ছয় লক্ষাধিক হজযাত্রী সেবা পেয়েছে ‘মক্কা রুটে’

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের হজযাত্রীরাও মক্কা রুটের সুবিধা পাচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের হজযাত্রীরাও মক্কা রুটের সুবিধা পাচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

ক্রমবর্ধমান হজযাত্রীদের উন্নত সেবা দিতে বাংলাদেশসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের জন্য ‘মক্কা রুট’ উদ্যোগ চালু করে সৌদি আরব। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলো থেকে এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি মানুষ বিশেষ সেবা পেয়েছেন।

সৌদি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মক্কা রুট ব্যবহার করেছেন সাতটি দেশের ছয় লাখ ১৭ হাজার ৭৫৬ জন হজযাত্রী। দেশগুলো হলো- মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট।

বিজ্ঞাপন

এসব দেশের হজযাত্রীরা নিজ দেশের বিমানবন্দরেই ইলেকট্রনিক ভিসা ইস্যু, ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বিমানে উঠতে পারেন। ফলে সৌদি আরবে পৌঁছে তাদের আর বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয় না।

নিজ নিজ দেশেই সব হজযাত্রীর লাগেজে, পাসপোর্টে ফ্লাইট ডাটা ও বাসস্থানের তথ্যসংবলিত স্টিকার লাগানো হয়। জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের গ্রহণ করে তাদের বাসস্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। লাগেজও পৌঁছে যায় হাজিদের থাকার হোটেলে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে সীমিতসংখ্যক লোক হজপালন করেন। ২০২২ সালে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ১০ লাখ লোক হজ করেন। আর ২০২৩ সালে ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ করেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৪ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

সৌদি আরবের ঘোষণা অনুসারে আগামী ১ মার্চ (২০ শাওয়াল) হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ৯ মে (১ জিলকদ) থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে। বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন।