হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, এ বছর ৯ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। তারপরও কিছু কোটা বাকি রয়েছে। এখন হাতে আর কোনো সময় নেই। তাই কোটা পূরণ না হলেও এ বছর হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এই অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব মুসলিম দেশগুলোর ওপর পড়েছে। ফলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত থেকেও হজযাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। সেক্ষেত্রে হজযাত্রীর সংখ্যা তুলনা করলে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো। হজ শেষ হলে আপনারা দেখতে পারবেন অন্যান্য দেশ কত সংখ্যক হজ কোটা ফেরত দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা ভালো হওয়ায় এক লাখ বিশ হাজারের মতো হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন।

   

ব্রিটেনে ‘ভিজিট মাই মস্ক’ কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্রিটেনে ‘ভিজিট মাই মস্ক’ কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া

ব্রিটেনে ‘ভিজিট মাই মস্ক’ কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজের সব ধর্মের মানুষের মধ্যে ইসলামের পরিচিতি তুলে ধরতে বিট্রেনে ‘আমার মসজিদ ভ্রমণ করুন’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গত শনিবার ও রবিবার (২৩-২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি)-এর ‘ভিজিট মাই মস্ক’ কার্যক্রমে দেশটির আড়াই শতাধিক মসজিদ অংশ নেয়।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে সব ধর্ম ও বর্ণের দর্শক ইসলাম সম্পর্কে জানার সুযোগ লাভ করেন। সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ তৈরি করতে এ সময় দর্শনার্থীদের মধ্যে খাবার ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘হ্যাশট্যাগভিজিটমাইমস্ক’ লিখে প্রচারণা চালায় এমসিবি কর্তৃপক্ষ।

লুটন শহরের ইউকেআইএম মদিনা মসজিদে ২৫ বছর ধরে নামাজ চলছে। মসজিদটির ট্রাস্টি মাকসুদ আনোয়ার বলেন, ‘মসজিদ ভ্রমণের মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া সুদৃঢ় হয়। আপনি একবার একে অন্যের বিশ্বাস সম্পর্কে জানলে তা মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। পারস্পরিক দূরত্ব দূর হয়। একে অপরের প্রতি সন্দেহ দূর হয়। মুসলিম হিসেবে মানুষকে একত্র করা এবং বার্তা পৌঁছে দেওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সাফোকের ব্রুমে সিদ্দিকা নওয়াজ ব্রুম মসজিদ এবং মেডিটেশন সেন্টারের ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন ফাতমা বোধি।

তিনি বলেন, ‘মসজিদ ভ্রমণের দিনকে মানুষ প্রশ্ন করার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা মনে করি, এই দিনে মানুষ আমাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্য আমাদের মসজিদ বছরের সব দিনই উন্মুক্ত। এখানে রান্না, কফি, মেডিটেশনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম রয়েছে। এখানে আসা বেশির ভাগ দর্শনার্থী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। তারা আমাদের পরিচয়, আমাদের ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারে।’

আল-মদিনা সেন্টারের দায়িত্বশীল রজব আলী বলেন, ‘মসজিদ শুধু এক দিন বা এক ঘণ্টা-দুই ঘণ্টার জন্য নয়। মানুষ হিসেবে আমরা সবাই একই সমাজে বসবাস করছি। মসজিদের মতো শান্তির স্থানে আমরা মিলিত হয়েছি। সাপ্তাহিক এই ছুটির দিনে প্রথমবার যারা মসজিদ ভ্রমণে এসেছেন, তারা শান্তি অনুভব করেছেন। তাই যে কেউ যখন ইচ্ছা মসজিদের ইমাম বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশ্ন করতে পারেন।’

ইসলাম ও মুসলিমদের সম্পর্কে সবার মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার ‘ভিজিট মাই মস্ক’ উদ্যোগটি পালিত হয়। প্রথম বছরই সবার মধ্যে মসজিদভিত্তিক এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলে। ওই বছর ব্রিটেনের ২০টি মসজিদ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেও বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে তিন শর কাছাকাছি পৌঁছেছে। দিনটিতে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিরোধীদলীয় নেতা, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা স্থানীয় মসজিদ পরিদর্শন করেন।

;

বাংলাদেশের প্রান্ত হতে সালাম জানাই হে রাসূল (সা.)



আবুল খায়ের মোহাম্মদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশের প্রান্ত হতে সালাম জানাই হে রাসূল (সা.)

বাংলাদেশের প্রান্ত হতে সালাম জানাই হে রাসূল (সা.)

