রমজান মাসে শিশু-কিশোররা যা করতে পারে



তাযকিরা খাতুন রিনি, অতিথি লেখক

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবারও হাজির হয়েছে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস রমজান। রমজানের রোজা বড়দের জন্য অবশ্য ফরজ তথা পালনীয় ইবাদত বিশেষ। এর পরও ছোটরা মহানন্দে রোজা রাখে। এমনকি ছোটদের মাঝে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে রোজা রাখা নিয়ে। তো আমাদের ছোট্ট বন্ধুরা রোজায় কি কি করতে পারে সেসব নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।

সওয়াব অর্জনের এক মহা সুযোগের মাস

বন্ধুরা! তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, রমজান হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে সওয়াব অর্জনের এক মহা সুযোগের মাস। এ মাসের নামাজ, রোজা, নফল ইবাদত, দান-খয়রাত, জাকাত-ফিতরা সবকিছুতে রয়েছে প্রচুর সওয়াব।

এই রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। নামাজের পরই এর স্থান। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও দৈহিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর ওপর রোজা ফরজ। রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘রোজা একান্তই আমার জন্য আর আমিই এর প্রতিদান দেবো।’

অন্যদিকে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাস ও সওয়াবের আশা নিয়ে রমজান মাসে দিনের বেলায় রোজা রাখবে এবং রাতের বেলায় ইবাদত-বন্দেগি করবে, তার অতীত জীবনের সব গোনহ মাফ করে দেওয়া হবে।’

/uploads/files/rkQeNaGuqpI5EAcVAdxj21k84aPezpUj8JPkEAiw.jpeg

ছোট্ট বন্ধুরা! রোজা সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লারে বাণী থেকে তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো যে, মুসলমানদের জীবনে রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। সুতরাং আমাদের সেভাবে চলতে হবে।

রোজা ইবাদতের দরজা

তোমাদের অবগতির জন্য বলছি, মানুষের আত্মশুদ্ধির জন্য আদিকাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মে রোজা পালনের প্রচলন ছিল। হজরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু হবে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের সময় পর্যন্ত পৃথিবীতে যতো নবী-রাসূল এসেছেন সবাই রোজা রাখতেন এবং তার অনুসারীদের তা রাখতে বলতেন। তবে ওইসব রোজার ধরণ ছিল আলাদা। মাসব্যাপী রোজার বিধান শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল থেকে শুরু হয়।

আমাদের নবী যে বছর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন তার পরের বছর অর্থাৎ দ্বিতীয় হিজরি থেকে রোজা ফরজ হয়। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিটি জিনিসেরই একটা দরজা আছে, আর ইবাদতের দরজা হলো- রোজা।’

রোজাদার কোনো খারাপ কথা বলবে না

বন্ধুরা! তোমরা সবাই জানো যে, রোজা রেখে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুই খাওয়া যাবে না। তবে শুধু উপোস থাকলেই চলবে না। রোজাদার কোনো খারাপ কথা বলবে না, পরনিন্দা করবে না, কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করবে না এমনকি মিথ্যা কথাও বলবে না।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও খারাপ কাজ পরিহার না করে শুধু পানাহার পরিত্যাগ করলো, তার রোজা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’

রোজাদারদের সব সময় মনে রাখতে হবে, রোজা রাখা এবং একইসঙ্গে খারাপ আচরণ করা আত্মাবিহীন দেহের মতো।

কিন্তু কেউ যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধাতে আসে তাহলে কি করতে হবে?এ অবস্থায় কী করতে হবে তা রাসূলে খোদার একটি বাণী থেকে জানা যায়। তিনি বলেছেন, ‘কেউ যদি কাউকে গালি দেয় অথবা ঝগড়া করে তাহলে সে যেন বলে আমি রোজাদার।’

/uploads/files/Ihg9A3NlqV5JlEcqXpFrP023uHF7v1RJRu0HlPj0.jpeg

যারা ছোটো তাদের রোজা না রাখলেও চলে। কিন্তু এ মাসে বেশি করে ভালো কাজ করতে হয়, বড়দের কথা শুনতে হয় এবং বেশি বেশি আল্লাহর কথা স্মরণ করতে হয়। আর তাহলেই আমাদের পাপমোচন হবে এবং রাইয়্যান নামের দরজা দিয়ে আমরা বেহেশতে যেতে পারবো।

আরও যেসব কাজ করতে পারো

বন্ধুরা, রমজান মাসে ঈমানকে মজবুত করার জন্য তোমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করতে পারো। যেমন, ইফতার তৈরি ও সাজিয়ে রাখা, কোনো মেহমান এলে তাকে ইফতার দেওয়া, বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশি এমনকি মসজিদে সমবেত মুসল্লিদের জন্য ইফতার পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তোমরা ভূমিকা রাখতে পারো।

আর হ্যাঁ, যারা এতিম কিংবা মিসকিন তাদেরকে ইফতার দিতে হবে সবার আগে। এসব করলে আমাদের ঈমান যেমন মজবুত হবে তেমনি পরিবার ও সমাজের সবাই খুশি হবে।

কোরআন তেলাওয়াত করা

তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, রমজান মাস পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। তাই রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াত করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। যারা কোরআন পড়তে পারো তারা এ মাসে সম্পূর্ণ কোরআন একবার হলেও খতম করার চেষ্টা করবে। আর যারা কোরআন পড়তে পারো না তারা এ মাসে কোরআন পড়া শিখতে পারো। মনে রাখবে, নফল ইবাদতগুলোর মধ্যে কোরআন তেলাওয়াত সবচেয়ে উত্তম ইবাদত।

   

মোগল আভিজাত্যের প্রতীক যে মসজিদ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মোগল আভিজাত্যের প্রতীক যে মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

মোগল আভিজাত্যের প্রতীক যে মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলার ইতিহাসে মোগল অধ্যায়ের এক উজ্জ্বল নাম শাহ সুজা। সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভাই শাহজাদা শাহ সুজা ছিলেন বাংলার সুবাদার। শাহ সুজা ১৬৩৯ থেকে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় রাজত্ব করেন। তার শাসনামলের শেষ দিকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন জনপদ কুমিল্লার গোমতী নদীর তীরে তারই নামে নির্মিত হয় ইতিহাসখ্যাত শাহ সুজা মসজিদ।

মসজিদটি পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর অন্যতম। আয়তনের দিক থেকে মসজিদটি খুব বেশি বড় না হলেও এর কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সার্বিক অবয়ব আভিজাত্যের প্রতীক বহন করে। এর বাহ্যিক কারুকাজ সে সময় এর প্রতিষ্ঠাতাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার প্রতি ব্যাপক আনুগত্য ও রুচির পরিচায়ক। মোগল আমলের ঐতিহ্য আর আভিজাত্যের প্রতীক কুমিল্লার (মোগলটুলী) শাহ সুজা মসজিদ যেন ইতিহাসের এক জ্বলন্ত প্রদীপ।

মসজিদটি কুমিল্লার অন্যতম স্থাপত্যশৈলী

ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘রাজমালা’য় ইতিহাসবিদ কৈলাস চন্দ্র সিংহ উল্লেখ করেন, ‘গোমতী নদীর তীরে কুমিল্লা নগরীর শাহ সুজা মসজিদ নামক একটি ইষ্টক নির্মিত বৃহৎ মসজিদ দৃষ্ট হয়ে থাকে। এ মসজিদ সম্পর্কে দু’ধরনের জনশ্রুতি আছে- প্রথমত, শাহ সুজা ত্রিপুরা রাজ্য জয় করে চিরস্মরণীয় হওয়ার জন্য এটি নির্মাণ করেন। দ্বিতীয়ত, ত্রিপুরার মহারাজা গোবিন্দ মাণিক্য বাংলার সুবাদারের নাম স্মরণীয় রাখার জন্য নিমচা তরবারি ও হিরকাঙ্গরীয়র বিনিময়ে বহু অর্থকড়ি ব্যয় করে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।’

