রয়েছে। প্রকাশিত ৫৫টি ভাষায় কোরআনের অনুবাদ ও তাফসিরের মধ্যে এশীয় ভাষায় ২৪টি, ইউরোপীয় ভাষায় ১২টি এবং আফ্রিকান ভাষায় ১৪টি। উল্লেখযোগ্য ভাষাগুলো হচ্ছে- ফ্রেঞ্চ, ইংরেজি, জাপানি, আলবেনীয়, ইন্দোনেশীয়, উর্দু, বাংলা, তুর্কি, সোমালীয়, চীনা, রুশ, জার্মান, স্প্যানিশ, কোরীয়, ফারসি, গ্রিক, ভিয়েতনামি, পর্তুগিজ, সুইডিশ ও তেলেগু।

ছাপার মান নিরীক্ষা করা হচ্ছে
ছাপার মান নিরীক্ষা করা হচ্ছে

বাংলা ভাষায় এক খণ্ডে প্রকাশিত হয় আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফী (রহ.)-এর মা‘আরিফ আল কোরআন, যার অনুবাদক ও সম্পাদক হচ্ছেন বরেণ্য ইসলামি স্কলার মাওলানা মুহীউদ্দীন খান (রহ.)। উপমহাদেশের খ্যাতনামা মুহাদ্দিস আল্লামা শিব্বির আহমদ ওসমানী (রহ.) কর্তৃক উর্দু ভাষায় লিখিত ‘তাফসিরে উসমানি’ এই কমপ্লেক্স থেকে ছাপা হয়।

কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স অনুবাদসহ ও অনুবাদবিহীন দুই ধরনের কোরআন বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে বিতরণ করে। কোরআনের আয়াতগুলো সিরীয় বংশোদ্ভূত বিশ্ববিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার উসমান তাহা লিখিত। ১৮ বছর ধরে এ কমপ্লেক্সে কোরআন লিখন বিভাগে তিনি কর্মরত। তার হস্তলিপি ও অলংকরণ দৃষ্টিনন্দন, স্পষ্ট ও শিল্পসমৃদ্ধ। তার পরিচালনায় রয়েছেন একদল চৌকস ক্যালিগ্রাফার।
পবিত্র কোরআন ছাড়াও এ পর্যন্ত এই কমপ্লেক্স থেকে অনুবাদিত তাফসির, হাদিস, সিরাতুন্নবী গ্রন্থ বেরিয়েছে ১৬০ ধরনের। এ কমপ্লেক্সের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ছয় কোটি কপি গ্রন্থ। মুদ্রণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ যন্ত্রপাতির ব্যবহার বিস্ময়ের উদ্রেক করে।

আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন সিম্পোজিয়ামে পঠিত ৬০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত হয়। হাফসসহ কোরআনের পাঁচ কেরাতের পাণ্ডুলিপি এখানে জমা আছে, যা বিশেষজ্ঞ কমিটির তত্ত্বাবধানে ক্যালিগ্রাফারদের মাধ্যমে লিখিত হয়। দুই লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে মদিনা নগরীতে অবস্থিত এ প্রকল্পে মসজিদ, মুদ্রণ, প্রশাসনিক, পরিবহন, পাঠাগার, মিলনায়তন, রক্ষণাবেক্ষণ, মার্কেটিং, ক্যাফেটেরিয়া, ফার্মেসি, প্রকৌশল বিভাগ রয়েছে।

বাদশাহ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল আজিজের নির্দেশে হজপালন শেষে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনকালে প্রত্যেক হাজিকে এক কপি কোরআন হাদিয়া প্রদান করা হয়। ১৪২৪-১৪২৫ হিজরি বর্ষে দুই কোটি কপি কোরআন বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া হারামাইনসহ সৌদি আরবের সব মসজিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিদেশি অতিথি এবং সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে কোরআনের কপি সরবরাহ করা হয়।

কমপ্লেক্সের ভেতরের দৃশ্য

কমপ্লেক্সের ভেতরের দৃশ্য 

প্রকল্প পরিদর্শনে আসা অতিথিদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত পবিত্র কোরআন চর্চা ও সংরক্ষণের ইতিহাস প্রদর্শন করা হয়। কোরআন তেলাওয়াতের একটি সিডি ও সৌদি আলেমদের তত্ত্বাবধানে রচিত একটি তাফসিরসহ দু’টি কোরআন অতিথিদের উপঢৌকন প্রদান করা হয়। এ প্রকল্পে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতের অডিও ও ভিডিও ফরমে কোরআনের সিডি, ডিভিডি তৈরি ও সরবরাহ করা হয়। এ পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষ এ প্রকল্প পরিদর্শন করেছে।

হজ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৩ কপি কোরআন, ২৫ লাখ ২০ হাজার ৮৭৫ কপি ক্যাসেট, দুই কোটি ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৭ কপি অনুবাদ, দুই লাখ ২০ হাজার কপি সিরাতুন্নবী, ৫০ লাখ ৪৫ হাজার অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ এ কমপ্লেক্স থেকে প্রকাশিত হয়। অতি সম্প্রতি কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন অ্যাপস উদ্ভাবন করেন। এটি Apple Store/Google Play থেকে Android/iOS মোবাইল ভার্সনে ডাউনলোড করা যায়। এই অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা পৃথিবীর ১২টি ভাষায় পবিত্র কোরআনের আয়াত, তরজমা ও তাফসির অধ্যয়ন করতে পারবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ওমর গণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;