মিসরে এবার জ্বলেনি রমজানের ঐতিহ্যবাহী লণ্ঠন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এসব লণ্ঠনে পবিত্র কোরআনের আয়াত ও বিভিন্ন বাণী লেখা থাকে, ছবি: সংগৃহীত

এসব লণ্ঠনে পবিত্র কোরআনের আয়াত ও বিভিন্ন বাণী লেখা থাকে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মিসর ও ফিলিস্তিনসহ আশপাশের দেশের লোকেরা লণ্ঠন জ্বালিয়ে রমজানকে স্বাগত জানান। এটা তাদের ঐতিহ্য বিশেষ। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে এসেছে এ ঐতিহ্য। বিভিন্ন আয়তন এবং আকারের লন্ঠন দেখা যায়। এসবে পবিত্র কোরআনের আয়াত, বিভিন্ন বাণী লেখা থাকে। লণ্ঠনগুলো আকর্ষণীয় রঙে সাজানো হয়।

রোজা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় এসব দেশের চিত্র। বিশেষ করে মিসরের। রোজা উপলক্ষে বন্ধ থাকে নাইট ক্লাব, বার, প্রকাশ্যে পানাহার ও ধূমপান। নির্বিঘ্নে ইবাদত-বন্দেগির জন্য পরিবর্তন আসে অফিসের সময় সূচিতেও। থাকে বিভিন্ন ভোজ্য পণ্যে ছাড়। আর ক্রয়অক্ষম মানুষের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে দেওয়া হয় ‘গিফট বক্স’। যাতে থাকে আটা, চিনি, চাল, পাস্তা, তেল, দুধ ও খেজুরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

রমজান শুরুর আগে বিভিন্ন মসজিদে, ব্যস্ততম সড়কের পাশে বড় বড় তাঁবু স্থাপন করা হয়। এসব তাঁবুতে শত শত মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা হয় ইফতারের। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ইফতার করানো মিসরীয়দের ঐতিহ্য। রোজাদারের আতিথেয়তায় নিজেদের উজাড় করে দেন মিসরীয়রা। হজরত মুসা (আ.), হজরত হারুন (আ.) ও হজরত ইউসূফ (আ.)-এর স্মৃতি বিজড়িত মিসরে কামানের গোলার শব্দে শুরু করা হয় ইফতার।

এক ফিলিন্তিনি নারী রাস্তার পাশে লণ্ঠনের পসরা নিয়ে বসে আছেন, ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু চলতি রমজানে এসবের কোনো কিছুই নেই। নেই কামানের গোলার আওয়াজ, লণ্ঠনের আলো, রাস্তার পাশের তাঁবু। সব কিছু কেড়ে নিয়েছে করোনা মহামারির প্রকোপ। চলছে দেশটিতে লকডাউন। তার পরও কিছু কিছু বাড়ির সামনে লন্ঠন দেখা গেছে। তবে এর পরিমাণ খুব বেশি নয়।

আল জাজিরাকে মিসরের রমজান ঐতিহ্য নিয়ে এভাবেই বলছিলেন আবদেল ফাতেহ। তার মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। রোজার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার সামর্থ্য রয়েছে খুব কম মানুষেরই। যদিও রমজান উপলক্ষ্যে লকডাউন কিছুটা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে মিসর সরকার। আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ঘটে মিসরেই।

আবদেলের প্রত্যাশা, সময় দ্রুত বদলাবে, আবারও আমরা পুরোনো ঐতিহ্যমতে উৎসবমূখর পরিবেশ পালন করবো রমজান।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মিসরে ফাতেমি খেলাফতের সময়, ৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে পবিত্র রমজান মাসকে স্বাগত জানানোর জন্য রমজানের বাতি, লণ্ঠন বা ফানুস প্রজ্বলিত করার প্রচলন ঘটে। লণ্ঠন দিয়ে এভাবে রমজানকে স্বাগত জানানোর রীতি আর কোথাও চোখে পড়ে না।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিসরের েএক নারী লণ্ঠন কিনতে এসেছেন, ছবি: সংগৃহীত

মিসরে রমজানের সময় রাস্তাঘাট, দোকানপাট রঙিন ফানুস দিয়ে সাজানো হয়। রমজানকে স্বাগত জানানো হয় রঙিন ফানুস, লণ্ঠন ও রঙিন আলো জ্বালিয়ে। বিদ্যুৎ আসার আগে কেরোসিনের বাতি জ্বালানো হতো। শত বছর আগে অবশ্য গ্যাসের লণ্ঠনের ব্যবহার শুরু হয়।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মিসরীয়রা প্রথম রমজানের ফানুস ব্যবহার করেছিল ৩৫৮ হিজরির (২৪ জুলাই ৯৬৮) ৫ রমজান তারিখে। ওই দিন ফাতেমি খলিফা আল মুয়িজ রাতে কায়রো প্রবেশ করেন। স্থানীয়রা বাতি, মোমবাতি এই সব নিয়ে তাকে স্বাগতম জানায়। যাতে বাতাসের বেগে নিভে না যায় সে জন্য মোমবাতিকে কাঠের ফ্রেমে রেখে কয়েকটি দিক বন্ধ করে দেয় পামপাতা ও চামড়ার টুকরা দিয়ে। সেই থেকে ফানুসের প্রচলন শুরু।

পরে অবশ্য ফাতেমি শাসনের একসময় আইন জারি করা হয়- দোকানপাট এবং ঘরবাড়ির সামনের স্থান, দোকান বা বাড়ির মালিক পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং রাতের বেলা রাস্তায় আলোর জন্য লণ্ঠন জ্বালিয়ে রাখবেন। এরপর, খলিফা আল হাকিম (৯৯৬-১০২১) আইন করেন, নারীরা রাতের বেলা ঘরের বাইরে বের হবেন না। যদি কোনো প্রয়োজন হয়, তবে বাড়ির কেউ যেন লণ্ঠন নিয়ে সঙ্গে থাকে। যেসব বাড়ির বাইরে লণ্ঠন জ্বালানো থাকত না, তাদের জরিমানা করা হতো। এর ফলে লণ্ঠন ব্যবসা রাতারাতি তুঙ্গে ওঠে, নানা সাইজের, রঙের ও কারুকাজের লণ্ঠন বাজারে বের হয়। রঙিন লণ্ঠন এখনও মিসরীয় সমাজে সমাদৃত এবং বৈঠক ঘরের শোভাবর্ধনের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়।

দোকানে রাখা লণ্ঠন, ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন রকমের লণ্ঠন মিসরে পাওয়া যায়। রমজানে ও ঈদের সময় ঘর সাজাতে সব ধরনের ফানুস লোকজন পছন্দ করেন। যেমন- ‘ফানুস মোরাব্বা’র চারটি পাশ রয়েছে। যেমন- ইদেল ( সোজা), মাহরুত (বাঁকানো), আবু লোজ (বাদামের মতো), আবু ইরক (শাখার মতো) ইত্যাদি। তা ছাড়া আবু বিলাদ (পুরুষ লণ্ঠন), মোসাদ্দাস (ছয় কোণা), আবু নেগমা (তারার মতো), শাক্কিত আল বাতরিক (চাঁদের মতো) লণ্ঠনও খুবই জনপ্রিয়।

রমজানের আরও নামকরা কিছু লণ্ঠন হলো- আবু হেজাব, আবু দালিয়া, তাইয়ারা ও সারুক। সব লণ্ঠনের সেরা লণ্ঠন ‘আবু বিলাদ।’ এটা বেশ বড়। সাথে চার কোণায় চারটি ছোট ছোট লণ্ঠন ঝোলানো থাকে। এ ধরনের লণ্ঠন দিয়ে দোকান সাজানোর কাজ হয়। এর তৈরি ও ডিজাইন চলে সারা বছর। লণ্ঠন সাধারণত তাহত আল রাব, আল ঘুরিয়া, বিরকিত আল ফিল এলাকায় প্রচুর মজুদ করা হয় এবং রমজানের আগে পাইকারিভাবে বিক্রি হয়।

