আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির মালিকের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়াকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাঃ আবু তাহির সাক্ষরিত এত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সনের হজ মৌসুমে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হ.লা, ০৬৭২) এর অধীন ৪৪৮ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত রয়েছে। উক্ত এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে অদ্যাবধি কোন ভিসা করা হয়নি। তথাপি এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এতে এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীগণ প্রতারিত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে এবং তাঁদের এ বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (ই.লা. ০৬৭২) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়া যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং একইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায়, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হলা. ০৬৭২) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়া এর দেশ ত্যাগ রোধ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে কেন এসব এজেন্সি বর্ধিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা করানো হয়নি তার ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি ৪৪৪ জন হজ যাত্রীর কারোরই ভিসার জন্য আবেদন করেনি। এমতাবস্থায় এই এজেন্সিসহ আরও ৫টি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবু তাহেরের সই করা একটি চিঠিতে এ শোকজ করা হয়। গত বুধবার (১৫ মে) যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজ পাওয়া এজেন্সিগুলো হলো- ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০, ভিসা করা হয়েছে মাত্র ৫ জনের), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০)। এসব এজেন্সির মাধ্যমে মোট ১৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত আনসারি ওভারসিস মাত্র ৫ জনের ভিসা সম্পূর্ণ করেছে। বাকি পাঁচটি এজেন্সি একজন যাত্রীরও ভিসা আবেদন করতে পারেনি।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, গত ৯ মে থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ১৪১ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। ২৫৯টি এজেন্সি/লিড এজেন্সির অধিকাংশই হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করলেও একাধিকবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ৬টি এজেন্সি এখন পর্যন্ত হজযাত্রীদের ভিসা করেনি। ভিসা সম্পন্ন না করায় হজযাত্রীদের হজে গমনে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা রয়েছে। এজেন্সির এমন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না করার বিষয়ে ১৫ মের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। একইসঙ্গে সব হজযাত্রীর ভিসা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

   

আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে ধর্ম পালন করুন



আবদুল ওয়াহাব, অতিথি লেখক, ইসলাম
সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে, এটাই ইসলামের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে, এটাই ইসলামের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বলা হয়, বাঙালি জাতি অন্য জাতির থেকে একটু বেশি আবেগপ্রবণ। তবে আবেগি হওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু বিবেক-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে অতি আবেগি হয়ে কোনো কাজ করলে তা অনেক সময় ভয়ানক হতে পারে। তাই আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা কাম্য।

আমরা জন্মসূত্রে মুসলমান। আমাদের পূর্বপুরুষরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন, তাই আমরাও মুসলিম। মহান আল্লাহতায়ালা, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন, যার মধ্যে সঠিক জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে পরিপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর কোরআন মাজিদের ব্যাখা হিসেবে রয়েছে নবী কারিম (সা.)-এর হাদিস। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা ইসলামের পথ থেকে সরে এসে হয়েছি বিপথগামী। ইসলাম ধর্মের সঠিক দিক-নির্দেশনাগুলো আজ আমাদের মধ্যে নেই।

বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামের মানুষজন ধর্মের প্রতি বেশি আবেগপ্রবণ। গ্রামগুলোতে ঘুরলে দেখা যাবে পাড়ায় পাড়ায় প্রচুর দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় মসজিদগুলো ফাঁকা। আমাদের মনে হয় বুঝি নামাজ শুধু শুক্রবারের জন্যই। কিন্তু শীতের মৌসুমে শুক্রবারেও মসজিদে মুসল্লির উপস্থিতি খুব কম। এতেই পরিষ্কার যে, আমাদের ঈমান কত দুর্বল। অথচ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ৮২ বার নামাজের কথা বলেছেন। নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ ফরজ ইবাদত। আর আমরা সেই নামাজ বাদ দিয়ে নিজেদের সাচ্চা মুসলমান বলে পরিচয় দিই।

