কখন কোথায় ঈদ জামাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় এদিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবার পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে এই জামাত সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আজহায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। 

এরপর সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টায় ও সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ঈদ জামাত হবে।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার টানেলে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, হুইপবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ-সদস্যবৃন্দ ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ মুসল্লীরা এই জামাতে অংশ নেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৮টায় ও দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সকাল ৮টায়, ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ও আজিমপুরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনে কয়েক বছর ধরে শোলাকিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ২২ একর আয়তনের এ মাঠে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ সেখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে কোরবানির ঈদের জামাত হবে।

আরামবাগের দেওয়ানবাগে জামাত হবে সকাল ৮টায়। সায়েদাবাদ চিশতিয়া সাইদিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মিরপুরে ফুরফুর দরবার মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৭টায় জামাত হবে।

ধানমণ্ডির সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ১২ নম্বর রোডে অবস্থিত তাকওয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ৬ নম্বর রোডের ঈদগাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া মিরপুর ১২ নম্বরের ‘এ’ ব্লকের হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৭টায় ঈদ জামাত হবে।

বকশীবাজার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮টায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মারকাজুল ফিকরি ইসলামীতে সকাল ৭টায়, সি-ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, এফ ব্লকের জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কে ব্লকের মদিনাতুল উলুমে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

কাজলারপাড় ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সকাল ৯টায়, খিলগাওয়ের পল্লীমা সংসদ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায়, লক্ষ্মীবাজারের মিয়া সাহেব ময়দা শাহ বাড়ি জামে মসজিদে সকাল ৭টায় ও নূরাণী জামে মসজিদে ৮টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।

মগবাজার বিটিসিএল মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মিরপুর দারুস সালামের মাদবর বাড়ি মসজিদে সকাল ৭টায়, কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত হবে।

এছাড়া আগারগাঁওয়ের দারুল ঈমান মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, কৃষি বাজার তাহেরীয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মদপুরের মসজিদ-এ-তৈয়্যেবিয়ায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে।

মঙ্গলবার জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দান পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম জানান, কেন্দ্রীয় ঈদের জামাতের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে প্রধান দুটি ঈদ জামাত হবে। পাশাপাশি ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে আলাদা ঈদ জামাত হবে।

সিটি মেয়র জানান, স্বাভাবিক বৃষ্টিতে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানির ঝাপটা থেকে বাঁচতে স্টেজের চারপাশে কাপড়ের পর্দা দেওয়া হবে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে।

এবারের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম হাফেজ মৌলানা আহমদুল হক।

নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় আটটি মসজিদে ঈদ জামাত হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহম্মেদ।

এগুলো হলো- লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদে, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ।

ঈদের দিন সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এমএ আজিজ সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে ঈদের জামাত হবে।

বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ জানিয়েছেন, নগরীতে প্রধান ঈদ জামায়াত হবে সকাল ৭টায় নগরীর হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে।

সাড়ে ৭টায় আমতলা মোড়ে বরিশাল ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদে হবে দ্বিতীয় প্রধান জামাত।

জেলার সবচেয়ে বড় জামাত হবে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরমোনাই পীরের দরবার শরীফে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এই জামাত হবে।

এছাড়া উজিরপুরের গুটিয়ার নান্দনিক বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে। দুইটি করে জামাত হবে নগরীর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ, জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ ও জামে কসাই মসজিদে।

নগরীর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব ও মাওলানা আব্দুল কাদের জানান, সকাল ৮টায় সেখানে প্রথম জামাত হবে। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়।

গির্জামহল্লার জামে কসাই মসজিদে সকাল ৭টায় সেখানে প্রথম জামাত এবং সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত হবে। চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টা ও সাড়ে ৯টায় দুটি জামাত হবে।

নগরীর আলেকান্দা নূরিয়া স্কুল মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং সাড়ে ৮টায় দুটি ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। চৌমাথা মারকাজ মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় মোট ৮ হাজার ৭৩৪টি মসজিদ রয়েছে, এদের মধ্যে ৮ হাজার মসজিদেই ঈদ জামাত হবে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ জেলার প্রায় আড়াই হাজার স্থানে ঈদুল আজহার জামাত হবে। প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে।

একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল পৌনে ৯টায়। সেই লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ার।

এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম জামাত, সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত হবে। আকুয়া মার্কাজ মসজিদের মাঠে সকাল ৭টায়, ময়মনসিংহ মার্কাজ মসজিদে সকাল ৮টায়, গাঙ্গিনারপাড় জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে সকাল ৮টায়, ভাটিকাশর জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও জেলাখানা মসজিদে সকাল ৮টায় জামাত হবে। এছাড়া জেলার ৭৩টি স্থানে বড় পরিসরে ঈদের জামাত হবে।