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ থেকে ১৪৪৫ বছর আগে শান্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কল্যাণময় আবির্ভাব হয়েছিল এই পৃথিবীতে। তাঁর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত রবিউল আউয়াল মাস। এই মাসের ১২ তারিখ তিনি জন্মগ্রহণ করেন, আবার তাঁর মোবারক জীবনের অবসানও হয় ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে। তিনি আল্লাহতায়ালার প্রেরিত সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল।

প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে শুরু হওয়া নবুওয়তের সিলসিলা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে, পূর্ণতা পেয়েছে দ্বীন ইসলামও। পরিপূর্ণ হয়েছে আল্লাহতায়ালার হুকুম-আহকাম মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার দাওয়াতি মিশন।

এখন সে মিশনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মানুষের সামনে রয়েছে দু’টি উপকরণ। একটি আল্লাহর কিতাব কোরআন অন্যটি রাসূল (সা.)-এর হাদিস তথা সুন্নাহ।

মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক নাজাতের মাধ্যম হলো- কোরআন ও সুন্নাহ।
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ও তার শিক্ষার বদৌলতে বদলে যায় তৎকালীন পৃথিবীর নানাবিধ অনাচার ও কুপ্রথা।

মানুষ সন্ধান পায় এক আল্লাহর। ফলে আইয়ামে জাহেলিয়াতের ঘুমন্ত হৃদয়গুলো জেগে উঠে ঈমানের উষ্ণতায়।
তৎপর ও উদ্যমী মানবকূল দলে দলে বেরিয়ে পরে সিরাতুল মুস্তাকিমের অন্বেষণে।
তারপর বিরান ও অনাবাদ হৃদয়গুলোকে তিনি আবাদ করলেন আল্লাহতায়ালার প্রেমের মশাল জ্বেলে। বইয়ে দিলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও হিকমত-মারেফতের হাজারও সালসাবিল। নির্যাতিত মানুষের হৃদয়ে স্থাপন করলেন জুলুম-নিপীড়ন, অন্যায়-অবিচার এবং দুশমনি ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদদীপ্ত এক প্রচণ্ড বিদ্রোহ ও আন্দোলন। নির্যাতিত, অবমানিত ও লাঞ্ছিত মানবতাকে শিক্ষা দিলেন সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব এবং উপেক্ষিত, বিতাড়িত ও অসহায় মানবগোষ্ঠীকে টেনে নিলেন সেই বুকে, যে বুকে স্থান হয় কেবল প্রেম-মায়া-মমতা-ভালোবাসা-ত্যাগ-সৌহার্দ্য ও কল্যাণের।

এক সুমহান বৈপ্লবিক পরিবর্তন সমাজে ও মানুষের মননে সম্ভবপর করেছিলেন শান্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি সূচনা করেছিলেন গৌরবদীপ্ত মানবিকতার এক নতুন যুগের। আল্লাহতায়ালার অসীম রহমতে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নতুন যুগের আহ্বান স্থান-কাল-পাত্রের সীমাবদ্ধ গণ্ডিকে অতিক্রম করে বিশ্বজনীন হয়ে উঠেছিল।

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, ‘আমি তো তোমাকে জগতসমূহের জন্য কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি। ’-সূরা আম্বিয়া: ১০৭

বস্তুত আল্লাহতায়ালার অপার রহমতের নিদর্শন নিয়ে আগমন ঘটে শান্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর। তিনি সর্বযুগের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী এবং রাসূল। তিনি অসাধারণ গুণাবলীর অধিকারী। তিনি শুধু একজন ধর্ম প্রবর্তকই নন, মানব সমাজের জরাজীর্ণ ও ঘুণেধরা কাঠামোর সফল সংস্কার ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনকারী। গোটা বিশ্বে বর্তমানে বিরাজমান অশান্তি, নৈরাজ্য, হানাহানি, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলার অবসানে শান্তির দূত নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রবর্তিত আদর্শ ও শিক্ষা প্রকৃতভাবে পালন ও গ্রহণই মুক্তির একমাত্র উপায়। মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি, কল্যাণ আর নাজাতও নিহিত রয়েছে নবী করিম (সা.)-এর সীরাত ও সুরতের মধ্যে, তাঁর সুন্নাহ ও আহলে বাইতের মাঝে।