সমাজে একশ্রেণির লোক আছে যারা ধর্মকে শুধু মসজিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। তারা মনে করে, ইসলাম ধর্ম মসজিদ পর্যন্তই। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়েই একে অন্যকে নিয়ে গিবত ও পরচর্চা শুরু করি। কীভাবে অন্যের বারোটা বাজিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করা যাবে সেই চিন্তায় মগ্ন হই। ইসলাম এটা কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

আধুনিকতার নামে আমাদের সমাজ আজ বেপর্দা, অশ্লীলতায় ভরপুর। বাইরে বের হলেই অস্বাভাবিক পোশাকে চলে অবাধ অশ্লীলতা। এমন চিত্র শহরে প্রকট, ইদানীং গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে। টিকটক, লাইকি, স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুক ইত্যাদি অনলাইন বিনোদন সাইটগুলোতে বোরকা-হিজাব পরা মেয়েদের নোংরামিতে ছয়লাব। এগুলো শুধু ধর্মকেই কলঙ্কিত করছে না বরং সমাজেরও অধঃপতন ঘটাচ্ছে।

ফেসবুক খুললেই দেখা যায় ইসলামি চিন্তাবিদদের শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে শত শত ক্লিপ বানিয়ে বিভিন্ন আইডি এবং পেজ থেকে আপলোড করা হয়েছে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে সেগুলোর ভিউ (কতসংখ্যক লোক ভিডিওটা দেখেছে) যদি হয় ৫০ হাজার, তাহলে লাইক, কমেন্ট লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মানে অধিকাংশ লোক ভিডিও না দেখে শুধু রিয়্যাক্ট করে পার হয়ে যায়। কিন্তু উচিত ছিল ভিডিওগুলো দেখে সেখান থেকে নিজের ঠিক ভুল যাচাই করা। আসলে আমাদের জানার আগ্রহ কম, মানার আগ্রহ বেশি। আরেক শ্রেণির ধর্মপ্রচারক আছে দেশে, যারা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটছে।

বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে। এটা একদিকে সুখবর, মুসলমানদের জন্য আনন্দের, ঠিক তেমনই যথেষ্ট শঙ্কারও। কারণ কাফের-মুশরিকরা ইসলামের লেবাস পরে মুসলিম সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে মুসলমানদের বিশ্ব ভ্রাতৃত্বকে নষ্ট করার পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। ধর্মকে নিয়ে উসকানিমূলক কোনো বিষয়গুলো যতটা সম্ভব এরিয়ে চলার পাশাপাশি নিজের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। এ বিষয়ে ইসলামের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

মনে রাখতে হবে ইসলাম গোছানো, পরিচ্ছন্ন শান্তির ধর্ম। সবসময় সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করতে হবে। সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে। কোরআন মাজিদ অধ্যয়ন করতে হবে, সুন্নত পালন করতে হবে, অন্য ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবেই বিশ্বে সত্যিকারের ইসলাম প্রতিষ্ঠা পাবে। আমাদের ব্যক্তিজীবনও সুন্দর হবে এবং পরকালে সর্বোৎকৃষ্ট পুরস্কার পাব। তাই আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে ধর্ম পালন করুন।

আল্লাহতায়ালা সবাইকে নেক হয়ে সঠিক পথ বেছে চলার তওফিক দান করুক।

;

পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক আয়াত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক আয়াত, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক আয়াত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আর আপনি নামাজ কায়েম করুন দিনের দুই প্রান্তভাগে ও রাতের প্রথমাংশে। নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য এটা এক উপদেশ।’ -সুরা হুদ : ১১৪

আয়াতটিকে ‘পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক’ বলে উল্লেখ করেছেন অনেক ইসলামি স্কলার। আয়াতে বলা হয়েছে, ভালো কাজগুলোর প্রভাবে পাপ ও মন্দ কাজগুলোর প্রভাব দূর হয়ে যায়।

আশা ও প্রশান্তি হচ্ছে- মানুষের জীবনের প্রাথমিক ভিত্তি। আশা ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকার প্রেরণা পায় না। এখানে মানুষকে আশার বাণী শোনানো হচ্ছে, ‘দিনের দুই প্রান্তে নামাজ ঠিক রাখবে এবং রাতের প্রান্তভাগে। (মনে রাখবে) পুণ্য কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহাস্মারক।’

আয়াতে স্পষ্টভাবে মহান আল্লাহ বলছেন, ‘ভালো কাজগুলো মন্দ কাজগুলোকে তাড়িয়ে দেয় এবং এমনকি পাপের প্রভাব কিংবা কুফলগুলোও দূর করে দেয় এমনভাবে, যেন সে অতীতে কোনো পাপই করেনি। অর্থাৎ ভালো কাজগুলো মন্দ কাজগুলোকে ঢেকে দেয় তথা আগের কাজগুলোকে ঠেকিয়ে দেয়। এভাবে এ আয়াতের সর্বোচ্চ আশাব্যঞ্জকতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

ইসলামি স্কলারদের মতে, ভালো কাজ মন্দ কাজকে বিলোপ করে ও পাপগুলো ঢেকে দেয়- এমন সুসংবাদ মানুষের মধ্যে ভালো কাজ করার প্রেরণা জাগিয়ে তোলে ও মন্দ কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আর সবচেয়ে ভালো কাজ হলো- দিন-রাতের অবশ্য পালনীয় নামাজগুলো, যা এ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নামাজ পাপের প্রভাব ধ্বংসের পাশাপাশি প্রশান্তি ও আশার নিয়ামক। আয়াতে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে তাকে ও তার সমস্ত উম্মতকে নামাজ কায়েমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আয়াতে নামাজ দ্বারা উদ্দেশ্য ফরজ নামাজ।

আলোচ্য আয়াতে নামাজ কায়েমের নির্দেশ দানের সঙ্গে সঙ্গে তার উপকারিতার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পুণ্যকাজ অবশ্যই পাপকে মিটিয়ে দেয়।’ এখানে পুণ্যকাজ বলতে অধিকাংশ আলেমদের নিকট নামাজ বোঝানো হয়েছে। যদিও নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, সদকা ও সদ্ব্যবহারসহ প্রভৃতি যাবতীয় সৎকাজই উদ্দেশ্য হতে পারে। -তাফসিরে কুরতুবি

তবে নিঃসন্দেহে এর মধ্যে নামাজ সৰ্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। অনুরূপভাবে পাপকাজের মধ্যে সগিরা ও কবিরা যাবতীয় গোনাহ শামিল। কিন্তু কোরআন মাজিদের বর্ণনা এবং হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে, এখানে পাপকাজ দ্বারা সগিরা গোনাহ বুঝানো হয়েছে। এমতাবস্থায় আয়াতের মৰ্ম হচ্ছে, যাবতীয় নেক কাজ, বিশেষ করে নামাজ সগিরা গোনহসমূহ মিটিয়ে দেয়। এ হিসেবে ইমাম কুরতুবি বলেন, আয়াতটি পুণ্যকাজের ব্যাপারে ব্যাপক হলেও গোনাহ ক্ষমা করার ব্যাপারে বিশেষভাবে বিশেষিত। অর্থাৎ সগিরা গোনাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

উল্লেখ, সৎকাজ দ্বারা পাপ ক্ষমা হয়- এ কথা কোরআন-হাদিসের অন্যান্য স্থানেও বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি বড় (কবিরা) গোনাহসমূহ হতে বিরত থাকো, তাহলে তোমাদের ছোট ছোট (সগিরা) গোনাহগুলো মিটিয়ে দেব।’ -সুরা নিসা : ৩১

হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং এক রমজান দ্বারা পরবর্তী রমজান পর্যন্ত মধ্যবর্তী যাবতীয় সগিরা গোনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয়, যদি সে ব্যক্তি কবিরা গোনাহ থেকে বিরত থাকে।’ -সহিহ মুসলিম : ২৩৩

অর্থাৎ কবিরা গোনাহ তওবা ছাড়া মাফ হয় না, কিন্তু সগিরা গোনাহ নামাজ, রোজা, দান-সাদকা ইত্যাদি পুণ্যকর্ম করার ফলে আপনা-আপনি মাফ হয়ে যায়।

আলোচ্য আয়াতের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, নেক কাজের ফলে অনেক গোনাহ মাফ হয়ে যায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের থেকে কোনো মন্দ কাজ হলে পরে সঙ্গে সঙ্গে নেক কাজ করো, তাহলে সেটার ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে।’ -জামে তিরমিজি : ১৯৮৭

তবে সৎকাজ দ্বারা শুধুমাত্র সগিরা গোনাহ মাফ হয়। কবিরা গোনাহের জন্য তওবা জরুরি। হাদিসে বলা হয়েছে, যদি সে ব্যক্তি কবিরা গোনাহ থেকে বিরত থাকে। -সহিহ মুসলিম : ২৩৩

;

খুতুবাতে আইয়ূবী

হৃদয়ছোঁয়া একটি বয়ান সংকলন



মুফতি এনায়েতুল্লাহ
খুতুবাতে আইয়ূবীর প্রচ্ছদ, ছবি: সংগৃহীত

খুতুবাতে আইয়ূবীর প্রচ্ছদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বভাবসুলভ হাসিমাখা কথার জাদুতে মন জয় করে নেন উপস্থিত শ্রোতাদের, মুহূর্তেই উজ্জ্বীবিত হয় মাহফিলস্থল। মুমিন হৃদয়ে ঢেউ উথলে উঠে তার হৃদয়ছোঁয়া সুরের মূর্ছনায়। হাজারো জনতা তন্ময় হয়ে হেদায়েতের কথা, আমলের কথা, জীবন পরিবর্তনের কথা শুনেন। দয়াময় আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো, রাসুলের ভালোবাসা অন্তরে লালন এবং ইসলামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম বয়ান শোনে পাষাণ হৃদয়ের অনেক শ্রোতা বলে উঠেন, ‘আর নয় সুযোগ নষ্ট- এখন থেকেই ভালো মানুষ, আমলি মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে চাই।’ তিনি মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী। দেশের আলোচিত মুফাসসিরে কোরআন। আলেমসমাজ তাকে ভালোবেসে ‘সুলতানুল ওয়ায়েজিন’ বলে ডাকেন। তিনি ‘মাহবুবুল উলামা’ বা ‘আলেমদের প্রিয়জন।’

ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ১৯৭৯ সালের ৮ ডিসেম্বর তার জন্ম। জামিয়া রাহমানিয়া থেকে ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে দাওয়ায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এর পর থেকেই দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে বাংলাদেশের সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন। বয়সে তরুণ, কিন্তু সান্নিধ্য পেয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, লেখক, শায়খুল হাদিস ও মুফাসসিরদের। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, খতিব মাওলানা উবায়দুল হক, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতি ফজলুল হক আমিনী, চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ ফজলুল করিম, আল্লামা আহমদ শফী ও মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ গত দুই দশকে তিনি সবশ্রেণির আহলে হক আলেমদের ভালোবাসা, দোয়া ও রাহনুমায়ি পেয়েছেন।

তিনি যেমন খাদেমুস সুন্নাহ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রেখে চলেন দুই যুগ ধরে। তেমনি দেশের অসংখ্য আলেম ও তরুণ ওয়ায়েজ তার সঙ্গে ইসলাহি সম্পর্ক রেখে চলেন।

যেহেতু ওয়াজের মঞ্চ এবং মিম্বরের কথায় রয়েছে বিশাল প্রভাব। বিশেষত সেসব বক্তা, যাদের দিকে মানুষ উৎকর্ণ হয়ে থাকে- তারা কী বলেন, তা শোনার জন্য; মানুষের হৃদয় যাদের কথা শুনে প্রশান্তি লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার যুগান্তকারী বয়ানগুলো সংকলনের দাবি উঠতে থাকে ভক্তমহল থেকে, অবশেষে তা আলোর মুখ দেখছে। মাওলানা আশিকুর রহমান, মুফতি সালাহুদ্দিন মাসউদ (সম্পাদক, মাসিক কলমদানি) ও মাওলানা শুয়াইব আহমাদ অত্যন্ত যত্ন করে বয়ানগুলো গ্রন্থনা করেছেন। সম্পাদনা করেছেন মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান।