রাজশাহী

রাজশাহীতে এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে, সকাল ৮টায়। তবে বৃষ্টি হলে বা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে একই সময় ঈদের প্রধান জামাত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ জামে মসজিদে। মানুষ বেশি হলে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে দরগা মসজিদে পর পর দুটি জামাত হবে।

রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাতও হবে সকাল ৮টায়, মহানগর ঈদগাহে (টিকাপাড়া)। বৃষ্টি হলে একই সময়ে পাশেই থাকা টিকাপাড়া মোহাম্মপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত হবে। এছাড়া সকাল ৮টায় মহানগরীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত হবে বড় মসজিদ সংলগ্ন সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে।

এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সকাল ৭টায় ঈদ জামাত হবে।

সিলেট

সিলেটে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত হবে নগরীর শাহী ঈদগাহ ময়দানে। একই সময়ে সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে।

শাহজালালের দরগাহ মসজিদে সকাল ৮টায় হবে ঈদ জামাত। এছাড়া নগরীর ছোট-বড় আরও তিন হাজার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদ জামাতের আয়োজন থাকছে।

খুলনা

প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ।

আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

টাউন জামে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনা আলিয়া মাদরাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও সোয়া ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৭ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর

প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কালেক্টরেট ঈদগাহে। ঈমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা হাফিজুল ইসলাম। আবহাওয়া খারাপ হলে ঈদের প্রধান জামাত হবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টায়। সেখানে ৯টায় হবে দ্বিতীয় জামাত।

এছাড়া মুন্সিপাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়, হজরত মাওলানা কেরামত আলী মাজার সংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, মণ্ডল পাড়া বড় ঈদগাহ ও দামোদরপুর বড় ময়দানে সাড়ে ৯টায়, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ৯টায়, বদরগঞ্জ চান্দামাড়ি কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায়, পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তারাগঞ্জ চৌপথি ঈদগাহ, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, গঙ্গাচড়ার পাইকান বড় জুম্মা মসজিদ মাঠে সকাল ৯টায়, ধাপ স্টাফ কোয়াটার জামে মসজিদ মাঠে এবং বুড়িরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৯টায়, বুড়িরহাট মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত হবে।

দুই দশক ধরে কাবা প্রাঙ্গণে শ্রীলঙ্কান এক দম্পতি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আশরাফ ও ফাতেমা দম্পতি, ছবি: সংগৃহীত

আশরাফ ও ফাতেমা দম্পতি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দুই দশক ধরে মক্কার মসজিদে হারামে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার এক দম্পতি। পবিত্র এ মসজিদে আগত হজ ও উমরাযাত্রী এবং মুসল্লিদের সেবায় তারা কাজ করছেন। সম্প্রতি সৌদি গেজেট তাদের নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে ১৪ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছে। তাদের মধ্যে সৌভাগ্যবান এক দম্পতি হলেন শ্রীলঙ্কার আশরাফ ও ফাতেমা। ইসলামের এ পণ্যভূমিতে দীর্ঘকাল সেবা দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।

মক্কার মসজিদে হারামে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ এ সময়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখী হন তিনি। জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি একটি উত্তম কাজের সুযোগ পাওয়া তারা মহান আল্লাহর প্রশংসা করেন।

সম্মানিত এ স্থানে আসার গল্প শুরু হয় প্রায় বিশ বছর আগে। তখন ফাতেমা মসজিদে হারামে কাজের সুযোগ পায়। তিনি নারীদের নামাজের স্থানে কাজ করতেন। সেখানে ছড়িয়ে থাকা জায়নামাজগুলো গুছিয়ে রাখার দায়িত্ব ছিল তার।

কয়েক বছর পর তিনি নিজের স্বামীকেও মসজিদে হারামের দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। প্রেসিডেন্সি বিভাগ তার আবেদনকে অনুমোদন দেয়।

ফাতেমা জানান, মসজিদে হারামে তিনি চার বছর একাকী দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান, যেন তার স্বামী আশরাফকে হারামাইনের কর্মী হিসেবে আনা হয়। এদিকে এতদিন যাবত শ্রীলঙ্কায় কাজ করতেন আশরাফ।

প্রথম পর্যায়ে অনিচ্ছুক থাকলেও পরবর্তীতে মক্কায় চলে আসেন আশরাফ। পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে এখন মুসল্লিদের সেবা দিয়ে আনন্দবোধ করছেন তিনি।

আশরাফ বলেন, ‘পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। ফাতেমা ও আমি একসঙ্গে কাজ করি এবং একেঅপরকে সহযোগিতা করি। প্রতি সপ্তাহে আমরা উমরা পালন করি।’

মক্কার মতো সম্মানিত স্থানে দায়িত্ব পালন তাদের জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। মসজিদে হারামে কাজ করতে পেরে নিজেদেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার এ দম্পতি।

