আদর্শ মসজিদ যেমন হবে

  • মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ, অতিথি লেখক, ইসলাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের মিয়াবাড়ি মসজিদ, ছবি : সংগৃহীত

বরিশালের মিয়াবাড়ি মসজিদ, ছবি : সংগৃহীত

ইসলামি জীবনব্যবস্থার সামগ্রিক কার্যক্রমের সূচনা হয়েছে মসজিদকে কেন্দ্র করে। মসজিদই সব কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। ইমানদার হিসেবে আমাদের কর্তব্য, আমরা যে যেখানে থাকি না কেন, মসজিদ আবাদ করা। এটি ইমানি দায়িত্ব। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ইমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামাজ, আদায় করেছে জাকাত আর আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করেনি। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’-সুরা তওবা : ১৮

হিজরতের পর হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) যে কাজটির প্রতি সর্বপ্রথম মনোযোগ দিয়েছেন, তা হচ্ছে- একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ ও তা আবাদ করা। মদিনা রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র ছিল এই মসজিদ। মদিনা রাষ্ট্রের সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো মসজিদে নববি থেকে। একটি আদর্শ মসজিদে কী ধরনের কার্যক্রম চালু থাকা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে ইসলামি স্কলাররা বলেন-

বিজ্ঞাপন

নুরানি মাদ্রাসা : এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য নুরানি মাদ্রাসা চালু করা। এ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে স্কুলশিক্ষার্থী এবং বয়স্কদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করে পবিত্র কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা চালু রাখা।

পাঠাগার : মসজিদের একটি অংশে ইসলামি বইয়ের পাঠাগার থাকা দরকার। এতে কোরআন, সুন্নাহ, আকিদা, ফিকাহ, সিরাত, তাফসির ও ইসলামি বিভিন্ন বই থাকতে পারে। মসজিদ থেকে বই নিয়ে আবার ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে সবাই পড়ার সুযোগ পাবে। মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে অবগতির জন্য পাঠাগারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বিজ্ঞাপন

সপ্তাহব্যাপী তালিম : মসজিদে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন তালিম বা দরস চালু রাখা যায়। কোরআন-হাদিসের তালিম, আকাইদ ফিকাহ ও সিরাত প্রভৃতির তালিম চালু রাখলে মানুষের ফায়দা হবে। এজন্য মসজিদ কর্র্তৃপক্ষকে ইমাম-মুয়াজ্জিন হিসেবে যোগ্য আলেম নিয়োগ দেওয়া দরকার।

সমাজসেবামূলক কাজ : মসজিদের যদি একটি সদকা ও জাকাত ফান্ড থাকে, তাহলে এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ধরনের অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করা যায়। যেমন চিকিৎসার খরচ, বিয়েতে সহযোগিতা, নওমুসলিম পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া ইত্যাদি।

দাওয়াত ও তাবলিগ : আলেমদের পরামর্শক্রমে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ চালু রাখা। অমুসলিমদের মধ্যে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্যও একটি দল থাকা দরকার। এ ধরনের উপকারী কাজ মসজিদে মসজিদে চালু থাকলে জনগণের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়বে। মানুষ দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং মসজিদও আবাদ হবে।