জান্নাতের পথ, তরীকুস সুলূক ও ফয়যানে মুরশিদের লেখক মাওলানা আইয়ূবী ৫ সন্তানের জনক। প্রতিষ্ঠা করেছেন সাভারের আলমনগরে মারকাযুত তারবিয়া বাংলাদেশ নামের ভিন্নধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ইসলামবিষয়ক কলামও তিনি নিয়মিত লিখে থাকেন।

যেহেতু সাধারণ মানুষের ওপর ওয়াজের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এর মাধ্যমে বহু মানুষের আমল-আকিদা দুরস্ত হয়। মানুষ দাওয়াত ও তাবলিগে যাওয়ার উৎসাহ পায়, হক্কানি আলেম ও পীর-বুজুর্গদের সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওয়াজের ব্যাপকতার কারণে চরিত্র বিধ্বংসী বিভিন্ন অপসংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। সমাজে চলমান নানাবিধ বিশৃঙ্খলা দূরীকরণে ওয়াজ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে, এটা অস্বীকারের সুযোগ নেই। আর মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর মতো জনপ্রিয় একজন ওয়ায়েজের বয়ানের অনুলিপি সমাজ পরিবর্তনে আরও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

মাওলানা আইয়ূবীর অসংখ্য বয়ান থেকে বাছাই করে অতিগুরুত্বপূর্ণ ২১টি বয়ান ছোট শিরোনামে বিস্তারিতভাবে সংকলন করা হয়েছে গ্রন্থটিতে। বিষয়গুলো হলো- মানুষ একটি খনি, পবিত্রতা একটি মূল্যবান হাতিয়ার, মাতাপিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সুন্নতের রঙে রঙিন হওয়া, মুমিনের হৃদয়ে ভালোবাসার হকদার, ইসলামই একমাত্র মনোনীত ধর্ম, আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা ও তার বহিঃপ্রকাশ, আল্লাহর ভয় ও মৃত্যুর স্মরণ, তওবার গুরুত্ব ও উপকারিতা, ঈমানের গুরুত্ব, হালাল উপার্জন এবং হারাম বর্জন, আরশের ছায়াতলে যারা হবেন মেহমান, জীবন হোক ইবাদতে পরিপূর্ণ, আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব, ব্যক্তিজীবনে সুন্নতের গুরুত্ব, বিশ্বে মুসলমানের অধঃপতনের কারণ ও উত্তরণের উপায়, মুহররমের তাৎপর্য ও আশুরার শিক্ষা, নেক সান্নিধ্য গ্রহণের ফজিলত, সময়ের মূল্য, নবী কারিম (সা.)-এর মর্যাদা ও আল্লাহভীতি গোনাহ থেকে বাঁচার একমাত্র মাধ্যম।

৪৮০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে দেশের জনপ্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল আযহার। মূল্য ৯০০/- (নয় শত টাকা মাত্র)। 

শনিবার (১ জুন ) সকাল ৯টায় খুতুবাতে আইয়ূবীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। সাভারের আলমনগরে অবস্থিত মারকাযুত তারবিয়াহ মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য আলেম-উলামা, লেখক-সম্পাদক, ইসলামি স্কলার ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন।

আমাদের প্রত্যাশা, ‘খুতুবাতে আইয়ূবী’ এ দেশের মানুষকে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলামের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করবে যুগ-যুগান্তর।

;

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যাচ্ছে দেশের তৃতীয় বৃহৎ মসজিদ



ইবি প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে দুই দশমিক ২৫ হেক্টর জায়গাজুড়ে নির্মাণাধীন সুবিশাল মসজিদটি ক্যাম্পাসভিত্তিক সর্ববৃহৎ মসজিদ। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে এশিয়া মহাদেশের সুন্দরতম মসজিদগুলোর একটি হবে এটি এবং দেশের তৃতীয় বৃহৎ মসজিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের দিকে তাকালে যে কারও ভালোলাগা কাজ করবে। দূর থেকে দেখলে শুধু চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করবে এই ধর্মীয় স্থাপনাটির দিকে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এই মসজিদে একসঙ্গে ১৭ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানা গেছে।

