শীতে বিপন্ন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান



আশিকুল হামিদ, অতিথি লেখক, ইসলাম
শৈত্যপ্রবাহ এবং শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও কয়েকদিনের মধ্যে নতুন পর্যায়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

শৈত্যপ্রবাহ এবং শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও কয়েকদিনের মধ্যে নতুন পর্যায়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে হঠাৎ শীত বেড়েছে। শীতের কারণে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্ধৃতি দিয়ে ২৬ ডিসেম্বর (২০২১) বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজধানীসহ সারাদেশে দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে করোনার নতুন ভেরিয়্যান্ট ওমিক্রনসহ আরও কিছু রোগ।

এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ এবং শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও কয়েকদিনের মধ্যে নতুন পর্যায়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের প্রতিটি শৈত্য প্রবাহ তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে শীতের নানা রোগ-বালাই।

শীতের দিনে শীত বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক হলেও আমরা উদ্বিগ্ন আসলে গরীব এবং সাধারণ মানুষের জন্য। কারণ, মূলত অর্থকষ্টসহ দারিদ্র্যের কারণে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের পক্ষেই শাল, উলের সোয়েটার এবং অন্যান্য গরম কাপড় কেনা সম্ভব নয়। তার ওপর বিগত প্রায় দু’বছর ধরে করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেছে। ফলে শীতে তাদের কষ্ট সীমা ছাড়িয়ে যাবে- ইতিমধ্যে যেতেও শুরু করেছে।

বেশ কয়েক বছর ধরে আবহাওয়ায়ও যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে। ১৯৭০-এর দশক পর্যন্তও একটা সময় ছিল, যখন পৌষ আসতে না আসতেই প্রবল শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন অচল হয়ে পড়তো। মাঘ এলে তো কথাই ছিল না। মাঘের শীতে তখন আসলেও কম্বল কাঁপতো। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে আবহাওয়ার আচরণে অকল্পনীয় পরিবর্তন ঘটেছে। চলতি বছরের শীতের কথাই ধরা যাক। এবার পৌষের শুরু থেকে শীত পড়তে শুরু করলেও শীতের তীব্রতা কিন্তু তেমন অনুভূত হয়নি। মানুষকে অতীতের মতো কষ্ট করতে হয়নি। ব্যতিক্রমও অবশ্য ছিল। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এবং কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গাসহ আরও কিছু এলাকায় প্রচন্ড শীতে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়ে। এমন অবস্থার পেছনে প্রধান কারণ ছিল তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছিল দেশের অধিকাংশ অঞ্চল। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে। এর অর্থ, পৌষ পেরিয়ে মাঘ মাসেরও বেশিরভাগ সময় দেশে তীব্র শীত থাকবে।

প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে স্বাভাবিক হলেও এবারের শীতে সাধারণ মানুষের জীবনে এরই মধ্যে নানামুখী অসুখ ও বিপদ চেপে বসেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, সর্দি-কাশি তো হচ্ছেই, একই সঙ্গে ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়া ও হাঁপানির মতো রোগ-বালাইও ছড়িয়ে পড়েছে, যেগুলো সাধারণত শীতের সঙ্গে এসে থাকে। প্রচন্ড শ্বাসকষ্টেও ভুগছে অনেকে। পাশাপাশি রয়েছে শীতবস্ত্রের অভাব। খুব কম সংখ্যক মানুষের পক্ষেই সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার ও শাল বা চাদর জাতীয় শীতবস্ত্র কেনা বা যোগাড় করা সম্ভব হয়েছে বা হচ্ছে। তারা লেপ-কম্বলও কিনতে বা যোগাড় করতে সক্ষম হয়নি। ফলে অসম্ভব কষ্টে দিন ও রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাজধানীর মতো বড় বড় শহরে-নগরে যারা দালান বা পাকা ভবনে বসবাস করেন, যাদের যখন-তখন যে কোনো ধরনের শীতবস্ত্র এবং লেপ-কম্বল কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তাদের পক্ষে বিশেষ করে গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা সহজে কল্পনা করতে পারার কথা নয়।

শুধু গ্রামের কথাই নয়, বিভিন্ন শহরে যে মেহনতী শ্রমিক ও গরীব মানুষের বসবাস, তারাও রয়েছে প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে। প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্র তো নেই-ই, সেই সঙ্গে তারাই আবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত অসুখ-বিসুখে। গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, প্রথমত তাদের খুব কম সংখ্যকই সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে। বেশিরভাগ হাসপাতালে সিট পাওয়া দূরে থাকুক, মেঝেতেও জায়গা মিলছে না এমনকি গুরুতর অসুস্থ শিশু ও বৃদ্ধদের। এর পর রয়েছে ওষুধ পাওয়ার পালা। খুব কম সরকারি হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। বিনামূল্যে পাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না, ন্যায্যমূল্যেও ওষুধ পাচ্ছে না মানুষ। ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে- যাদের সঙ্গে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সসহ কর্মচারীদের বিশেষ লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ প্রচন্ড শীতের মধ্যেও চিকিৎসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গরীব তথা সাধারণ মানুষেরা। এমন অবস্থা চলছে সারা দেশেই।

শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকের ভরসা আগুন

 

বলা দরকার, শীতের কারণে সৃষ্ট চরম বিপদের মধ্যে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ন্যক্কারজনক ছিনিমিনি কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সরকারের উচিত বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোর অনিয়ম ও বেআইনি কার্যকলাপের ব্যাপারে দ্রুত তৎপর হয়ে ওঠা। শিশু ও বৃদ্ধ নির্বিশেষে অসুস্থ সব মানুষ যাতে যাওয়া মাত্র ভর্তি ও চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ পায় তার আয়োজন নিশ্চিত করা। সরকারকে একইসঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ ওষুধও সরবরাহ করতে হবে, যাতে বিপন্ন কোনো মানুষকেই বেশি দাম দিয়ে বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে না হয়। ওষুধ ও চিকিৎসা নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

শীতবস্ত্র বিতরণের ব্যাপারেও সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। সরকার চাইলে সমাজের বিত্তবান মানুষদের কাছ থেকে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, মাফলার এবং শাল বা চাদর ও কম্বল জাতীয় শীতবস্ত্র সংগ্রহ করা সহজেই সম্ভব হতে পারে। এজন্য দরকার আন্তরিকতার সঙ্গে উদ্যোগ নেওয়া। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং সামাজিক সংগঠনেরও উচিত শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। সেটা আমাদের জাতীয় দায়িত্বও বটে।

আমরা আশা করি, শীতের তীব্রতা এবং মানুষের কষ্ট আরও বাড়ার আগেই সরকারসহ সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং এনজিও মানুষের কষ্ট কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে উঠবেন।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;