হাতে ঝুলিয়ে নেওয়ার লণ্ঠন ফাতেমি আমলে (দশম-১২তম শতক) খুব জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে যে আকার ও প্রকারে লণ্ঠন চালু আছে, তা ১৯ শতকের শুরুতে চালু হয়। লণ্ঠন তৈরির কারিগররা মূলত আল দারাব আল আহমার এবং বিরকিত আল ফিল এলাকায় বেশি বসবাস করেন।

ভিন্ন ডিজাইনের লণ্ঠন, ছবি: সংগৃহীত

অধুনা চীনা লণ্ঠনে বাজার ভরপুর। ব্যবসায়ীরা সস্তায় নানা রঙের চীনা ফানুস বাজারে ছাড়েন। চীনা লণ্ঠন মিসরের বাজারে প্রবেশ করেছে প্রায় ১০ বছর আগে। এগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চীনা ফানুসগুলোতে ফেরাউন, পিরামিড ও প্রাচীন মিসরের দেবদেবীর প্রতিকৃতি বেশি স্থান পেত। এসব রমজানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাই ধর্মভীরু মুসলমানরা এ ধরনের ফানুস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন। এমতাবস্থায় সরকার মিসরীয় ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখা এবং স্থানীয় বাজারকে রক্ষা করার জন্য চীনা ফানুস আমদানি বন্ধ করে দেন।

বর্তমানে বিভিন্ন আয়োজনে বিভিন্ন রকমের লণ্ঠন ব্যবহৃত হচ্ছে। মিসরীয় সংসদে ১৯৩০ সালে যে ধরনের আলোর ব্যবস্থা করা হয়, সেই রকমের লণ্ঠন তৈরি করে বিভিন্ন সমাবেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। জন্মদিন উদযাপনের জন্য ‘ফারুক ফানুস’ নামে বিশেষ লণ্ঠন প্রচলিত। কথিত আছে, জন্মদিনের প্রসাদ সাজানোর জন্য অতীতের রাজা ফারুক এ ধরনের ৫০০ লণ্ঠন ব্যবহার করেছিলেন।

এক ফিলিস্তিনি ককশিট দিয়ে লণ্ঠন বানিয়ে রাস্তা সাজাচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

লণ্ঠনের অবয়ব খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তিত হচ্ছে। আগে টিনের একটি ক্যানের মতো ছিল দেখতে। এর ভেতর থাকত মোমবাতি। এরপর টিনের পরিবর্তে কাচ ব্যবহার শুরু হয়। এরপর কাচে ফাঁপানো অংশ সৃষ্টি করে বাতাস ঢোকানো হয়, নানা রঙ ব্যবহার করে বর্ণিল করা হয়। কোনো কোনো লণ্ঠনে আরবি ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। লণ্ঠনের নানা রঙের আলো, চোখ ধাঁধাঁনো রঙ, আলোর ঝলকে ঝকমক করে ওঠে। মানুষ মোহিত হয়ে লণ্ঠনের মিছিলের দিকে তাকিয়ে থাকে।

   

রিজিক বৃদ্ধির ৪ আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুমিন মাত্রই বিশ্বাস করেন যে, তার আয়-উপার্জন, জীবন-মৃত্যু এবং সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য ইত্যাদি র্নিধারণ হয়ে যায়; যখন তিনি মায়ের উদরে থাকেন। আর এসব তিনি লাভ করেন তার জন্য বরাদ্দ উপায়-উপকরণগুলোর মাধ্যমে। তাই আমাদের কর্তব্য হলো- হাত গুটিয়ে বসে না থেকে এর জন্য র্নিধারিত উপায়-উপকরণ সংগ্রহে চেষ্টা করা। যেমন চাষাবাদ, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিল্প-চারু, চাকরি-বাকরি বা অন্য কিছু।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে প্রান্তরে বিচরণ করো এবং তার রিজিক থেকে তোমরা আহার করো। আর তার নিকটই পুনরুত্থান।’ -সুরা আল মুলক : ১৫

কোরআন-হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির বিভিন্ন আমল ও উপায়ের কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখান থেকে ৪টি আমলের কথা উল্লেখ করা হলো-

তওবা-ইস্তেগফার : তওবা-ইস্তিগফার করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বাড়ে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আমি তাদের বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে উন্নতি দান করবেন এবং তোমাদের বাগবাগিচা এবং নদীনালা দান করবেন।’ -সুরা নুহ : ১০-১২

হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাগাতার তওবা-ইস্তেগফার করবে; আল্লাহতায়ালা সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন; সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ -সুনানে আবু দাউদ : ১৫১৮

পরহেজগারি অবলম্বন এবং আল্লার ওপর ভরসা : যেসব আমলে রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে, তার মধ্যে তাকওয়া-পরহেজগারি অবলম্বন এবং তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা অন্যতম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যার কল্পনাও সে করতে পারবে না।’ -সুরা সাদ : ৩৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথার্থভাবে ভরসা রাখো। তিনি তোমাদের সেভাবে রিজিক দান করবেন, যেভাবে তিনি পাখিদের দান করে থাকেন। পাখিরা সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় (খালি পেটে) বাসা থেকে বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে বাসায় ফেরে।’ -জামে তিরমিজি : ২৩৪৪

সময়মতো নামাজ আদায় এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করা : সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে। নামাজ আদায় করার ফাঁকে ফাঁকে কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করতে হবে; কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করার ফাঁকে ফাঁকে নামাজ নয়। একই সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত পালনে নিজেকে ঝামেলামুক্ত করতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আপনি পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের আদেশ দিন এবং নিজেও তার ওপর অটল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই আপনাকে রিজিক দিই। আর মুত্তাকিদের জন্যই শুভ পরিণাম।’ -সুরা ত্বহা : ১৩২

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি তোমার অন্তরকে খালি করো। আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত হিসেবে পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার দরিদ্র্যের পথ দূর করে দেব। আর যদি তা না করো, আমি তোমার হাত (দুনিয়ার) ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেবো এবং তোমার অভাব মেটাব না।’ -জামে তিরমিজি : ২৪৬৬

রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে (জমিনে) ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ -সুরা জুমা : ১০

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রশি নিয়ে সকালবেলা পাহাড়ের দিকে বের হয়। এরপর লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং দানও করে। মানুষের কাছে হাত পাতার চেয়ে তার জন্য এটা উত্তম।’ -সহিহ বোখারি : ১৪৮০

;

গরমে মুমিনের আমল



মুফতি উমর ফারুক আশিকী
গরমে পশুপাখির প্রতি সদয় আচরণ কাম্য, ছবি : সংগৃহীত

গরমে পশুপাখির প্রতি সদয় আচরণ কাম্য, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলছে। আল্লাহতায়ালা তখন তাকে দুইটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো।’ -সহিহ বোখারি : ৩২৬০

মুমিন বান্দারা দয়াময় আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী হয়ে গ্রীষ্মের এই গরম সময়ে অফুরন্ত সওয়াব লাভের জন্য বেশ কিছু আমল করতে পারেন। আশা করা যায়, মহান আল্লাহর দয়ায় পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে- ইনশাআল্লাহ।

তওবা করা : মানুষের পাপের কারণে মানুষের ওপর নানা ধরনের বিপদাপদ আসে, তাই প্রতিকূল অবস্থাকে অনুকূলে আনতে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করার কোনো বিকল্প নেই।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘আর বলেছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা।’ -সুরা নুহ : ১০-১২

