মদিনায় খেজুর উৎপাদনে রেকর্ড
সৌদি আরবের মদিনা অঞ্চল খেজুর উৎপাদনে রেকর্ড করেছে। এ অঞ্চলের ২৬ হাজার খামারে ২৮ প্রজাতির খেজুর চাষ করা হয়। গত এক বছরে এ অঞ্চলে খেজুর উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯৭.৯ মিলিয়ন কেজি, যার বাজারমূল্য ৯৪৮ মিলিয়ন সৌদি রিয়ালের বেশি। সৌদি আরবের পরিবেশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
উৎপন্ন খেজুরের মধ্যে রয়েছে- আজওয়া ও সুক্কারি ২০.৭ মিলিয়ন কেজি, সাফাবি ৫.৫ মিলিয়ন কেজি, সাগাই ও বার্নি খেজুর ৬.৩ মিলিয়ন কেজি, বারহি, মাবরুম, মেদজুল ও আম্বার খেজুর সম্মিলিতভাবে ৬.২ মিলিয়ন কেজি।
২০২৩ সালে উৎপন্ন এসব খেজুর মদিনার বিমানবন্দরের মাধ্যমে ইংল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, চীন, তুরস্ক, কমোরোস, জর্দান, উগান্ডা, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের ৬৩টির বেশি দেশে রপ্তানি হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ খেজুর উৎপাদনকারী পাঁচটি দেশ হলো- মিসর, সৌদি আরব, ইরান, আলজেরিয়া ও ইরাক। সৌদি আরবে ১.৬ মিলিয়ন টন খেজুর উৎপন্ন হয়, যার বাজারমূল্য ৭.৫ বিলিয়ন সৌদি রিয়ালেরও বেশি। তিন শর বেশি ধরনের উৎপন্ন এসব খেজুর দেশটির মোট কৃষি উৎপাদনের ১২ শতাংশ।
খেজুর সৌদি আরবের অন্যতম আয়ের উৎস। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরে সময়ে সময়ে খেজুর উৎসব হয়। সৌদি আরবের আল-কাসেম প্রদেশের রাজধানী বুরাইদা শহরে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। এর আয়তন প্রায় ৫ হাজার ৪৬৬ হেক্টর, এখানে ৪৫ প্রকারের খেজুর উৎপাদিত হয়।
বাগানটির মালিক শেখ সালেহ বিন আবদুল আজিজ রাজেহি। তার নামানুসারেই বাগানের নাম রাখা হয়েছে ‘রাজেহি বাগান।’ ১৯৯০ সালের দিকে বাগানটিতে খেজুরের সঙ্গে গম ও তরমুজ উৎপাদন করা হতো। ১৯৯৩ সাল থেকে শুধুমাত্র খেজুর উৎপাদন শুরু হয়।
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই খেজুর বাগানের কোনো খেজুরই বিক্রি করা হয় না। এই বাগানের পুরো উৎপাদনই আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দেওয়া।