কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশি মুখতার শিকদার



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাবার প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস ও মুখতার আলম শিকদার

কাবার প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস ও মুখতার আলম শিকদার

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র কাবার গিলাফ ‘কিসওয়া’। কাবার গিলাফে সোনার হরফে আরবি ক্যালিগ্রাফিগুলো আঁকেন এক বাংলাদেশি। নাম মুখতার আলম শিকদার। কিওয়াহ (কাবার ঘরের গিলাফ) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ২০ বছর প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন হস্তলিপি ও ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতায় একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। সৌদি আরবে হস্তলিপি শেখার প্রসিদ্ধ সব পুস্তিকাগুলোও তার রচিত।

আচরণে অমায়িক, ব্যক্তিত্বে সম্ভ্রান্ত ও কথাবার্তায় অত্যন্ত বিনয়ী এ মানুষটি এখন বাংলাদেশের লালসবুজের পতাকার এক নতুন সফলতার গল্পের নায়ক। বিভিন্ন পেশার দক্ষ বিদেশি নাগরিকদের সৌদি আরবে নাগরিকত্ব দেওয়ার রাজকীয় ঘোষণার পর প্রথম দিনেই তিনি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।

হারামাইন পরিষদের চেয়ারম্যান, পবিত্র কাবার প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস মুখতার আলম শিকদারের হাতে এ সংক্রান্ত চিঠি হস্তান্তর করে তাকে বিশেষ সম্মাননাও দিয়েছেন। সৌদি গেজেট সূত্রে এ খবর জানা যায়।

কাবার প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস মুখতার আলম শিকদারকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছেন

 

চলতি মাসের ১১ নভেম্বর (২০২১) সৌদি বাদশাহর এক রাজকীয় নির্দেশনায় বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়া কথা জানানো হয়। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’-এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন পেশার দক্ষ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষে রাজকীয় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সৌদি সংবাদ মাধ্যম আশ শারাক আল আওসাতের বরাত দিয়ে সৌদি গেজেট জানায়, নাগরিকত্ব পাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন, পবিত্র কাবার গিলাফের (কিসওয়া) প্রধান ক্যালিগ্রাফার মুখতার আলম, ইতিহাসবিদ ড. আমিন সিদো, ড. আবদুল করিম আল সামমাক, প্রখ্যাত গবেষক ড. মুহাম্মদ আল বাকাই ও প্রখ্যাত নাট্যশিল্পী সামান আল আনি।

কাবার গিলাফে আঁকা নিজের ক্যালিগ্রাফির সামনে মুখতার আলম

 

সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে মুখতার আলমের পরিচয়ে বলা হয়, মুখতার আলম বর্তমানে মক্কার কিসওয়া কারখানায় পবিত্র কাবার কিসওয়ার প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। সৌদি আরবসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রদর্শনীতে তার ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শিত হয়েছে। মক্কার দ্য ইনস্টিটিউট অব হলি মস্ক তথা পবিত্র মসজিদে হারামে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে ক্যালিগ্রাফি বিষয়ক তার বই পাঠ্য।

মুখতার আলম মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে পিএইচডি গবেষণা করছেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমা, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের সার্টিফিকেটের ক্যালিগ্রাফার হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা থেকে অসংখ্য পুরস্কার ও সনদ পেয়েছেন তিনি।

শৈশব থেকেই ক্যালিগ্রাফির প্রতি আগ্রহী মুখতার আলম জানান, ছোটবেলায় প্রাথমিক স্তরে পড়ার সময় থেকেই তার ক্যালিগ্রাফির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। এমনকি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াবস্থায় তিনি অন্যদের ক্যালিগ্রাফি শেখাতেন। তাছাড়া সেই ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন স্থানে ক্যালিগ্রাফি শেখাতেন ও ক্লাস করাতেন।

কিসওয়া কারখানায় কাজ করছেন মুখতার আলম

 

মুখতার আলম শিকদার ১৩৮২ হিজরি (আনুমানিক ১৯৬২ সাল) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের রশীদের ঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৩৯৮ হিজরি তিনি পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। ১৪১৩ হিজরি তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকলা বিয়য়ে স্নাতক করেন। ১৪২২ হিজরি তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৪১৬ সাল থেকে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকলা বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৪২৩ হিজরি থেকে তিনি পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ (কিসওয়া) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। আরবি ক্যালিগ্রাফি পেশায় তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত কাজ করছেন।

মুখতারের বাবার নাম মুফিজুর রহমান বিন ইসমাঈল শিকদার। মায়ের নাম শিরিন বেগম। তার বাবা কর্মজীবনের শুরুতে কিছুদিন ঐতিহ্যবাহী চুনতি হাকীমিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘ সময় সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফার্মাসিস্ট হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। মূলত বাবার কর্মসূত্রে পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ সময় সৌদিতে কাটিয়েছেন। বর্তমানে মুখতার তার মা, স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে মক্কায় বসবাস করেন।

   

পটিয়া মাদ্রাসার ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পটিয়া মাদ্রাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, ছবি : সংগৃহীত

পটিয়া মাদ্রাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ১৪ ফেব্রুয়ারির মজলিসে শুরাকে অবৈধ আখ্যায়িত করে এই শুরার মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মহাপরিচালক করে শতবর্ষী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পটিয়া মাদ্রাসার ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী, শুভানুধ্যায়ী ও নিপীড়িত শিক্ষক-ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত পটিয়া মাদ্রাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে ঐতিহ্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পটিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বিতর্কিত মজলিসে শুরায় উপস্থিত মুরব্বিরা মহাপরিচালক মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর প্রতি সুবিচার করেননি। তারা মাওলানা ওবাইদুল্লাহর কোনো বক্তব্য শ্রবণ কিংবা আত্মপক্ষ সমর্পণের সুযোগ দেননি। এর ফলে তাদের প্রতি অভিভাবকসুলভ যে আস্থা ও বিশ্বাস জাতির ছিল, তা ক্ষুন্ন হয়েছে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, পটিয়া মাদ্রাসায় বর্তমানে যে ব্যক্তিকে মহাপরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে তিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এহসান এসের চেয়ারম্যান হিসেবে গরিব গ্রাহকদের শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুই ডজন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পটিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রদের ফুঁসলিয়ে যে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো হয়েছে, মুরব্বিরা সেগুলোকে অনুমোদন দিয়েছেন এবং অপরাধীদের রক্ষা করেছেন।

সেগুনবাগান তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ি জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল হুদার মুহতামিম ও জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মজলিসে শুরার সদস্য হজরত মাওলানা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী, শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীম, জামিয়া দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল আমীন মাদানি, পটিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ ইবরাহীম, ছনহারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন, মাওলানা আবদুল আজীজ, মাওলানা আমিনুর রশীদ পটিয়াবী, মাওলানা কুতুবুদ্দীন, মাওলানা হোসাইন আহমদ ও মাওলানা উজাইরুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ২৮ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার পর বিভিন্ন নিপীড়িত শিক্ষক-ছাত্রসহ মাওলানা জামালুদ্দীন, মাওলানা বোরহানুদ্দীন, মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী, হোযাইফা মালিক, জুবাইর ও সোহরাব হোসেন আইমন।

এক প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম বা পটিয়া মাদ্রাসার কারও সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা পছন্দ-অপছন্দ নেই। হেফাজতে ইসলামের কতিপয় নেতা পটিয়ার ঘটনায় যে অনাধিকার চর্চা ও অনৈতিক হস্তক্ষেপ করছেন তা তাদের ব্যক্তিগত, এতে হেফাজতের সাধারণ কর্মি-সমর্থকদের কোনো সমর্থন নেই। উপর্যুক্ত ব্যক্তিবর্গ হেফাজতকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করছেন বলে নেতৃবন্দ মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই হস্তক্ষেপ করছেন তাদের নিজেদের মাদ্রাসায় কোনো শুরা নেই, পরিবারতন্ত্রই সেখানে নিয়ম, আয়-ব্যয়ের হিসাব নেই, কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। অনেকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার সুযোগ্য পরিবারকে অন্যায়ভাবে বিতাড়িত করে দখলদারিত্ব কায়েম করে আছেন। কিন্তু পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক হবেন যোগ্যতার ভিত্তিতে, নিয়ম ও সংবিধানের আলোকে। পরিবারতন্ত্র, দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী হামলা করে দুর্নীতিবাজদের পদায়ন পটিয়া মাদ্রাসার ঐতিহ্যের পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পটিয়া মাদ্রাসায় সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নতুন শুরা গঠনের নামে প্রহসনমূলক সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে সরকার, প্রশাসন ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রতি আমাদের দাবি হলো-

পটিয়া মাদ্রাসা ইত্তেহাদুল মাদারিসের সংবিধান অনুযায়ী নিয়মাতিন্ত্রক ও বৈধ মজলিসে শূরার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিচালনার ব্যবস্থা। ২৮ অক্টোবর (২০২৩) মাদ্রাসায় সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের সত্যতা যাছাইয়ে নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ কমিটি গঠন। তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি জানানো হয়, পক্ষপাতদুষ্ট মুরব্বিদের বিভিন্ন মাদ্রাসায় আধিপত্যবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং সন্ত্রাসে উস্কানি ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং মাদ্রাসার স্থাবর সম্পত্তিতে জবরদখল, দুর্নীতি ও মধ্যস্বত্ত্বভোগের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী দোকান, মার্কেট ও ভাড়া বাসাসমূহের ভাড়া নির্ধারণ করে সুচারু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাদ্রাসার প্রাপ্য হক যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করা।

;

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;