ইবাদতে গাফিলতি না করা : গরমের কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে গাফিলতি না করা। কারণ জাহান্নামের আগুন দুনিয়ার গরমের চেয়ে বহুগুণে উত্তপ্ত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘পেছনে থাকা লোকগুলো আল্লাহর রাসুলের বিপক্ষে বসে থাকতে পেরে খুশি হলো। আর তারা অপছন্দ করল তাদের মাল ও জান নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করতে এবং তারা বলল, ‘তোমরা গরমের মধ্যে বের হয়ো না।’ বলো, জাহান্নামের আগুন অধিকতর গরম, যদি তারা বুঝত।’ -সুরা তওবা : ৮১

পিপাসার্তকে পানি পান করানো : হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত সাদ ইবনে উবাদা (রা.) বলেন, (এক দিন) আমি (নবীজিকে) বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন সদকা উত্তম? তিনি বলেন, পানি পান করানো। -সুনানে নাসায়ি : ৩৬৬৫

চলমান গরমের সময় শহরেরে বিভিন্ন স্থানে পথচারীদের জন্য ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা রাখা হয় বিভিন্ন অফিস, দাতব্য সংগঠন কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ, সওয়াবের কাজ।

কেউ পানি চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে নিষেধ করেছেন নবী কারিম (সা.)। ইরশাদ হয়েছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এমন কী জিনিস আছে, যা কেউ চাইলে না দিয়ে তাকে বিদায় দেওয়াটা ঠিক নয়?

তিনি বলেন, পানি, লবণ ও আগুন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই পানি সম্পর্কে তো আমরা জানি, কিন্তু লবণ ও আগুনের ব্যাপারে কেন বাধা দেওয়া যাবে না? তিনি বলেন, হে হুমায়রা! যে ব্যক্তি আগুন দান করল, সে যেন ওই আগুন দিয়ে রান্না করা যাবতীয় খাদ্যই দান করল।
যে ব্যক্তি লবণ দান করল, ওই লবণে খাদ্য যতটা সুস্বাদু হলো তা সবই যেন সে দান করল। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে এমন স্থানে পানি পান করালো, যেখানে তা সহজলভ্য, সে যেন একটি গোলামকে দাসত্বমুক্ত করল এবং যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে এমন স্থানে পানি পান করালো, যেখানে তা দুষ্প্রাপ্য, সে যেন তাকে জীবন দান করল। -সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪৭৪

অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানো : তীব্র গরমে অনেক সময় মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। বয়োবৃদ্ধরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাইরে যেতে পারেন না, তখন তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে সদকার সওয়াব মেলে।

হজরত আবু জার (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ, স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথ থেকে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। -জামে তিরমিজি : ১৯৫৬

পশুপাখির প্রতি সদয় হওয়া : গরমে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিও কষ্টে পড়ে। তাই মানুষের উচিত তাদের পশুপাখির প্রতি সদয় হওয়া।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়; সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল, কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। বর্ণনাকারী বলেন, পানির পিপাসা কুকুরটাকে মুমূর্ষ করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে ওড়নার সঙ্গে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হতে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো), এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো। -সহিহ বোখারি : ৩৩২১

গরমের কারণে দুনিয়ার এই হাহাকার পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে, মহান রবের সন্তুষ্টি পেতে বর্ণিত আমলগুলো বেশি বেশি করা জরুরি।

 

;

আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।

তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি। আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, আপনারা সকলেই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন তাহলে আপনারা হজের নিয়ম-কানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতা- সবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা। হজ অনেক পরিশ্রমসাধ্য ইবাদত, এর জন্য শারীরিক সামর্থ্য থাকা বাঞ্চনীয়। অনেকেরই সেই শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। যার কারণে তাদের পক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।

তিনি বলেন, অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জমানো সঞ্চয় দিয়েই হজব্রত পালন করতে যান। এদেশের অধিকাংশ মানুষেরই দ্বিতীয় বার হজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। সে কারণে আপনার পরিশ্রম ও অর্থ যেন বিফলে না যায় সেজন্য অবশ্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)’র নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে হজ সম্পাদন করতে হবে। সহী ও শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে হবে।

