শেষ হল হজের নিবন্ধন, কোটার ৫৮ শতাংশই ফাঁকা
চলতি মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনের দুই দফায় সময় বৃদ্ধির পরও পূরণ হয়নি কোটা। এতে ৫৮ শতাংশ কোটা খালি রেখেই বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হজের নিবন্ধন শেষ হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ানো যেতো কিন্তু সংখ্যা জানাতে দেরি হলে মিনায় তাঁবু অনেক দূরে নিতে হবে। এ কারণে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩ জনের।
এবিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি। আর হজযাত্রীর সংখ্যা চূড়ান্ত না হওয়ায় মিনাতেও এখনো বাংলাদেশের তাঁবু বরাদ্দ হয়নি। আবার কোটার বড় অংশ খালি থাকায় পরবর্তী বছরগুলোয় কোটা পাওয়ার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলেনি।
জানাগেছে, হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় সাধারণ হজযাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ কারণে নিবন্ধনে সাড়া মিলছে না।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে হজ করতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন ১০ হাজার ১৯৮ জন। আর বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন ১ লাখ ১৭ হাজার জন। গত ৮ জানুয়ারি চলতি বছরে হজ পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় বাংলাদেশের।