নবী কারিম (সা.)-এর জীবনীমূলক ভ্রাম্যমাণ মিউজিয়াম
সৌদি আরবের মক্কায় নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনীমূলক ভ্রাম্যমাণ মিউজিয়াম ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ইসলামি ঐতিহ্যবাহী পাঁচ শতাধিক নিদর্শনাবলি স্থান পেয়েছে।
মূলত নবী কারিম (সা.)-এর সুমহান শিক্ষার আলোকে ইসলামের উদারতা ও ধর্মীয় সহনশীলতার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়। মক্কার মসজিদের হারামের পাশে ক্লক টাওয়ারে মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে প্রদর্শনীটি চালু করা হয়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের মহাসচিব ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল-ঈসা। তিনি জানান, রমজান মাসে পবিত্র মক্কায় পরীক্ষামূলক আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এতে ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক ৩০টির বেশি বিভাগ রয়েছে। ডিজিটাল ও ইন্টারেক্টিভ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের পাঁচটি ভাষায় দুই শতাধিক ভিজ্যুয়াল ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
গত ২০২১ সালে মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের তত্ত্বাবধানে মসজিদে নববির পাশে সর্বপ্রথম নবী কারিম (সা.)-এর জীবনী ও ইসলামি সভ্যতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক মেলা ও মিউজিয়াম চালু করা হয়। এটি উদ্বোধন করেছিলেন মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান। এতে প্রধানত ২৫টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
মূলতঃ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর স্মৃতি সংরক্ষণ করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অনেকগুলো জাদুঘর, গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এসব জাদুঘরে নবী কারিম (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন জিনিস, আসবাব ও তৈজসপত্র এবং কোরাআনসহ বিভিন্ন গ্রন্থের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সাত বছর আগে ১৪৩৭ হিজরিতে মদিনায় দ্য কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স ফর এনডাউমেন্ট লাইব্রেরিজ যাত্রা শুরু করে। অনেকগুলো নান্দনিক স্থাপত্যে গড়ে উঠেছে কমপ্লেক্সটি। এতে রয়েছে একটি বিশেষায়িত জাদুঘর। এতে অনেকগুলো দুর্লভ কোরআনের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি রয়েছে। রয়েছে মহানবীর ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাব, কার্পেট ও তৈজসপত্র।