ইজতেমার মাঠে কে কখন বয়ান করবেন
![বিশ্ব ইজতেমার ময়দান, ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2020/Jan/09/1578574346104.jpg)
বিশ্ব ইজতেমার ময়দান, ছবি: বার্তা২৪.কম
বিশ্ব ইজতেমার ময়দান থেকে: টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। রোববার (১২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত চলবে ধারাবাহিক আমল ও হেদায়েতের বয়ান।
বিশ্ব ইজতেমার তিন দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে ইজতেমার ময়দানে বিশ্ব তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিদের মাশওয়ারা (বিশেষ পরামর্শ সভা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাশওয়ারায় আলমি শুরার সদস্য ছাড়া কাকরাইল ও রায়বেন্ডের মুরব্বিদের পাশাপাশি শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিভিন্ন দেশের মারকাজের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিরেন। ওই পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইজতেমার তিন দিন কোন কোন আমল হবে, কে কখন, কোন বিষয়ে বয়ান করবেন। বার্তা২৪.কমকে তাবলিগের একাধিক দায়িত্বশীল এই সিডিউলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্ধান্ত মতে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাদ ফজর কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা রবিউল হক, জোহরের নামাজের পর কাকরাইলের মাওলানা আবদুল মতিন ও আসরের নামাজের পর পাকিস্তান রায়বেন্ডের মুরব্বি মাওলানা ফাহিম খান বয়ান করেছেন। বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আলমি শুরার সদস্য ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা বয়ান করবেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ান করবেন রায়বেন্ডের মুরব্বি মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ, জুমার পর বয়ান করবেন শেখ ইউনুস আলী তিউনিসি, আসরের নামাজের পর বয়ান করবেন রায়বেন্ডের শায়খ মাওলানা ইহসানুল হক, বাদ মাগরিব আলমি শুরার সদস্য ও তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা আহমদ লাট। বিদেশি খিত্তায় বয়ান ইংরেজিতে অনুবাদ করবেন ডক্টর সানাউল্লাহ খান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বয়ান করবেন আলিগড়ের ডক্টর ফারাহিম। বিশেষ বয়ান বেঙ্গালুরের ভাই মো. ফারুক।
শুক্রবার ইজতেমার ময়দানে দেশের বৃহৎ জুমার নামাজের ইমামতি করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মো. জুবায়ের। তিনি জুমাপূর্ব বয়ানও করবেন সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বাদ ফজর মুম্বাই মারকাজের মুরব্বি মাওলানা আবদুর রহমান উপস্থিত সাথীদের উদ্দেশ্যে আম বয়ান করবেন। পরে আলেম-উলামাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বয়ান করবেন মাওলানা ইবরাহীম দেওলা, আরবের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বয়ান মাওলানা আকবর শরীফ, জোহরের পর মাওলানা ঈসমাইল গোধরা, বাদ আসর শায়খ মাওলানা জোহায়রুল হাসান, বাদ মাগরিব মাওলানা ইবরাহীম দেওলা। এদিন মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাঠে বিশেষ বয়ান করবেন মাওলানা আহমদ লাট।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বাদ ফজর হেদায়েতি বয়ান করবেন মাওলানা জিয়াউল হক, আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ বয়ান মাওলানা ইবরাহীম দেওলা। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা মো. জোবায়ের। সিদ্ধান্ত মতে সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করা হবে।
এদিকে ইজতেমার মাঠে এবার বধিরদের জন্য আলাদা খিত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে জন্য প্রত্যেক খিত্তার সাথীদের তাদের জামাতের সঙ্গে আসা বধির সাথীদের ওই খিত্তায় পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। বধির খিত্তা নদীর পশ্চিম পাশে হাসপাতালের দক্ষিণে মসজিদের নিকট।