ইজতেমায় কোন জেলার মুসল্লি কোথায় থাকবেন

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইজতেমায় কোন জেলার মুসল্লি কোথায় থাকবেন, ছবি: সংগৃহীত

ইজতেমায় কোন জেলার মুসল্লি কোথায় থাকবেন, ছবি: সংগৃহীত

আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা। তবে মঙ্গলবার থেকেই দূর-দুরান্তের তাবলিগি সাথীরা ইজতেমার ময়দানে আসা শুরু করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ইজতেমায় লোক সমাগম অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হবে। কারণ, তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ আলাদা আলাদ ইজেতমা করছেন। নিজ নিজ পক্ষের অনুসারী ও সাথীরা সারাদেশ থেকে একযোগে ইজতেমায় অংশ নেবেন, সঙ্গত কারণেই লোক সমাগম বেশি হবে।

এ কারণে এবার ইজতেমা মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে নতুন ১৪টি খিত্তা যুক্ত করার মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে মাঠের পরিধি। এদিকে আগত মুসল্লিদের তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছে ইজতেমা আয়োজক কমিটি ও পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

কোন খিত্তায় কোন জেলার মুসল্লি অবস্থান করবেন
১০ জানুয়ারি শুরু হওয়া মাওলানা সাদবিরোধী আলমি শুরাপন্থিদের ইজতেমায় আগত তাবলিগি সাথীরা যে সব খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হলো- গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), ঢাকা (খিত্তা-৫-১৯ ও ২৪, ২৫, ২৭, ২৮, ২৯, ৩২), রাজশাহী (খিত্তা-২০), নওগাঁ (খিত্তা-২১), নাটোর (খিত্তা-২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা-২৩), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা-২৬), টাঙ্গাইল (খিত্তা-৩০)।

নড়াইল (খিত্তা-৩১), রংপুর (খিত্তা-৩৩), নীলফামারী (খিত্তা-৩৪), কুড়িগ্রাম (খিত্তা-৩৫), লালমনিরহাট (খিত্তা-৩৬), গাইবান্ধা (খিত্তা-৩৭), মুন্সিগঞ্জ (খিত্তা-৩৮), মাগুরা (খিত্তা-৩৯), ঝিনাইদহ (খিত্তা-৪০), বগুড়া (খিত্তা-৪১), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা-৪২), ফরিদপুর (খিত্তা-৪৩), যশোর (খিত্তা-৪৪), সাতক্ষীরা (খিত্তা-৪৫), বাগেরহাট (খিত্তা-৪৬), নরসিংদী (খিত্তা-৪৭), ভোলা (খিত্তা-৪৮), জামালপুর (খিত্তা-৪৯), ময়মনসিংহ (খিত্তা-৫০, ৫১), মেহেরপুর (খিত্তা-৫২), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা-৫৩), নেত্রকোনা (খিত্তা-৫৪), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-৫৫), গোপালগঞ্জ (খিত্তা-৫৬), বরিশাল (খিত্তা-৫৭), রাজবাড়ি (খিত্তা-৫৮), শেরপুর (খিত্তা-৫৯), শরীয়তপুর (খিত্তা-৬০)।

বিজ্ঞাপন

মাদারীপুর (খিত্তা-৬১), সিলেট (খিত্তা-৬২), কক্সবাজার (খিত্তা-৬৩), রাঙমাটি (খিত্তা-৬৪), খাগড়াছড়ি (খিত্তা-৬৫), বান্দরবান (খিত্তা-৬৬), ফেনী (খিত্তা-৬৭), নোয়াখালী (খিত্তা-৬৮), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা-৬৯), চাঁদপুর (খিত্তা-৭০), বি.বাড়ীয়া (খিত্তা-৭১), খুলনা (খিত্তা-৭২), পটুয়াখালী (খিত্তা-৭৩), বরগুনা (খিত্তা-৭৪), চট্টগ্রাম (খিত্তা-৭৫), কুমিল্লা (খিত্তা-৭৬), পিরোজপুর (খিত্তা-৭৭), ঝালকাঠি (খিত্তা-৭৮), সুনামগঞ্জ (খিত্তা-৭৯), হবিগঞ্জ (খিত্তা-৮০), মৌলভীবাজার (খিত্তা-৮১), পাবনা (খিত্তা-৮২), ঠাকুরগাঁও (খিত্তা-৮৩), পঞ্চগড় (খিত্তা-৮৪), দিনাজপুর (খিত্তা-৮৫), জয়পুরহাট (খিত্তা-৮৬), কুষ্টিয়া (খিত্তা-৮৭)।

তাছাড়া রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরের খিত্তাগুলোর অবস্থান তুরাগ নদের পশ্চিমপাড়ে।

অন্যদিকে ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯১, ৯২ ও ১৫ (খ) নম্বর খিত্তাগুলো সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সাল থেকে টঙ্গীতে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১০ সাল পর্যন্ত ইজতেমা তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হতো। পরে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সাল থেকে দুই দফায় অনুষ্ঠিত হতো ইজতেমার আয়োজন। কিন্তু তাবলিগের মুরব্বিদের বিরোধের কারণে ২০১৯ সাল থেকে দুই পক্ষ পৃথক তারিখে আয়োজন করতে শুরু করে। তার ধারাবাহিকতায় এবারও দুই পক্ষ পৃথক তারিখে ইজমেতার আয়োজন করছে।