ডা. সাবরিনা-আরিফের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী

ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী

করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও অনিয়মের অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে মামলার বাদী কামাল হোসেন সাক্ষ্য প্রদান করেন। কিন্তু সাক্ষীর জেরা শেষ না হওয়ায় বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

বিজ্ঞাপন

গত ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে এ আটজনই কারাগারে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগপত্রে আরিফ ও সাবরিনাকে মূল হোতা উল্লেখ করে অন্যদের বিরুদ্ধেই জালিয়াতি ও প্রতারণায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তদন্তে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে।

১২ জুলাই দুপুর ১টার দিকে ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করার চুক্তি করেছিল জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা (জেকেজি হেলথকেয়ার) । বাসা থেকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকার বিনিময়ে তারা নমুনা সংগ্রহ করছিলেন এবং ভুয়া প্রতিবেদন দিচ্ছিলেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা নিয়ে দেশে তোলপাড় চলছে। এই প্রতারণার মূলহোতা জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। এ প্রতারণায় আরিফের অন্যতম সহযোগী হলেন তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা।

জালিয়াতির খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে ডা. সাবরিনা জেকেজির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন। এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন।