অ্যাকুরিয়ামে মাছ ও খাঁচায় পাখি পোষা যাবে কী?

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যাকুরিয়ামে মাছ ও খাঁচায় পাখি পোষা যাবে কী, ছবি: সংগৃহীত

অ্যাকুরিয়ামে মাছ ও খাঁচায় পাখি পোষা যাবে কী, ছবি: সংগৃহীত

সৌর্ন্দয্য বর্ধন ও শখের বশে বাসা কিংবা অফিসে অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন, খাঁচায় পাখি পোষা ইসলামি শরিয়তে নিষেধ নয়।

কেননা, সৌখিনতা ও নান্দনিকতার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বৈধ প্রাণী পালন সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত। তবে সেসবের প্রয়োজনীয় পরিচর্যা প্রয়োজন। যেমন নিয়মিত খাবার দেওয়া, পানি বদলে দেওয়া, রোদ কিংবা তাপে তারা যেন কষ্ট না পায়, সেটা নিশ্চিত করা।

বিজ্ঞাপন

হাদিসে এসেছে, সাহাজি হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রিয় ছিল আমার এক ভাই, তার নাম আবু উমায়ের। আমার মনে আছে, সে যখন এমন শিশু যে মায়ের বুকের দুধ ছেড়েছে মাত্র। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তার কাছে আসতেন এবং বলতেন, হে আবু উমায়ের! কি করেছে তোমার নুগায়ের? নুগায়ের হলো- এমন একটি ছোট পাখি, যার সঙ্গে আবু উমায়ের খেলা করতো। নুগায়ের মারা গিয়েছিলো। নবী করিম (সা.) তাকে নুগায়েরের জন্য চিন্তিত দেখলেন এবং তার সঙ্গে খেলা করলেন। -সহিহ বোখারি: ৬২০৩

অনেক ইসলামি স্কলার বলেছেন, বরং যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান, পরিচর্যা ও যত্ন নিতে পারলে সওয়াবেরও সম্ভাবনা আছে। কারণ, হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, সাহাবায়ে কেরাম হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! জীবজন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ; প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার আছে। -সহিহ বোখারি: ২৩৬৩

বিজ্ঞাপন

আর যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান, পরিচর্যা ও যত্ন না নিতে পারলে এসব পালন ও পোষা জায়েজ হবে না।

এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সে মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে মহিলা তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে। -সহিহ বোখারি: ২৩৬৫