;

যেভাবে দরুদ-সালাম পৌঁছে নবী কারিম (সা.)-এর কাছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি : সংগৃহীত

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। তার নাম শুনলে দরুদ পাঠ করা তার প্রতি ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন। উম্মতের পঠিত দরুদ-সালাম তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনি শোনেন ও জবাব দেন।

দরুদ-সালাম পাঠের নির্দেশনা
নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতসহ অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির মতো নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করার নির্দেশনা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ রাসুলের প্রতি দরুদ-সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত নাজিল করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবীর জন্য রহমতের দোয়া করে। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর প্রতি রহমতের দোয়া করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ -সুরা আহযাব : ৫৬

দরুদ-সালাম পাঠের ফজিলত : হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। দুনিয়া ও আখেরাতে দরুদ-সালাম পাঠকারীর জন্য সৌভাগ্যের সব দুয়ার খুলে যায়।

দরুদ-সালাম পাঠের বিভিন্ন মর্যাদার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করে, মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন। -সহিহ মুসলিম : ৪০৮

দূরবর্তীদের দরুদ-সালাম পৌঁছানো হয়
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যেকোনো উম্মত, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে তার প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করলে ফেরেশতারা তা তার কাছে পৌঁছে দেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর নির্ধারিত একদল ফেরেশতা রয়েছেন, যারা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ান এবং আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেন।’ -সহিহ ইবনে হিব্বান : ৯১৪

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। আর আমার কবরে উৎসব করো না। আমার ওপর দরুদ পাঠাও। কেননা তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের দরুদ আমার কাছে পৌঁছবে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২০৪২

নিকটবর্তীদের দরুদ-সালাম শোনেন
নবী কারিম (সা.)-এর কবরের পাশ থেকে দরুদ-সালাম পেশ করলে তিনি তা শোনেন। মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে নবীদের দুনিয়ার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ -সুরা জুমার : ৩০

তবে মৃত্যুর পর তারা আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেন। নবীদের কবরের জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো- কবরে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন- কবরে তাদের দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। -সুনানে আবু দাউদ : ১০৪৭

তারা কবরে নামাজ আদায় করেন। -মুসনাদে আবু ইয়ালা : ৩৪২৫

হজরত মুসা (আ.) তার কবরে স্বশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়টি নবী (সা.) উল্লেখ করেছেন। -সহিহ মুসলিম : ২৩৪৭

আল্লাহর পক্ষ থেকে তারা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত। -ইবনে মাজাহ : ১৬৩৭

তাদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তারা তা সরাসরি শোনেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর দরুদ পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূরে থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ -ফাতহুল বারি : ৬/৬০৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সালামের জবাব দেন
কেউ নবী কারিম (সা.)-কে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ থেকে ও দূর থেকে নবী কারিম (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে দরুদ-সালাম পেশ করতে থাকে, আর নবী কারিম (সা.) এর উত্তর দিতে থাকেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি যখন আমার ওপর সালাম পেশ করে, তখন আল্লাহ আমার মধ্যে আমার আত্মা ফিরিয়ে দেন। ফলে আমি তার সালামের জবাব দিই।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২০৪১

বস্তুত মহান আল্লাহ নবী কারিম (সা.)-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। তিনি উম্মতের প্রতি অত্যন্ত দয়ার্দ্র ও স্নেহশীল ছিলেন। উম্মতের কল্যাণে তিনি সদা ব্যাকুল থাকতেন। এই উম্মতের ওপর তার অবারিত অনুগ্রহ রয়েছে। এর অন্যতম দাবি হলো- তার প্রতি দরুদ-সালামের নাজরানা পেশ করা। তার প্রতি পঠিত দরুদ-সালাম তার কাছে পৌঁছে যায়।

;

মুসলিমদের কাছে ক্ষমা চাইল শ্রীলঙ্কা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইফতার মাহফিলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ছবি: সংগৃহীত

ইফতার মাহফিলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস মহামারির সময় মৃতদের লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় মুসলিমদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

এ ছাড়া ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত একটি যৌথ প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা।

করোনা মহামারির সময় মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিমদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।

বুধবার (২৪ জুলাই) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিমদের লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বীপ দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। যদিও করোনায় মৃতদের লাশ মুসলিম রীতিতে দাফন করাকে নিরাপদ বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া মৃতদের লাশ ইসলামিক রীতিতে দাফন নিরাপদ বলে বিশেষজ্ঞরাও মতামত দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাধ্যতামূলকভাবে লাশ পুড়িয়ে ফেলার নীতির বিষয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা’ করেছে দেশের মন্ত্রিসভা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারির সময় লাশ বাধ্যতামূলকভাবে পুড়িয়ে ফেলার বিষয়ে সরকারের এই নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল সম্প্রদায়ের কাছে ‘সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে’ মন্ত্রিসভার সদস্যদের একটি গ্রুপ যৌথ প্রস্তাবও অনুমোদন করেছেন।

