নামাজে কাতার সংযুক্ত করে দাঁড়ানোর ফজিলত

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিচ্ছিন্ন কাতারকে যুক্ত করা অনেক ফজিলতের কাজ, সওয়াবের আমল

বিচ্ছিন্ন কাতারকে যুক্ত করা অনেক ফজিলতের কাজ, সওয়াবের আমল

আমরা জানি, আল্লাহতায়ালার সামনে ফেরেশতারা গায়ে গায়ে লেগে লেগে মিলে মিলে দাঁড়ায়। তারা কাতারের মাঝে কোনো ফাঁকা রাখে না। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, অমনোযোগীতা ও অসাবধনতার কারণে আমরা কাতারের মাঝে বেশ ফাঁকা রেখেই নামাজে দাঁড়িয়ে যাই; ফলে কাতার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ বিচ্ছিন্ন কাতারকে যুক্ত করা অনেক ফজিলতের কাজ, সওয়াবের আমল।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি (বিচ্ছিন্ন) কাতারকে যুক্ত করবে আল্লাহতায়ালা তাকে (তার রহমতের সঙ্গে) যুক্ত করবেন। আর যে কাতারকে বিচ্ছিন্ন করবে আল্লাহ তাকে (তার রহমত থেকে) বিচ্ছিন্ন করবেন।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৬৬৬

বিজ্ঞাপন

বিচ্ছিন্ন কাতারকে যুক্ত করার সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর দ্বারা মহান আল্লাহর রহমত লাভ হয় এবং ফেরেশতাদের দোয়া-ইস্তেগফার লাভ হয়।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যারা (বিচ্ছিন্ন) কাতারকে যুক্ত করে আল্লাহতায়ালা তাদের ওপর রহমত নাজিল করেন এবং তার ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া-ইস্তেগফার করে। আর যে কাতারের ফাঁকা জায়গা পূরণ করে আল্লাহ তাদের মর্যাদা সমুন্নত করেন।’ -সুনানে ইবনে মাজাহ : ৯৯৫

বিজ্ঞাপন

কাতারের ডান দিকে দাঁড়ানো
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম সব বিষয়ে ডান দিক পছন্দ করতেন। কাতারের ক্ষেত্রেও একই কথা। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) যখন নবীজীর পেছনে নামাজ পড়তেন তখন কাতারের ডান দিকে দাঁড়াতে চেষ্টা করতেন। হজরত বারা ইবনে আযেব (রা.) বলেন, ‘আমরা যখন হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেছনে নামাজ পড়তাম তার ডানে দাঁড়ানো পছন্দ করতাম।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৬১৫

হাদিস শরিফে কাতারের ডান দিকে দাঁড়ানোর বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যারা কাতারের ডান দিকে দাঁড়ায় আল্লাহতায়ালা তাদের ওপর রহমত নাজিল করেন এবং তার ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া-ইস্তেগফার করে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৬৭৬

সুতরাং প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের স্বাভাবিকভাবেই কাতারের ডান দিকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা দরকার। কিন্তু এর অর্থ এ নয় যে, কাতারের ডান দিকে দাঁড়ানোর জন্য সামনের কাতারের বাম দিক খালি রেখে পেছনের কাতারের ডান দিকে দাঁড়ানো হবে। বরং চেষ্টা করবে, না হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই নামাজে দাঁড়াবে।