রমজান মাসে করণীয় ইবাদতসমূহ



কে এম ছালেহ আহমদ বিন জাহেরী, অতিথি লেখক, ইসলাম
রমজানে নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত

রমজানে নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত, ইবাদতের বসন্তকাল। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে রমজানের আগমন। যাতে রয়েছে আল্লাহর বরকত, দয়া ও অনুগ্রহের সমাহার। এই মাস সিয়ামের মাস। প্রধানত রোজা ও তারাবির বার্তা নিয়েই রমজানের আগমন। রোজার মূল লক্ষ্য হলো- তাকওয়া অর্জন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বনকারী হতে পারো।’ -সুরা বাকারা : ১৮৩

হাদিসে বর্ণিত রমজান মাসে করণীয় বিষয়গুলো হলো-

রোজা পালন করা : ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো- রোজা। রমজান মাসে রোজা পালন করা ফরজ। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে এই মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন রোজা পালন করে।’ -সুরা বাকারা : ১৮৫

রোজা পালনের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমান ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রোজা পালন করবে। আল্লাহ তার পেছনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ -সহিহ বোখারি : ২০১৪

সাহরি খাওয়া : সাহরি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। যাতে রয়েছে বহু বরকতের সমাহার। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কখনও সাহরি খাওয়া বাদ দিও না। এক গ্লাস পানি দিয়ে হলেও সাহরি খাও। কেননা সাহরি গ্রহণকারীকে আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ স্মরণ করে।’ -মুসনাদে আহমদ : ১১১০১

তারাবির নামাজ পড়া : পবিত্র রমজান মাসের রাত্রিকালীন অন্যতম আমল হলো- তারাবির নামাজ। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াব হাসিলের আশায় সালাতুত তারাবি আদায় করবে। আল্লাহ তার অতীতের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ -সহিহ বোখারি : ২০০৯

ভালো কাজ বেশি বেশি করা : এই মাসে একটি ভালো কাজের বিনিময়ে অনেক নেকি অর্জন করা সম্ভব। কাজেই প্রতিটি মুমিনের উচিত যথাসম্ভব ভালো কাজ করা। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এই মাসের প্রতি রাতে একজন ঘোষণাকারী এই বলে আহবান করতে থাকে, হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরও অগ্রসর হও। হে অসৎ কাজের পথিক, তুমি অন্যায় পথে চলা বন্ধ করো। তুমি কি জানো? এই মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।’ -সুনানে তিরমিজি : ৬৮৪

বেশি বেশি সদকা করা : এ মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করা অনেক সওয়াবের কাজ। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজান মাস আসলে তার দান-সদকার মাত্রা আরও বেড়ে যেত- সুবহানাল্লাহ! -সহিহ বোখারি : ১৯০২

 জিকিরের মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি আসে

উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা : আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাস রমজান। এই মাসে নিজেকে এমনভাবে গঠন করতে হবে যাতে বাকী ১১ মাস আল্লাহর ইবাদতে জীবন কাটা যায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোজা রাখে। সে যেন অশ্লীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। সিয়াম পালন অবস্থায় কেউ যদি তার সঙ্গে গালাগালি ও মারামরি করতে আসে, সে যেন বলে আমি রোজাদার।’ -সহিহ মুসলিম : ১১৫১

ইতিকাফ : ইতিকাফ অর্থ অবস্থান করা। পরিভাষায় মানুষদের থেকে পৃথক হয়ে নামাজ, রোজা, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-ইস্তেগফারসহ অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্যে একাকী কিছু সময় ব্যয় করা। লাইলাতুল কদর পেতে ইতিকাফ একান্ত প্রয়োজন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং জীবনের শেষ রমজানে ইতিকাফ করেছিলেন ২০ দিন। -সহিহ বোখারি : ২০৪৪

সামর্থ্য থাকলে ওমরা পালন : হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এ মাসে একটি ওমরা পালন হজ আদায়ের সমতুল্য।’ -সহিহ বোখারি : ১৮৬৩

শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলো লাইলাতুল কদর তালাশ : রমজান মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং বছরের শ্রেষ্ঠ রাত বলা হয়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এই রাত পেতে রমজানের শেষ দশকে বেশ পরিশ্রম (ইবাদত) করতেন। -সহিহ মুসলিম : ১১৭৫

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি লাইলাতুল কদর পাই তাহলে কি পড়বো? হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি বলবে, হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, তাই আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। -সুনানে তিরমিজি : ৩৫১৩

দোয়ায় বেশি বেশি কান্নাকাটি : দোয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। হাদিসে এসেছে, ইফতারের আগ মুহূর্তে আল্লাহতায়ালা অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। মুক্তির এই প্রক্রিয়া রমজানের প্রতি রাতে হয়ে থাকে- সুবহানাল্লাহ। -জামিউস সগীর : ৩৯৩৩

ইফতার করা : রমজান মাসে ফজিলতপূর্ণ কয়েকটি আমলের মধ্যে একটি আমল হলো- দ্রুত ইফতার করা, বিলম্ব না করা। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন ইফতারের সময় খেজুর দিয়ে ইফতার করে। আর খেজুর না ফেলে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে। কেননা পানি হলো- অধিক পবিত্র।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২৩৫৭

অন্যকে ইফতার করানো : রোজাদারকে ইফতার করানো বিরাট সওয়াবের কাজ। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। কিন্তু তাদের উভয়ের সওয়াব হতে বিন্দুমাত্রও হ্রাস করা হবে না। -ইবনে মাজা : ১৭৪৬

ফিতরা দেওয়া : রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরা দেওয়া আবশ্যক। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। -সহিহ বোখারি : ১৫০৩

মিসওয়াক করা : মুখের পবিত্রতা ও মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো- মেসওয়াক। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা রেখেও মেসওয়াক করতেন বলে অনেক বর্ণনায় পাওয়া যায়। -ইবনে খুজাইমা : ১৩৫

উপরোক্ত আমল বাদে রমজান মাসে বেশি বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা ও বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফারের কথাও বিভিন্ন হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।

 

 

 

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;