১৮ ঘণ্টা রোজা রাখবেন যেসব দেশের মুসলিমরা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ মার্চ থেকে রোজা শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ মার্চ থেকে রোজা শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

রমজান মুমিনের জন্য প্রশিক্ষণকাল। এ মাসে মুমিন বিনীত প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভ করে এবং সিয়াম সাধনার মাধ্যমে একটি পবিত্র জীবনের দীক্ষা গ্রহণ করে, যে জীবনের মূল পাথেয় আল্লাহভীতি। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখেন। এরপর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙেন। রমজান মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের এ মাস আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও রোজার সময় (ঘণ্টা) একেক দেশে একেক রকমের হবে।

সম্প্রতি সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর ১২ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ১৮ ঘণ্টা হবে একেকটি রোজা।

বিজ্ঞাপন

নুক-গ্রিনল্যান্ড, রেকজাভিক-আইসল্যান্ড, হেলেনস্কি-ফিনল্যান্ড, গ্লাসগো-স্কটল্যান্ড, ওটোয়া-কানাডা, লন্ডন-যুক্তরাজ্য, প্যারিস-ফ্রান্স, রোম-ইতালি, মাদ্রিদ-স্পেনের মুসলিমরা ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা রোজা রাখবেন।

ক্রাইস্টচার্চ-নিউজিল্যান্ড, পুয়ের্তো মন্তে-চিলি, জাকার্তা-ইন্দোনেশিয়া, নাইরোবি-কেনিয়া, করাচি-পাকিস্তান, নয়াদিল্লি-ভারত, ঢাকা-বাংলাদেশ- এশিয়া ও আফ্রিকার এসব দেশে রোজা কম সময়ের হবে। এসব অঞ্চলের মানুষ ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা রোজা রাখবেন।

বিজ্ঞাপন

মধ্যপ্রাচ্য এবং গালফ অঞ্চলের মুসল্লিরা এবার ১৩ থেকে ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখবেন। স্থান ভেদে এটি ভিন্ন ভিন্ন হবে।

আমিরাতস এস্ট্রোনোমি সোসাইটির বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল-জারওয়ান জানিয়েছেন, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে শীতকাল শুরু হয়েছে আর এটি শেষ হবে ২০ মার্চ। তাই এ বছর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে শীতকালে। রজমান মাস যেহেতু ১১ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে, ফলে রোজার শুরুর দিকটায় শীতের ছোঁয়া পাওয়া যাবে।

রমজান মূলতঃ পরিবর্তনের মাস। এ মাসে আল্লাহতয়ালা বান্দার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে তার চিরায়ত অনেক নিয়মেও পরিবর্তন আনেন। রমজানের দাবি হলো, বান্দা তার জীবনের আমূল পরিবর্তন আনবে এবং তার সব মন্দ অভ্যাস পরিহার করবে, যেন সে রমজানে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভ করতে পারে। যে ব্যক্তির রোজা তার দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে না, যা মানুষের নিত্যদিনের পাপ পরিহারে ভূমিকা রাখে না সে রোজা নিষ্ফল। সুতরাং সময় নিয়ে সত্যিকারের মুমিনরা ভাবেন না। তারা একাগ্রতার সঙ্গে সিয়াম সাধনা পালন করেন।