যেভাবেই নির্মিত হোক না কেন, এটি কুমিল্লার অন্যতম স্থাপত্যশৈলী। মসজিদটি পড়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়রা জানায়, মসজিদটির দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ ও স্থাপত্যকর্ম দর্শনার্থী ও মুসল্লিদের মুগ্ধ করে। বিশেষ করে জুমাবার, শবেবরাত, শবেকদরসহ বিশেষ দিনগুলোতে এখানে মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমায়। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে নতুন নতুন মুসল্লি যুক্ত হয়। এই মসজিদ মোগলটুলী এলাকাকে ভিন্নভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়।

মসজিদটিতে ছয়টি মিনার আছে

মসজিদটিতে ছয়টি মিনার আছে। দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টকোণাকার বুরুজ আছে। এগুলো কার্নিসের বেশ ওপরে উঠে গেছে। এর শীর্ষে আছে ছোট গম্বুজ। মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ আছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড়। প্রবেশপথগুলোর উভয় পাশে ও ওপরে প্যানেল নকশা অলংকৃত। কিবলা প্রাচীরের পুরুত্ব ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি আর পূর্ব প্রাচীরের পুরুত্ব ৪ ফুট ২ ইঞ্চি। বারান্দার প্রস্থ ২৪ ফুট। এতে তিনটি মিহরাব রয়েছে। কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় এবং অধিক আকর্ষণীয়। একটি ফুল, খোদাই করা লতাপাতার নকশা ও জ্যামিতিক নকশায় সে যুগের মননশীলতা প্রকাশ পায়।

দুই পাশে খিলান দিয়ে মসজিদের অভ্যন্তর তিন ভাগে বিভক্ত। মাঝের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এ অংশের চার কোণে চারটি সরু মিনার কার্নিসের ওপরে উত্থিত। অষ্টকোণাকার ড্রাম আকৃতির ওপর নির্মিত তিনটি গোলাকার গম্বুজ দিয়ে মসজিদের ছাদ ঢাকা। মাঝের গম্বুজটি অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের শীর্ষেও একটি বড় গম্বুজ রয়েছে, যা একটি বিশাল ড্রাম আকৃতির কাঠামোর ওপর স্থাপিত। গম্বুজের ওপরে আছে পদ্ম ফুল ও কলসির নকশা। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টভুজাকৃতির মিনারও আছে।

শাহ সুজা মসজিদ একটি প্রাচীন স্থাপত্য। শুধু কুমিল্লা নয়, এটি সারা দেশের মধ্যে নান্দনিক একটি মসজিদ। কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ।

;

হজ না করার পরিণাম



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সামর্থ্য থাকার পরও হজ না করার পরিণাম খুব ভয়াবহ, ছবি: সংগৃহীত

সামর্থ্য থাকার পরও হজ না করার পরিণাম খুব ভয়াবহ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজ শারীরিক ও আর্থিক ফরজ ইবাদত। হজ আদায়ে সক্ষম ব্যক্তির ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা বায়তুল্লাহ পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এই গৃহের হজ করা ফরজ।’ -সুরা আলে ইমরান : ৯৭

হজ সব গোনাহ মুছে দেয়
বিভিন্ন হাদিসে হজের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন- হজ পূর্ববর্তী সব গোনাহ মুছে দেয়। এ প্রসঙ্গে হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বর্ণনায় হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ করে আর তাতে কোনোরূপ অশ্লীল ও অন্যায় আচরণ করে না, তার পূর্ববর্তী গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। -জামে তিরমিজি : ৮১১

অন্য বর্ণনায় হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গোনাহ থেকে বিরত থাকল, সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে, যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। -সহিহ বোখারি : ১৫২১

হজের প্রতিদান জান্নাত
হজে মাবরুরের প্রতিদান হলো জান্নাত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। -সনহিহ বোখারি : ১৭৭৩

সামর্থ্য থাকার পরও হজ আদায়ে বিলম্ব করা
যার ওপর হজ ফরজ হয়েছে সে যদি মৃত্যুর আগে যেকোনো বছর হজ আদায় করে, তবে তার ফরজ আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু হজের মৌলিক তাৎপর্য, যথার্থ দাবি ও আসল হুকুম হচ্ছে হজ ফরজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদায় করা। বিনা ওজরে বিলম্ব না করা।

কারণ যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ, অসুখবিসুখের সম্মুখীন হওয়া বা মৃত্যুর ডাক এসে যাওয়া তো অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ প্রসঙ্গে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফরজ হজ আদায়ে তোমরা বিলম্ব করো না। কারণ তোমাদের কারো জানা নেই তোমাদের পরবর্তী জীবনে কী ঘটবে।’ -মুসনাদ আহমদ : ২৮৬৭

হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি আমার বান্দার শরীরকে সুস্থ রাখলাম, তার রিজিক ও আয়-উপার্জনে প্রশস্ততা দান করলাম। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি সে আমার গৃহে হজের উদ্দেশ্যে আগমন না করে তবে সে হতভাগ্য, বঞ্চিত।’ -ইবনে হিব্বান : ৩৬৯৫

হজ না করার পরিণাম
সামর্থ্য থাকার পরও হজ না করার পরিণাম খুব ভয়াবহ। ফরজ হজ ত্যাগ করলে ইহুদি-নাসারার মতো মৃত্যু হবে বলে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ আদায়ে সামর্থ্য থাকার পরও তা আদায় না করে সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করুক বা খ্রিস্টান হয়ে- তার কোনো পরোয়া নেই।’ -জামে তিরমিজি : ৮১২

তাই শেষ জীবনের ভরসায় না থেকে হজ ফরজ হওয়া মাত্রই যত দ্রুত সম্ভব তা আদায় করা উচিত।

;

ইমান পাকা করার গল্প শোনালেন মোহাম্মদ আলীর নাতি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদের হারামে বিয়াজিও ওয়ালশ, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদের হারামে বিয়াজিও ওয়ালশ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা (বক্সার) মোহাম্মদ আলীর নাতি বিয়াজিও ওয়ালশ। তিনিও একজন প্রখ্যাত মিক্সড মার্শাল আর্টস (এমএমএ) যোদ্ধা। সম্প্রতি মক্কা-মদিনা সফর করেছেন তিনি। আল আরাবিয়া ইংরেজির কাছে বর্ণনা করেছেন উমরা পালনের ‘অবিশ্বাস্য’ অভিজ্ঞতা। তিনি বলেছেন, এই অভিজ্ঞতা কখনো ভুলতে পারবেন না!

গত এপ্রিলে মধ্যপ্রাচ্যে একটি ঝটিকা সফরের সময় ২৫ বছর বয়সী বিয়াজিও মক্কায় যাত্রাবিরতি দেন এবং প্রথমবারের মতো পবিত্র উমরা পালন করেন।

মক্কা যাওয়ার পথে বিয়াজিও ওয়ালশের গাড়িচালক তার জন্য একজন গাইড জোগাড় করেছেন। এই গাইডই তাদের উমরার পুরো সময়টা সঙ্গ দেন। তবে এই গাইড ইংরেজিতে খুব দুর্বল। এই গাইড আরবিতে উচ্চ স্বরে দোয়া করার সময় ওয়ালশ তাকে অনুসরণ করেন এবং কাবার চারপাশ প্রদক্ষিণ করেন।