প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সময় ও আগামী যুগ সম্পূর্ণরূপে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব, তাঁর ব্যাপকভিত্তিক, সার্বজনীন ও চিরন্তন দাওয়াত, তাঁর মানবতাবাদী কল্যাণকামী চেষ্টা-সাধনা-ত্যাগ-তিতিক্ষার কাছে ভীষণভাবে ঋণী। তিনি নাঙা তলোয়ারের নিচ থেকে বিপন্ন মানবতাকে উদ্ধার করেছেন। অতঃপর মানবতার হাতে তুলে দিয়েছেন এক নতুন উপহার। যা মানবতাকে দান করেছে এক নতুন জীবন, নতুন জীবনবোধ, নতুন উদ্যম, নতুন শক্তি, নতুন প্রতীতী, নতুন সম্মান এবং নতুন করে পথচলার পাথেয়। আর সেই উপহারের বদৌলতে মানবতা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-সভ্যতা-কৃষ্টি-জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিক্ষা-প্রযুক্তি সর্বোপরি ন্যায়নিষ্ঠা, আধ্যাত্মিকতা এবং চরিত্র ও সমাজ দর্শনের মাপকাঠিতে নতুন করে মানুষ গড়ার; সমাজ গড়ার কত হাজার মনজিল অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।

শান্তির দূত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দিক-নির্দেশনা, সংশোধন ও সংস্কার প্রচেষ্টা, প্রণোদনা এবং পদক্ষেপের সফল পরিসমাপ্তিতে পৃথিবী ভরে উঠেছিল সোনালী মানুষে। পৃথিবীতে শুরু হয়েছিল স্বর্ণযুগ। আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে তাঁর মর্যাদা ও মাহাত্ম্য ঘোষণা করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে; যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ ও কিয়ামত দিবসের আশা রাখে এবং যারা আল্লাহকে অনেক স্মরণ করে। ’

আল্লাহতায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)কে রিসালতের সম্পদ দ্বারা ধন্য করেছেন। তাঁকে আপন মাহবুব বানিয়েছেন এবং উত্তম আদর্শ ও মনোনয়নে মনোনীত করেছেন। তিনি বিলাসী ও আরাম-আয়েশের জীবন কেবল নিজের জন্যই অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁর পরিবারের জন্যও এর পক্ষপাতী ছিলেন না। তিনি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! মুহাম্মদের পরিবারবর্গের যতটুকু প্রয়োজন কেবল ততটুকু রিজিক দিও। ’

হাদিস থেকে জানা যায়, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘শপথ সেই সত্তার, যার হাতে আবু হুরায়রার জীবন। আল্লাহর নবী ও তাঁর পরিবারবর্গ কখনও উপর্যুপরি তিন দিন গমের রুটি পেট ভরে খেতে পারেননি আর এ অবস্থায় তাঁরা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন। ’

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন মক্কা বিজয় করেন এবং শেষ হজ আদায় করেন, তখন তার সামনে ছিল মুসলমানদের জনসমুদ্র, সমগ্র আরব ভূখণ্ড ছিল তাঁর পদানত, অথচ তাঁর নিজের অবস্থা ছিল একজন দরিদ্রের ন্যায়; তাঁর গায়ে ছিল একটি মাত্র চাদর; যার মূল্য মাত্র চার দিরহামের বেশি ছিল না। তথাপি উজ্জ্বলতম অনুসরণীয় আদর্শের মাধ্যমে শান্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য এক অনন্য আলোকবর্তিকা। সকল ধরনের শোষণ-নিপীড়ন, জুলুম-অত্যাচার, অজ্ঞানতা-অন্ধকার বিরুদ্ধে জ্ঞান-শান্তি-আলোর অনিঃশেষ ঝর্ণাধারা তিনি। তিনি মানবতার মুক্তির মহান দূত, মহান শিক্ষক; বিশ্ব জাহানের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর মিশন, তাঁর কথা, তাঁর কর্ম- যা কোরআন- হাদিসের মাধ্যমে আমরা আজও অনুপ্রেরণার উৎসরূপে বুকে জড়িয়ে ধরে পেতে পারি দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তি। সমগ্র বিশ্বকে করতে পারি সকল অনাচার-হানাহানি থেকে মুক্ত এক শান্তির বাগান। তাঁর প্রতি আমাদের অগণন দরুদ ও সালাম:

"হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।"

;

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪৪৫ হিজরি সালের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে (প্রাঙ্গণ) পক্ষকালব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. রুহুল আমীন।

পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুহা. বশিরুল আলম।

ইসলামি বইমেলার উদ্বোধন করছেন ধর্ম সচিব

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৫ হিজরি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মো. মনিরুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী ইসলামি বইমেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম সচিব।

;

পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সিলেটে মুবারক র‍্যালি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সিলেট মহানগরে ‘মুবারক র‌্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

র‌্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য সকাল থেকেই সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা জমায়েত হন। সকাল ১০টা থেকে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত প্রিয়নবী (সা.) এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও অতিথিবৃন্দ। বাদ যুহর শুরু হয় র‌্যালি।

এসময় নবী সা.-এর শানে রচিত নানা কবিতার শ্লোক অঙ্কিত নানা রঙের ফেস্টুন ও প্লেকার্ড র‌্যালিতে শোভাবর্ধন করে। 

র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) জগতের রহমতের উৎস। তাঁর আগমনে পৃথিবী অন্ধকার থেকে আলোর পথ পেয়েছিল। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতের সরদার। তিনি শুধুমাত্র নবুওয়াত প্রকাশের পরে নয় বরং বাল্যকাল থেকেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পৃথিবীর এমন কোনও লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, মযলুম ব্যক্তি নেই, যার স্থান তাঁর কাছে ছিলোনা। তিনি ছিলেন মযলুমদের আশ্রয়স্থল। তায়েফের ময়দানে তিনি সবচেয়ে বেশি দুঃখিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তায়েফবাসীদের কখনো বদদুআ দেননি। তিনি ছিলেন মানবতার শিক্ষাদাতা। তিনি বদরের যুদ্ধে যুদ্ধবন্দিদের সাথে যে মানবতা দেখিয়েছেন তা পৃথিবীর মানবতার ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। তারা বলেন, আল্লাহর নবী (সা.) এর জন্মের আলোচনা বিদআত নয় বরং উত্তম। শুধু তাই নয় এটি সুন্নাতে এলাহি ও সুন্নাতে সাহাবি। সাহাবায়ে কিরাম হেঁটে হেঁটে নবীর মিলাদ কায়েম করেছেন। উম্মতে মুহাম্মদীর মুহাব্বাত আল্লাহর হাবীব (সা.) এর দরবারে পৌঁছায়। শুধু পৌঁছায় না, বরং তার পরিচয়ও তুলে ধরা হয়। পৃথিবী আজ বিপর্যস্ত। এর পূর্বে এসব এত ঘন ঘন বিপর্যয় পৃথিবীতে কখনো দেখা যায়নি। একদিকে পৃথিবীব্যাপী দিকে দিকে অশান্তি, অপরদিকে গযবের ব্যাপকতায় বিপর্যস্ততা। এসব কিছুই আল্লাহর হাবীব (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাবাণী। এসব কিছু থেকে মুক্তির সমাধান রয়েছে উসওয়ায়ে মুসতাফায়। আমাদের ঘরে-বাহিরে, চিন্তা-চেতনায় রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করা প্রয়োজন। তাঁর অনুসরণ ব্যতিত আল্লাহকে পাওয়ার কোনও পথ নেই। তাঁর উসওয়াকে ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আল্লাহর হাবীবের জন্মের আলোচনা, তাঁর সীরাতকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাঁর আনুগত্যই আমাদের ঈমান। আল্লাহর হাবীব (সা.) কে না জানা ব্যতিত কোনও কিছুই আমাদের কাজে আসবে না। তিনি ছিলেন সত্যবাদী। আমাদের তাঁর উম্মতের পরিচয় বহন করতে হবে। তাঁর সৌন্দর্যের পরিচয় বহন করতে হবে। যে সকল অসামাজিকতা আমাদের উপর চাপানো হচ্ছে, শয়তানের তাবেদার বানানোর যে দুরভিসন্ধি চলছে; এগুলো থেকে বেঁচে থাকতে রাসুল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। আমরা তাঁর উসওয়ার দিকে যত ধাবিত হবো, ততো আমাদের পরিবার ও সমাজ সুন্দর হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র মুহতারাম সভাপতি হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।

র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আতিকুর রহমান সাকের এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, ভারতের উজানডিহির সৈয়দ শামীম আহমদ আল মাদানী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মুনঈম মনজলালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলীপুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ মোঃ কুতবুল আলম ও শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী।

র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এস এম মনোয়ার হোসেন এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত র‌্যালিপূর্ব আলোচনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, মাওলানা বেলাল আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোস্তফা হাসান চৌধুরী গিলমান, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা হুমায়ূনুর রহমান লেখন, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ উসমান গণি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহেদুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, আনজুমানে আল ইসলাহ’র সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছালেহ আহমদ, তায়্যিবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মারজান আহমদ চৌধুরী ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

 

 

;