রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের লাভ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কেনিয়ার নাইরোবিরর একটি মসজিদে মুসলিম মেয়েরা কোরআন তেলাওয়াত করছে

কেনিয়ার নাইরোবিরর একটি মসজিদে মুসলিম মেয়েরা কোরআন তেলাওয়াত করছে

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে আমরা অবস্থান করছি। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাচ্ছে- রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। হাতে যে কয়টি দিন আছে তা কাজে লাগানো। সুতরাং আর যে কয়দিন বাকী আছে তাতে আমরা কোরআন মাজিদ বেশি বেশি তেলাওয়াত করব। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিমে এক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন মাজিদে দক্ষ ও পন্ডিত ব্যক্তিবর্গ সম্মানিত পুণ্যবান ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবেন। যে ব্যক্তি কোরআন আটকে আটকে তেলাওয়াত করে এবং তা তার জন্য কষ্টকর হয়, তার জন্য দুইটি প্রতিদান রয়েছে।’ -সহিহ বোখারি : ৪৯৩৭

দুইটি প্রতিদানের প্রথমটি হলো- তেলাওয়াতের, দ্বিতীয়টি হলো- পাঠকারীর কষ্টের। অনুরূপভাবে সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিমে হজরত আবু মুসা আল আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুমিন কোরআন তেলাওয়াত করে তার দৃষ্টান্ত কমলালেবুর মতো, যা সুস্বাদু ও সুঘ্রাণযুক্ত। আর যে মুমিন কোরআন তেলাওয়াত করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায় যার কোনো ঘ্রাণ নেই কিন্তু তার স্বাদ মিষ্টি।’ -সহিহ বোখারি : ৫৪২৭

সহিহ মুসলিমে হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই নবী কারিম (সা.) বলেছেন, যখন আল্লাহর কোনো ঘরে (মসজিদে) লোকজন একত্রিত হয়ে কোরআন তেলাওয়াত করে এবং নিজেদের মাঝে তা অধ্যয়ন করে, তখন তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়, আল্লাহর রহমত তাদেরকে আবৃত করে রাখে, ফেরেশতারা তাদের বেষ্টন করে রাখেন এবং আল্লাহ তার কাছে অবস্থিত ফেরেশতাদের কাছে তাদের আলোচনা করেন।’ -সহিহ মুসলিম : ২৬৯৯

কোরআন তেলাওয়াতে প্রতিটি হরফে নেকি রয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ (অক্ষর) পাঠ করবে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হবে। আর প্রতিটি নেকি দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মিম একটি হরফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মিম একটি হরফ।’ -সুনানে তিরমিজি : ২৯১০

কোরআন মাজিদের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহতায়ালা কোরআনকে রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহর বাণী, ‘এবং নিশ্চিত এটা (কোরআন) মুমিনদের জন্য হেদায়েত ও রহমত।’ -সুরা নামল : ৭৭

অন্য একস্থানে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘(এই কুরআন) হেদায়েত ও রহমত সৎকর্মপরায়ণদের জন্য।’ -সুরা লোকমান : ৩

প্রত্যেক মানুষ এই পৃথিবীতে সম্মান, আত্মতৃপ্তি ও ভালো অবস্থা নিয়ে জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। এই পৃথিবী ত্যাগ করার পর আলমে বারজাখে (কবরের) প্রত্যেক মানুষ আজাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং আরামদায়ক ঘুমের জন্য আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। কবরের জীবনের পর কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাত প্রাপ্তির জন্যও প্রত্যেক মানুষ আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। পৃথিবী, কবর, পরকাল এই তিনটি স্থানে আমরা সম্মানজনক জীবন যাপনের জন্য আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী। ওই রহমত যার আমরা কদমে কদমে মুখাপেক্ষী, তা কোরআন মাজিদ দ্বারা হাসিল করা সম্ভব।

আসুন গভীরভাবে চিন্তা করি, কোরআন মাজিদ কীভাবে পৃথিবী, কবর এবং পরকালে আমাদের জন্য রহমত। কোরআনের আয়াত শ্রবণে ঈমানদারদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা এরূপ হয় যে, যখন (তাদের সামনে) আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তরসমূহ ভীত হয়ে পড়ে, আর যখন তাদের সামনে তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন ওই আয়াতসমূহ তাদের ঈমানকে আরও বৃদ্ধি করে দেয়, আর তারা নিজেদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ -সুরা আনফাল : ২

 

 

সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা থাকে। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

এ পরিস্থিতি নিরসনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবির নামাজে প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই অনুরোধ করা হয়েছে।

;

রমজান শুরু কবে, জানা যাবে বুধবার



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে, তা জানা যাবে বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায়।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কমিটির এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় হিজরি ১৪৪৪ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখবেন। সে ক্ষেত্রে বুধবার রাতেই এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়বেন, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সেহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

অন্যদিকে বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়বেন ও শেষ রাতে খেতে হবে সেহরি।

এদিকে বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

;

তৃতীয় দফায় বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দফা সময় বাড়িয়েও আশানুরূপ সাড়া না মেলায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত আরও ৯ দিন সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার বিকালে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের মঙ্গলবার বিকালের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ২৪২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও কোটার অর্ধেকের বেশি খালি রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

পবিত্র শবে বরাত আজ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র শবে বরাত আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ)। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবে।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন।

শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিনগত রাত) লাইলাতুল বরাত বা শবে পালিত হয়। শবে বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

;