১৬ জুন হতে পারে কোরবানির ঈদ
১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বাংলাদেশের এক দিন আগে ১০ এপ্রিল সৌদি আরবে পালিত হয় ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতরের ঠিক দুই মাস দশ দিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালনের নিয়ম। সে হিসেবে এবার ঈদুল আজহা হতে পারে ১৬ জুন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী এবার (২০২৪ সালে) ১০ জিলহজ বা ঈদুল আজহা হতে পারে জুন মাসের ১৬ তারিখ।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে আরবি মাসের গণনা শুরু হলেও বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের পরের দিন ঈদুল ফিতরা কিংবা ঈদুল আজহা পালন করা হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
ইসলামমতে, মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) কে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার নির্দেশ দেন। আদেশের পর তিনি তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে আল্লাহতায়ালা খুশি হন এবং শিশু ইসমাইলের পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি হয়।
এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত পশু কোরবানি করেন। শেষনবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের আগে যুগে যুগে সব শরিয়তে কোরবানির বিধান চালু ছিল।
সামর্থ্যবান ব্যক্তির শর্তসাপেক্ষে কোরবানি করা ওয়াজিব। ১০ থেকে ১৩ জিলহজের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী হলে কোরবানি করা ওয়াজিব। অর্থাৎ এই সময় কারও কাছে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা থাকলে অথবা এর মূল্যের সমপরিমাণ সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে কোরবানি করতে হবে।
নবী কারিম (সা.) বলেছেন, কোরবানির দিনে কোরবানি করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। কোরবানির জন্তুর শরীরের প্রতিটি পশমের বিনিময়ে কোরবানিদাতাকে একটি করে সওয়াব দান করা হবে। কোরবানির পশুর রক্ত জবাই করার সময় মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। -মেশকাত
কোরবানির বিনিময়ে সওয়াব পেতে হলে অবশ্যই কোরবানি হতে হবে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে।