আজানের পর ঘরে নামাজের আহ্বান মুয়াজ্জিনের



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যথাসময়ে আজান হচ্ছে সব মসজিদেই। কিন্তু আজানের পর পরই মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, ঘরে নামাজ আদায়ের জন্য।

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সব ধরনের ধর্মীয় গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারির পর আসরের নামাজের সময় থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদের মাইক থেকে মুসল্লিদের মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামাজ পড়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

মসজিদের জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের যেতে বারণ করা হলেও যথানিয়মে আজান অব্যাহত রয়েছে এবং সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের অংশগ্রহণে জামাত চালু রয়েছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জনসমাগম এড়াতে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে সব ধরনের ধর্মীয় গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে। নির্দেশনায় মুসল্লিদের মসজিদ না গিয়ে ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অংশগ্রহণে মসজিদে আজান ও জামাত অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।

নির্দেশনা জারির পর অনেক এলাকায় মাইকিং করে বিষয়টি জনগণকে জানানো হয়।

ঘরে নামাজ আদায়ের সরকারি সিদ্ধান্তকে যথার্থ ও সঠিক বলে তা মেনে চলার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন আল্লামা আহমদ শফী। তিনি এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। অন্য আলেমরাও সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মুসল্লিদেরও এ বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। অনেকে এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন।

ইসলামি ফাউন্ডেশনের বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক শীর্ষস্থানীয় আলেম বার্তা২৪.কম-এর কাছে বলেন, তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত দিলেও সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে এমন মতও দিয়েছিলেন। মসজিদে জামাত সীমিত রাখার ব্যাখ্যায় অনেকে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও স্বল্পসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে জামাত চালু রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিষয়গুলো ওইভাবে প্রচার না হওয়ায় মানুষ জানতে পারেনি।

একাধিক মুফতির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলা ইসলাম সমর্থন করে। আর মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া সুন্নতে মোয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। আর জামাত চালু রাখা ফরজে কেফায়া, পরিবর্তিত অবস্থায় যেহেতু মসজিদে জামাত চালু থাকছে, তাতে কারও কোনো গোনাহ হবে না।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদ বন্ধের জন্য মনে কষ্ট না পেয়ে তার মাঝে অনেককে সান্তনা খুঁজতেও দেখা গেছে। ওই হাদিসে বলা হয়েছে, ‘কিয়ামতের কঠিন দিবসে সাত ব্যক্তি আরশের নিচে ছায়া পাবে। তাদের অন্যতম হচ্ছে- যার অন্তর আল্লাহর ঘর মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকবে।’

সরকারি নির্দেশে মসজিদে জামাত দেখে যাদের চোখের জলে বুক ভাসছে, ইনশাআল্লাহ- কাল কিয়ামত দিবসে তারা আরশের নিচে ছায়া পাবেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় সৌদি আরবের প্রধান দুই মসজিদ ছাড়া সকল মসজিদে জামাত বন্ধ রয়েছে। কুয়েত, আবু ধাবী, মালয়েশিয়া, মরক্কো ও তুরস্কসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশেও মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে উমরা বন্ধ রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মসজিদ বিষয়ে সরকারের আদেশ স‌ঠিক ও যথার্থ: আল্লামা শফী


আরও পড়ুন: মসজিদে না যেয়ে ঘরেই ইবাদত পালনের নির্দেশ


 

তৃতীয় দফায় বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দফা সময় বাড়িয়েও আশানুরূপ সাড়া না মেলায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত আরও ৯ দিন সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার বিকালে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের মঙ্গলবার বিকালের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ২৪২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও কোটার অর্ধেকের বেশি খালি রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

পবিত্র শবে বরাত আজ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র শবে বরাত আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ)। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবে।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন।

শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিনগত রাত) লাইলাতুল বরাত বা শবে পালিত হয়। শবে বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

;

পবিত্র শবে বরাত মঙ্গলবার



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র শবে বরাত মঙ্গলবার (৭ মার্চ)। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবে।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন।

শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিনগত রাত) লাইলাতুল বরাত বা শবে পালিত হয়। শবে বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

;

হজ হেল্পলাইন ১৬১৩৬, চালু হবে ১২ মার্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১২ মার্চ থেকে চালু হচ্ছে হজ হেল্পলাইন ১৬১৩৬।

হজ ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ‘হজ কল সেন্টারভিত্তিক’ শর্ট কোড চালু করছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

গত ২ মার্চ এক পরিপত্রে জানানো হয়, বর্তমানে হজ হেল্পলাইন ১৬১৩৬ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। আগামী ১২ মার্চ থেকে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে হজযাত্রী নিবন্ধন। দু-দফা বাড়ানোর পর নিবন্ধনের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ মার্চ।

সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;