রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়তেন

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়তেন, ছবি : সংগৃহীত

রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়তেন, ছবি : সংগৃহীত

বৃষ্টি একদিকে যেমন রহমতের, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আজাবও হতে পারে। এ কারণে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টি দেখলেই মহান আল্লাহর কাছে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। হাদিসে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন বৃষ্টি হতো তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন-

اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا

বিজ্ঞাপন

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিয়া।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারি হয়।’ -সহিহ বোখারি : ১০৩২

বিজ্ঞাপন

বৃষ্টি চলমান সময়ে দোয়া করা সুন্নত। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) বলেন, দুই সময়ের দোয়া খুব কমই ফেরত দেওয়া হয়- আজানের সময়ের দোয়া এবং রণাঙ্গনে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার সময়ের দোয়া। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বৃষ্টির সময়ের দোয়া। -সুনানে আবু দাউদ : ২৫৪০

অতি বৃষ্টি বন্ধে দোয়া
অতি বৃষ্টি হলে তা বন্ধের জন্য নবী কারিম (সা.) দোয়া পড়তেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, এক জুমার দিন নবী কারিম (সা.)-এর খুতবা দেওয়া অবস্থায় এক সাহাবি মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! মাল-সম্পদ সব বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই হাত সম্প্রসারিত করে দোয়া করলেন-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওলানা ওয়ালা আলাইনা, আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াযযিরাবি ওয়া বুতুনিল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের অবস্থা পাল্টে দাও আমাদের ওপর এ অবস্থা চাপিয়ে দিও না। হে আল্লাহ! পাহাড়ী এলাকায়, মালভূমিতে মাঠের অভ্যন্তরে ও গাছপালা গজানো স্থলে তা ফিরিয়ে নিয়ে যাও। -সহিহ মুসলিম : ৮৯৭