করোনা মহামারির সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন গোটাবায়া রাজাপাকসে। তার সরকারই সেসময় এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় একটি নতুন আইন করা হবে হবে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মুসলিম বা অন্যকোনো সম্প্রদায়ের মানুষের দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার রীতিনীতি লঙ্ঘন না করা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।

ঐতিহ্যগতভাবে, মুসলমানরা মুসলিমদের লাশকে কেবলার দিকে মুখ করে দাফন করে থাকে। আর শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের মরদেহ হিন্দুদের মতো সাধারণত দাহ করা হয়।

শ্রীলঙ্কার মুসলিম প্রতিনিধিরা সরকারের এই ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু তারা বলেছে, তাদের সমগ্র সম্প্রদায় এই ঘটনার আঘাত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশের ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ হচ্ছে মুসলিম জনগোষ্ঠী।

;

ব্রিটিশ রাজনীতিতে মুসলমানদের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো আইন ও বিচার মন্ত্রী হয়েছেন একজন মুসলিম নারী, তিনি কোরআন হাতে শপথ নিয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো আইন ও বিচার মন্ত্রী হয়েছেন একজন মুসলিম নারী, তিনি কোরআন হাতে শপথ নিয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়া সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে রেকর্ডসংখ্যক মুসলিম এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারই প্রথমবারের মতো দেশটির মন্ত্রিসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন একজন মুসলিম নারী। শাবানা মাহমুদ নামের ওই মন্ত্রী পবিত্র কোরআন হাতে শপথ নিয়েছেন।

এ ছাড়া আরও দুই মুসলিম নারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তাদের অন্যতম হলেন- বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী। তিনি গৃহায়ণ, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি হয়েছেন। এর আগে যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ।

মুসলিম নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে ২০১৯ সালে ১৯ জন এমপি ছিলেন। এবারের নির্বাচনে ২৫ জন মুসলিম নির্বাচিত হয়েছে। ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলিম এমপি এবারই নির্বাচিত হলেন।

নির্বাচিতদের মধ্যে ১৮ জন লেবার পার্টির, চারজন স্বতন্ত্র, দুজন কনজারভেটিভ পার্টির এবং একজন লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের।

মুসলিম নেটওয়ার্কের দাবি, গাজার প্রতি মুসলিম ভোটারদের সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। ফলে চারজন মুসলিমসহ পাঁচটি স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয় পেয়েছেন।

তারা মোট ৬৫০ এমপির প্রায় ৪ শতাংশ। তবে মুসলিমরা যেহেতু ব্রিটেনের জনসংখ্যার ৬.৫ শতাংশ, তাই হাউস অফ কমন্সে মুসলিমদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আরও ১৭ জন এমপি দরকার।

নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে ব্রিটেনের ইসলামি মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মাসুদ শাজারেহ বলেছেন, ব্রিটেনের রাজনৈতিক অঙ্গনে মুসলমানরা প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ব্রিটেনে বেশি সংখ্যায় মুসলমানদের যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয় প্রায় এক শতাব্দী আগে। বর্তমানে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্রিটেনে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ।

মাসুদ শাজারেহ সম্প্রতি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম ভোটের প্রভাবের কথা তুলে ধরে বলেন, ব্রিটিশ রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা কার্যকর শক্তিতে পরিণত হয়েছে মুসলমানরা। এটাকে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহারের জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনে মুসলমানদের অসন্তোষের কারণে ব্রিটিশ লেবার পার্টি কয়েকটি আসন হারিয়েছে। এই প্রভাব ব্রিটিশ রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

ব্রিটিশ মুসলিম কাউন্সিলের মতো আরও সংগঠন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের সংগঠনের উপস্থিতি মুসলমানদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে তা মানুষের কাছে উপস্থাপনের সুযোগ তৈরি করে।

গত ৪ জুলাই সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে লেবার পার্টি পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তবে গাজায় নির্বিচার গণহত্যার ব্যাপারে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিল মুসলমানেরা। তারা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

ব্রিটিশ জনগণ দেশটির খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং দখলদার ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞের প্রতি সরকারের সমর্থনের প্রতিবাদে ভোট দিয়েছে। এর অর্থ হলো, লেবার পার্টি বিজয় পেলেও সেটা তার নিজের নীতির কারণে পায়নি বরং বিরোধী দলের অপছন্দনীয় কিছু কাজ ও নীতির কারণে মানুষ বিদ্যমান বিকল্প ধারাটিকে বেছে নিয়েছে।

;