আল্লাহতায়ালা যাদের ভালোবাসেন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন

আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান আল্লাহর ভালোবাসা ও তার সন্তুষ্টি অর্জন মুমিন জীবনের পরম লক্ষ্য। আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমের বিভিন্ন স্থানে এমন কিছু গুণের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলোর কারণে ওই বান্দাদের তিনি ভালোবাসেন। আল্লাহতায়ালার ভালোবাসার মানুষদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে-
১. ‘আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।’ -সুরা বাকারা : ১৯৫
২. ‘আল্লাহ পবিত্র মানুষদের ভালোবাসেন।’ -সুরা তওবা : ১০৮
৩. ‘আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।’ –সুরা বাকারা : ২২২
৪. ‘আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।’ -সুরা আলে ইমরান : ৭৬
৫. ‘আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।’ -সুরা আলে ইমরান : ১৪৬
৬. ‘আল্লাহ (তার ওপর) নির্ভরকারীদের ভালোবাসেন।’ -সুরা আলে ইমরান : ১৫৯
৭. ‘আল্লাহ ন্যায়নিষ্ঠদের ভালোবাসেন।’ -সুরা মায়িদা : ৪২

বুজুর্গ আলেমরা বলেছেন, আল্লাহতায়ালা ও বান্দার সম্পর্ক পারস্পরিক। মূলত বান্দা যখন আল্লাহমুখী হয়, তখন আল্লাহতায়ালা তাকে ভালোবাসার ছায়ায় আশ্রয় দেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়াকে ভালোবাসে, আল্লাহও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়াকে ভালোবাসেন; আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়াকে অপছন্দ করে, আল্লাহও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়াকে অপছন্দ করেন।’ –সহিহ বোখারি : ৬৫০৮

যেভাবে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যায়
আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা লাভে প্রথম কাজ হলো- জাগতিক সম্পর্কগুলোকে ছিন্ন করা। অর্থাৎ গায়রুল্লাহর ভালোবাসাকে মন থেকে বের করে দেওয়া। কেননা দুই জিনিসের ভালোবাসা এক অন্তরে জমা হতে পারে না। পাশাপাশি আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, তার গুণাবলি ও নেয়ামতগুলোর কথা স্মরণ করা এবং তা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা।

আল্লাহর প্রতি অনুরাগ
যেহেতু মুমিন আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, তাই মুমিন তার অন্তরে সবসময় আল্লাহর প্রতি অনুরাগ অনুভব করবে। অনুরাগ হলো এমন প্রিয় ও কাঙ্ক্ষিত বস্তু, যার কিছুটা জানা ও কিছুটা অজানা, তাকে পরিপূর্ণ জানা ও দেখার সহজাত আগ্রহ। অনুরাগ ভালোবাসার জন্য অপরিহার্য। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আপনার পবিত্র চেহারার দর্শন এবং আপনার সাক্ষাতের প্রতি অনুরাগ ও আগ্রহ প্রার্থনা করছি।’ -সুনানে নাসায়ি : ১৩০৫

অনুরাগীর প্রতি আল্লাহর অঙ্গীকার
যারা আল্লাহর প্রতি অনুরাগ পোষণ করে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘যে আল্লাহর সাক্ষাতের আশা পোষণ করে, তার জন্য আল্লাহর নির্ধারিত সময় অবশ্যই আছে।’ -সুরা আনকাবুত : ৫

ভালোবাসার পুরস্কার সন্তুষ্টি
যারা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং তার ওপর সন্তুষ্ট থাকে, তাদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার হলো তার সন্তুষ্টি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে।’ -সুরা তওবা : ১০০

আল্লাহর ওপর সন্তুষ্টিতেই সৌভাগ্য
বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের বিষয় হলো, আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারা। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষের সৌভাগ্যের অন্যতম হলো- আল্লাহ তার জন্য যে ফায়সালা করেছেন তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা।’ -তিরমিজি : ২১৫১
আল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপর সন্তুষ্ট থাকার অর্থ হলো- অন্তরে কোনো দ্বিধা ও আপত্তি না থাকা এবং মুখে অসন্তোষ প্রকাশ না করা। যখন বান্দা আল্লাহর সিদ্ধান্তে পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকে, তখন তার মনের ভেতর কোনো কষ্ট অনুভব করে না।

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;

সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার রোজা শুরু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবে আজ মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই দেশটিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। খবর সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটের।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি সন্ধ্যায় দেশটির কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, মিসর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হবে।

সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ পালন হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরদিনই।

খালিজ টাইমস বলছে, খালি চোখে চাঁদ দেখার জন্য মঙ্গলবার সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। চাঁদ দেখা না যাওয়ায় চাঁদ দেখা কমিটি বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

;

সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা থাকে। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

এ পরিস্থিতি নিরসনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবির নামাজে প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই অনুরোধ করা হয়েছে।

;