এই অভিজ্ঞতা বর্ণনায় ওয়ালশ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যিনি ছিলেন তিনি আসলে ইংরেজি বলতে পারেননি। কিন্তু তিনি আমাদের যা বলছিলেন সব আবৃত্তি করতে বললেন। আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, আমি সত্যিই আরবি বলতে পারি না। কিন্তু তিনি যা বলছিলেন তার সবই আবৃত্তি করছিলাম।’

ওয়ালশ বলেন, ‘আমাদের দারুণ কৌশলে গাইড করা হয়েছে। লোকেরা আমাদের আবৃত্তিতে চমকিত হচ্ছিল। এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা যা আমি কখনই ভুলতে পারব না! আমি আশা করি, আমার পরিবার এটি অনুভব করতে পারবে।’

ওয়ালশ গত মার্চে আল আরাবিয়া ইংলিশকে বলেছিলেন, তিনি তার ইমান শক্ত করার একটি নতুন যাত্রায় ছিলেন। এবারের রমজান মাসে সবগুলো রোজাই করেছেন তিনি।

পবিত্র কাবার সামনে বিয়াজিও ওয়ালশ, ছবি: সংগৃহীত

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, উমরা ছিল তার জন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো এবং ইসলামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের একটি সুযোগ। ওয়ালশ বলেন, ‘আমরা এক জীবনে এটাই করি। আমরা আরও আল্লাহর প্রতি সচেতন হতে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে চাই।’

এই ক্রীড়াবিদ মনে করেন, আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে তার কথা বলা এবং ইসলাম গ্রহণ করায় লজ্জা না পাওয়া মুসলমানদের সম্পর্কে মানুষের ধারণায় পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে।

তার দাদা মোহাম্মদ আলীসহ অনেক ক্রীড়াবিদ আছেন, যারা মুসলিম হওয়া নিয়ে গর্ববোধ করতেন। তারা মুসলিম হওয়ার অর্থ কী সে প্রশ্নে একটি দুর্দান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন- যোগ করেন ওয়ালশ। এ সময় সাবেক রুশ মিক্সড মার্শাল আর্টিস্ট খাবিব আব্দুলমানাপোভিক নুরমাগোমেদভের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

গত এপ্রিলে ছিল সৌদি আরবে ওয়ালশের দ্বিতীয় সফর। গত ফেব্রুয়ারিতে কিংডম এরিনাতে অনুষ্ঠিত ডিএফএল চ্যাম্পিয়ন বনাম বেলেটর চ্যাম্পিয়নস ফাইট কার্ডের অংশ হিসেবে রিয়াদের এমএমএতে তরুণ পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে ওয়েলশের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

ওয়ালশ বলেন, তিনি সৌদি আরবের সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে, সুস্বাদু স্থানীয় খাবার চেখে দেখতে এবং নতুন নতুন মানুষের সাক্ষাৎ উপভোগ করছেন।

;

সিলেট থেকে ছেড়ে গেল প্রথম হজ ফ্লাইট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট-২ আসনের এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।

হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট-২ আসনের এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট থেকে মদিনায় হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট-২ আসনের এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (২২মে) বিকেল ৩টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনী ফ্লাইটে ৩৮৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানের বিজি-২৩৭ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে সিলেট ছেড়ে যায়।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ডিস্ট্রিক ম্যানেজার শাহনেওয়াজ মজুমদার।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ২৯ জন হজযাত্রী নিয়ে এসে ফ্লাইটটি সিলেটের ৩৬০ জনসহ মোট ৩৮৯ জন নিয়ে মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানিয়েছে, সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের জন্য এবার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫টি ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৯৫ হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রথম দিনের ফ্লাইট ছাড়া বাকিগুলো পরিচালিত হবে সিলেট-জেদ্দা রুটে। বাকি চারটি ফ্লাইটের শিডিউল হচ্ছে আগামী ১, ৩, ৬ ও ৯ জুন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থানীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দিন চৌধুরী এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

;