শবে কদরের রাতে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের নামাজ আদায়
পবিত্র শবে কদরের রাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এদিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে বিগত দিনের সকল গুনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চোখের পানি ফেলেন।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে জাতীয় মসজিদে এশার নামাজ শেষে তারাবি নামাজের আগে ধর্মীয় বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইবাদত।
এদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় মসজিদে মুসল্লির সংখ্যাও ছিলো চোখে পড়ার মতো। অনেকেই দূর দুরান্ত থেকে এসেছেন বাইতুল মোকাররমে নামাজ আদায় করতে।
রাজধানীর বাড্ডা থেকে বাইতুল মোকাররম মসজিদে নামাজ আদায় করতে এসেছেন শরিফুল ইসলাম। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আজকে একটা পবিত্র রাত। রমজান মাসের এই দিনে আমরা অপেক্ষা করি বাইতুল মোকাররমে এসে নামাজ আদায় করতে। আজকেও নামাজ আদায় করতে এসে ভালো লাগছে।
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেন, এ রাতে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তায়ালা অতীতের সকল পাপ বান্দার ক্ষমা করে দিবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা দোয়ায় অংশ নিবেন। নিজ পরিবার ও দেশ জাতির মঙ্গল কামনায় সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চেয়ে থাকেন। চোখের পানি ফেলে মনের সকল আকুতি নিবেদন করে মহান রবের কাছে চাইবেন।
কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। এজন্য পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
সারাদেশের মুসলমানরা আজ নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র এই শবে কদরের রজনী কাটাবেন।