ফরিদুল হক খান বলেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় শুধু একজন হজযাত্রী নয়, আপনার পরিচয়-আপনি একজন বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পাবে।

তিনি সৌদি আরবের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনে কোনরূপ বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে যত্নবান থাকার আহ্বান জানান।

এছাড়া, কারো জন্য দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মান যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য হজযাত্রীদেরকে অনুরোধ জানান তিনি।

ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জরুল হক ও ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

প্রশিক্ষণে সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ঢাকার হজযাত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন।

;

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আশঙ্কা এজেন্সি মালিকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিছু ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং মক্কা হজ মিশনের কিছু কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ এপ্রিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ১ শাখা থেকে সৌদি সরকারের একটি চিঠির বরাতে জানানো হয়- আগামী ২৯ এপ্রিল হজ যাত্রীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ হয়ে যাবে।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে আবশ্যিকভাবে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। এজেন্সীর অবহেলার কারণে হজযাত্রীদের হজে গমন অনিশ্চিত হলে সে এজেন্সীর বিরুদ্ধে হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, গত ১০ ফ্রেব্রুয়ারি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে জানানো হয়, সৌদি সরকারের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের আবাসন, ক্যাটারিং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল প্রকার অনলাইন চুক্তি (সার্ভিস কোম্পানি, পরিবহান, ইত্যাদি) সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এখনো অনেক এজেন্সির ৮০ শতাংশ কার্যক্রম বাকি।

এমন অবস্থায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এবং সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে হজ এজেন্সি মালিকেরা অনুরোধ করেন।

এছাড়াও কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেন তারা। সেগুলো হলো- দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল হাজির মিনার জোন নির্ধারণ করে ই হজ সিস্টেম আপডেট করতে হবে। ফাইনাল ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা ও সকল এজেন্সির হজযাত্রী অনুপাতে টিকেট নিশ্চিত করতে হবে। মোয়াজ্জেমদের জন্য বারকোড ভিসার বিষয়টি নিশ্চিত করা। যাদের সৌদি একাউন্টে এখনো রিয়াল জমা হয়নি তাদের একাউন্টে দ্রুত রিয়াল জমার ব্যবস্থা করা।

তারা বলেন, বর্তমানে সৌদি একাউন্টে টাকা ঢুকতে দেড় মাস সময় লাগে। যদি কারো একাউন্টে ১ পয়সাও কম থাকে তাহলে তার হজে যাওয়া সম্ভব হবে না। এবং বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন চার্জ একবারে হিসাব করে পাঠানো অনেকটা অসম্ভব। এছাড়া যাদের এখনো মেননজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা হয়নি তাদের জন্য দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও ভিসা ইস্যু কার্যক্রম অন্যান্য বছরের মতো সর্বশেষ ফ্লাইটের এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত চালু রাখার দাবি জানান তারা। আরও বলেন, অতীতে দেখা গেছে অনেকে হজ করতে যাওয়ার ইচ্ছে করলেও সকল প্রস্তুতির পর মারা গেছেন। আবার কেউ মারাত্মক রোগাক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে যেতে পারেন না। তাই সেই হজযাত্রীর পরিবর্তে তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে জমাকৃত টাকা গচ্চা যেতো না। বর্তমানে যে অবস্থা আছে তাতে ভিসা ইস্যু এতো আগে বন্ধ হয়ে গেলে অহেতুক প্রচুর টাকা সৌদি আরবে চলে যাবে। এতে দেশের ক্ষতি হবে। যদি বিষয়টি সৌদি সরকারকে বুঝাতে আমরা সক্ষম হই তাহলে আমাদের বিশ্বাস সৌদি সরকার বাস্তবতা বুঝে অবশ্যই বিবেচনা করবেন।

;