সুবিশাল জায়গাজুড়ে বিস্তৃত চারতলা বিশিষ্ট বর্গাকৃতির মসজিদটি সিরামিক ও শ্বেতপাথরে নির্মিত হয়েছে। মসজিদের গায়ে সূর্যের আলোয় দিনের বেলায় উজ্জ্বল আভা ছড়িয়ে থাকে। সুউচ্চ গম্বুজ যেন মাথা উঁচু করে ক্যাম্পাসে তার আপন মহিমার প্রকাশ করছে। মসজিদটি দেখতে প্রতি শুক্রবার আশেপাশের এলাকা থেকে দর্শনার্থীদের আগমন চোখে পড়ার মতো।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরের আয়তন ৫১ হাজার বর্গফুট। চারতলা বিশিষ্ট মসজিদের মূল অংশে মোট ৭ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া মসজিদের সামনের অংশে আরও ১০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবে। মসজিদের সামনের অংশে ৯০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট গম্বুজের পাশাপাশি ছোট-বড় ১৪টি গম্বুজ রয়েছে।

মসজিদের চারপাশে চারটি মিনার নির্মাণ করা হবে। যার প্রতিটির উচ্চতা হবে ১৫০ ফুট। এ ছাড়া মসজিদের তিন পাশ দিয়েই প্রবেশপথ থাকবে। প্রতিটি প্রবেশপথে একটি করে গম্বুজ নির্মিত হবে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি অনুষদ ভবন থেকে মসজিদে আসার জন্য রয়েছে প্রশস্ত পথ।

কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজের পাশাপাশি আরও কিছু সহকার্যক্রম রয়েছে। যেমন- ইসলামি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামি ব্যাংক, কর্মচারীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য দোতলায় নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর থেকে জানা যায়, মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে শুরুর দিকে। প্রথম দিকে সরকারি অর্থায়নে কাজ শুরু হলেও পরে বিদেশ থেকে অনুদান আসে। তবে মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ভিন্ন খাতে ব্যয় করা হলে ও সঠিকভাবে কাজে না লাগানোর অভিযোগ উঠলে অর্থ ফেরত নেয় বিদেশি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে নির্মাণ কাজে বাঁধা সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে ২০০৪ সালে সরকারি অনুদানের ওপর ভিত্তি করে ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হলে তৎকালীন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসাইন শাহজাহান মসজিদটি উদ্বোধন করেন এবং নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। পরের ১৩ বছর আর কোনো নির্মাণ কাজ চলেনি। এর পর ২০১৭ সালে উপাচার্য রাশিদ আসকারীর সময় দুই ধাপে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কিছু সম্পন্ন হয়।

সাংবাদিকতা বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. তুষার বলেন, ক্যাম্পাসে আসার পর সবার আগে যে জিনিসটি চোখে পড়ছিলো সেটি হলো- কেন্দ্রীয় মসজিদ। প্রতি শুক্রবার এখানে এক উৎসবমুখর পরিবেশের জন্ম দেয়। হাজার হাজার মুসল্লির সঙ্গে একত্রে নামাজ আদায় করলে মনে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তবে মসজিদের বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি। আমার প্রত্যাশা থাকবে, দ্রুত মসজিদের কাজ সম্পন্ন করার।

অসমাপ্ত কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম শরীফ উদ্দীন বলেন, প্রকল্পটা আমাদের অনেক বড়। উপমহাদেশের বেশকিছু মসজিদের সঙ্গে এটি সম্পন্ন করা হবে। আর অনেক বড় প্রকল্প হওয়ার ঠিকমতো বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না, তাই দেরি হচ্ছে।

এ ছাড়া বরাদ্দ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কোনো বরাদ্দ আসছে কি না এই ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমি দায়িত্বে আসার পর দেখছি পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নেই হচ্ছে প্রকল্পটি। আর ডিজাইন যেটা করা হয়েছে সেটা সম্পন্ন হবে।

;