প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কেন রোজা শুরু হয়

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়েই দিনব্যাপী রোজা রাখা হয় সাধারণত ১২ থেকে ১৭ ঘণ্টা, ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়েই দিনব্যাপী রোজা রাখা হয় সাধারণত ১২ থেকে ১৭ ঘণ্টা, ছবি : সংগৃহীত

চান্দ্রমাস হওয়ায় প্রতিবছরই দেশে দেশে পবিত্র রমজান মাস শুরুর ক্ষেত্রে দু-এক দিনের হেরফের হয়। একেকটি দেশে এমনটা যে শুধু মাস শুরুর ক্ষেত্রেই হয়, তা কিন্তু নয়। রোজাদারেরা কত ঘণ্টা রোজা রাখবেন, পার্থক্য হয় সেই সময়েও।

বিশ্বজুড়েই দিনব্যাপী রোজা রাখা হয় সাধারণত ১২ থেকে ১৭ ঘণ্টা। একজন রোজাদার পৃথিবীর কোন স্থানে অবস্থান করছেন, তার ওপর ভিত্তি করে রোজা রাখার সময়ে এই পার্থক্য হয়।

বিজ্ঞাপন

শরিয়া মোতাবেক একজন মুসলিমকে ফজরের নামাজের সময় শুরু হওয়া থেকে মাগরিবের নামাজের সময় শুরুর আগপর্যন্ত অর্থাৎ সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিনব্যাপী রোজা রাখতে হয়। এই সময়ে খাবার ও পানীয় গ্রহণ, ধূমপান ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকতে হয়। এর মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহতায়ালার ভয় ও তার নৈকট্য অর্জন করার সুযোগ পান রোজাদার ব্যক্তি।

প্রতিবছর রমজান মাস পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ১০ থেকে ১২ দিন এগিয়ে আসে। এর কারণ, ইসলামি ক্যালেন্ডারে মাসের হিসাব করা হয় হিজরি চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী। চান্দ্রবর্ষে একেকটি মাস ২৯ বা ৩০ দিন হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

পৃথিবীর সর্বদক্ষিণের দেশগুলো, যেমন চিলি বা নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী মুসলিমরা এ বছর প্রায় ১২ ঘণ্টা রোজা রাখছেন। বিপরীতে, সর্ব-উত্তরের দেশগুলো, যেমন আইসল্যান্ড বা গ্রিনল্যান্ডের মুসলিমরা রোজা পালন করছেন ১৭ ঘণ্টার কিছু বেশি।

চান্দ্রবর্ষ সৌরবর্ষের চেয়ে ১১ দিন কম হওয়ায় ২০৩০ সালে রমজান মাস পালন করা হবে দুবার। ওই বছর প্রথম রমজান মাস শুরু হবে ৫ জানুয়ারি। আর ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে দ্বিতীয় রমজান মাস।

এবারের মতো ১২ মার্চের পর আবারও রমজান মাস শুরু হবে এখন থেকে ঠিক ৩৩ বছর পর। সালটি হবে ২০৫৭।