স্মরণকালের বৃহৎ জুমা ইজতেমা মাঠে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্মরণকালের বৃহৎ জুমা ইজতেমা মাঠে

স্মরণকালের বৃহৎ জুমা ইজতেমা মাঠে

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে: স্মরণকালের বৃহৎ জুমা নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হলো ইজতেমা মাঠে। লাখ লাখ মানুষ এই জুমার জামাতে অংশ নেন। জুমার নামাজের ইমামতি ও জুমাপূর্ব খুতবা দেন আলমি শুরার সদস্য ও কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের।

দুপুর পৌনে দুইটায় জুমার জামাত শুরু হয়, শেষ হয় ২টা ৫২ মিনিটে। মাঠের জুমার জামাতের কাতার যেমন মাঠ ছাড়িয়ে রাস্তায় এসে পৌঁছেছে। তেমনি স্থানীয় মসজিদগুলোও ছিলো মুসল্লিদের দ্বারা পরিপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

জুমার নামাজ শেষে ইজতেমায় আগত এক মুসল্লির জানাজার নামাজও অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত মুসল্লিরা শৃঙ্খলার সঙ্গে জানাজার নামাজেও শরিক হন।

জুমার নামাজের ইমামতি ও জুমাপূর্ব খুতবা দেন আলমি শুরার সদস্য ও কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর উপকণ্ঠ টঙ্গীর তুরাগপাড়ে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা, গাজীপুর ও ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকার মুসল্লিরা সকাল থেকেই জড়ো হন। ময়দান অভিমুখে হাতে জায়নামাজ ও টুপি মাথায় মুসল্লিদের জনস্রোত দেখা যায়। লোকের ভিড়ের ময়দানের আশপাশের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, আবদুল্লাহপুর-কামারপাড়া সড়কসহ ইজতেমা ময়দানের চারপাশের রাস্তায় কাতার বেঁধে মুসল্লিরা জুমার জামাতে শরিক হন।

বিজ্ঞাপন
মাঠের জুমার জামাতের কাতার যেমন মাঠ ছাড়িয়ে রাস্তায় এসে পৌঁছেছে

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমা শুরুর কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার বাদ আসর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা। এবারের ইজতেমায় অন্য বছরের তুলনায় ১৭টি খিত্তা বাড়ানো হয়। তার পরও আগত মুসল্লিদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যে অনেকে ইজতেমার ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। ইজতেমার মূল প্যান্ডেলে জায়গা না পেয়ে অনেকে রাত কাটিয়েছেন রাস্তা, ফুটপাত ও খোলা আকাশের নিচে। অনেকে আবার নদীর পাড় ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার মাঠে অস্থায়ী তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। অন্য বছরের তুলনায় এবার লোক সমাগম অনেক বেশি। তাদের বয়ান শোনার সুবিধার্থে রাস্তায় মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে

 অন্য বছরের তুলনায় এবার লোক সমাগম অনেক বেশি। তাদের বয়ান শোনার সুবিধার্থে রাস্তায় মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে

শুক্রবার ফজরের নামসাজের পর আম বয়ান করেন রায়বেন্ডের মুরব্বি মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ। এর পর সকাল দশটায় স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষক এবং অন্য পেশাজীবীদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান হয়।

জুমার নামাজের পর মাঠে আম বয়ান করবেন শেখ ইউনুস আলী তিউনিসি। আর আসরের নামাজের পর বয়ান করবেন রায়বেন্ডের শায়খ মাওলানা ইহসানুল হক, বাদ মাগরিব আলমি শুরার সদস্য ও তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন।