কোরআন মাজিদ মাটিতে না রাখা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণভাবে মাটিতে রাখলে কোরআনকে অসম্মান করা হয়, ছবি : সংগৃহীত

সাধারণভাবে মাটিতে রাখলে কোরআনকে অসম্মান করা হয়, ছবি : সংগৃহীত

মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে বিশ্বের নানা প্রান্তের, নানা ভাষার, নানা বর্ণের মানুষের ভিড় থাকে। তাদের সাজ-পোশাক থেকে শুরু করে আচার-ব্যবহার এমনকি মাজহাবগত ভিন্নতার কারণে নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, রওজা শরিফ জিয়ারতে ভিন্নতা দেখা যায়।

অনেক সময় দেখা যায়, জায়নামাজের ওপর কোরআন মাজিদ রাখছে, বায়তুল্লাহর দিকে পা দিয়ে বসে আছে, তাওয়াফের সময় সমস্বরে দোয়া-দরুদ করছে। এগুলো দেখে অনেক হাজি ভুল বার্তা গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, কোলের ওপরে কোরআন মাজিদ রেখে আদবের সঙ্গে পড়তে কোনো আপত্তি নেই। কোরআন তেলাওয়াত অবস্থায় কোরআন মাজিদ কোলে রাখা সম্পর্কে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, এটি কি আদবের খেলাপ? উত্তরে তিনি বলেছেন, না।

কোরআনে কারিম আল্লাহতায়ালার বাণী। কোরআন মাজিদকে সম্মান করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। সাধারণভাবে মাটিতে রাখলে কোরআনকে অসম্মান করা হয়। তাকে অবশ্যই কোনো উঁচু স্থানে রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

একবার একদল ইহুদি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে এক ব্যভিচারী নারীর শাস্তির দাবি করল। তখন তিনি (নবী কারিম সা.) তাওরাত নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন এবং সেটি নিচে না রেখে একটি বালিশের ওপর রাখলেন। -সুনানে আবু দাউদ : ৪৪৪৯

কোরআন মাজিদ মাটি থেকে একটু ওপরে রাখা উত্তম। যেমন- রেহাল, টেবিল, চেয়ার, তাক, আলমারি কিংবা অন্য সাধারণ বইয়ের ওপর ইত্যাদি। এটা কোরআন মাজিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শের জন্য অধিক উপযোগী।

তবে যদি প্রয়োজনবশতঃ (কোরআনকে অপমান করার উদ্দেশ্যে না থাকে) পবিত্র মাটির ওপর কোরআন রাখা হয়, তাহলে গোনাহ নেই। যেমন- যদি উঁচু স্থানে রাখার কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথচ তেলাওয়াতে সেজদা দিতে হবে। তাহলে এ অবস্থায় পবিত্র মাটির ওপর রাখা জায়েজ। দরকার বশতঃ পবিত্র মাটির উপর রাখা নিষেধ এমন কোনো হাদিস পাওয়া যায় না। তবে নিঃসন্দেহে কোরআনের সম্মান প্রদর্শনার্থে মাটি থেকে উঁচুতে রাখা অধিক উত্তম।

তাই আমাদের উচিৎ, কোরআন মাজিদ, হাদিসের কিতাব ও ধর্মীয় গ্রন্থসহ যে সব বইয়ে কোরআনের কিছু আয়াত থাকে, সেগুলোকে সম্মান করে মাটির ওপর না রাখা।