কানাডা বিনির্মাণে মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডা বিনির্মাণে মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে

কানাডা বিনির্মাণে মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে

আজকের পরিচিত কানাডা বিনির্মাণে মুসলিম সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ১৮৭১ সালের প্রথম সরকারি আদমশুমারিতে এখানে ১০ জনের মতো মুসলিম ছিল। বর্তমানে কানাডার জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ মুসলিম। এখানে প্রতি মহাদেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। কানাডার মুসলিমরা প্রতিদিন কলা ও একাডেমির নানা শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বৈচিত্র্য কানাডাকে আরো প্রাণবন্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে অবদান রাখছে।

কানাডায় অক্টোবর মাসজুড়ে ইসলামিক হিস্ট্রি মান্থ (আইএইচএম) উদযাপন উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে কানাডার বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্ত বিষয়ক মন্ত্রী কামাল খেরা এসব কথা বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

১৭ বছর ধরে মুসলিমদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি স্থানীয়দের মধ্যে তুলে ধরতে ইসলামিক হিস্ট্রি মান্থ উদযাপিত হয়। তবে এবারই প্রথম ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধ বিষয়ক দেশটির বিশেষ প্রতিনিধি আমিরা আল-গাওয়াবি ঐতিহ্যের মাসটি উদযাপন করছেন। এবার শিল্পকলা ও বিজ্ঞানে মুসলিম নারীদের অবদান উদযাপন করা হবে।

এক বিবৃতিতে আইএইচএম জানিয়েছে, ‘ইসলামিক হিস্ট্রি মান্থে কানাডা বিশ্বাস করে, শিক্ষা ও ইতিবাচক গল্প প্রচারের মাধ্যমে কানাডার সবাই সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে বেড়ে উঠতে পারে এবং একে অন্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। ২০০৭ সালে অটোয়া-ভ্যানিয়ারের এমপি মৌরিল বেলেঙ্গার মাসটি উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পর থেকে কানাডার সব প্রদেশ, পৌরসভা, জনগোষ্ঠী ও সংস্থাগুলো প্রতিবছর অসংখ্য ইভেন্ট আয়োজন করে থাকে। তারা একে অপরের কাছ থেকে শেখা ও ভালো বিষয়গুলো গ্রহণের জন্য সমবেত হয়।’

বিজ্ঞাপন

আইএইচএম আরো জানায়, ‘এ বছর যুগ যুগ ধরে শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের উন্নয়নে মুসলিম নারীদের ঐতিহাসিক অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে। তাদের মধ্যে রয়েছেন কানাডার প্রথম মসজিদ আর-রশিদের প্রতিষ্ঠাতা হিলবি হামদুন, ইসলামিক হিস্ট্রি মান্থের সহপ্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদা ভ্যালিয়ানতি, শিক্ষাবিদ ও আইনজীবী খাদিজা হাফাজি ও কানাডিয়ান কাউন্সিল অব মুসলিম উইমেনের প্রতিষ্ঠাতা লিলা ফালমান।’

কানাডার বিভিন্ন রাজ্যে ইসলামের ইতিহাসের মাস উদযাপিত হচ্ছে। এর মধ্যে ইসলামিক সোসাইটি অব কিংস্টন ও গ্লোবাল পারসপেকটিভসের আয়োজনে মুসলিম নারী শিল্পীদের গল্প আলোচনা করা হয়েছে।

ইসলামিক সেন্টার অব কিংস্টনে এ মাসের ৮ তারিখ সিরাত সম্মেলন হবে এবং ২২ তারিখ স্থানীয় মুসলিম নারী শিল্পী ও বিজ্ঞানীদের অবদান উদযাপিত হবে।

১৭ তারিখ কুইনস ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ‘আলোকিত ইসলাম ও সংস্কার : মুসলিম বিশ্বে সংস্কারের উদ্ভব এবং আধুনিক অনুসন্ধান’শীর্ষক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হবে।