মধ্যরাতে মাদ্রাসার কম্পিউটার উধাও, থানায় চুরির অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
মধ্যরাতে মাদ্রাসার ২০টি কম্পিউটার উধাও, থানায় চুরির অভিযোগ

মধ্যরাতে মাদ্রাসার ২০টি কম্পিউটার উধাও, থানায় চুরির অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগে কাদরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ল্যাব থেকে তালা ভেঙে ২০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টায় সেনবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ড।

এর আগে, সকাল ৭টায় কাদরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নাইটগার্ড আবুল হোসেনের (৭০), চুরির ঘটনাটি টের পেয়ে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অবহিত করে। খবর পেয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহ এমরান ও সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

কাদরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপারিনটেন্ড ও স্থানীয় বাসিন্দা ইমাম উদ্দিন জানান, স্থানীয় মাদকাসক্ত বখাটে কতিপয় যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের তৎপরতা থাকলে চুরি যাওয়া কম্পিউটার উদ্ধার করা যাবে।

কাদরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেন্ড মো.হানিফ জানান, চুরির ঘটনার মাদরাসার পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়ে গেল।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পেসিক প্রকল্পের অধীনে মাদ্রাসায় ২১টি কম্পিউটার সেট বরাদ্ধ দেয় সরকার। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে একটি কম্পিউটার অফিসে ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ল্যাবে থাকা ২০টি কম্পিউটার সেটই চুরি হয়ে যায়।

সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগের আলোকে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।

   

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ দিন ধার্য করেন। এদিন আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা পূর্বশর্তে জামিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ মামলাটি বদলির আদেশ দেন।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুমোদিত চার্জশিটে আসামি ছিল ১৩ জন। নতুন করে একজন আসামি যুক্ত হয়েছে। তিনি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান।

গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে মোট ৩ কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে ৩ কোটি ও সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই অনুসন্ধান শুরু।

অভিযোগগুলো ছিল, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। এছাড়া কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।

;

দুর্নীতি মামলায় ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে অহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য বা ভিত্তিহীন তথ্য দাখিল এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৬শ ৪৯ টাকার সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত ৯ জানুয়ারি অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় দুদক। মঙ্গলবার মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি অহিদুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

;

চার মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সোহেল, কারামুক্তিতে বাধা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার পৃথক তিন মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।

সোহেলের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, চার মামলায় সোহেল জামিন পেলেও কারামুক্তি পেতে আরও তিন মামলায় তাকে জামিন পেতে হবে। আশা করি খুব শিগগিরই তিনি কারামুক্তি হতে পারবেন।

;

মনজিল হত্যা: সৎমা-ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন রাষ্ট্রপক্ষ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সৎমা-ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন রাষ্ট্রপক্ষ

সৎমা-ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন রাষ্ট্রপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ও লেভেল পড়ুয়া একেএম মনজিল হক হত্যা মামলায় সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও ভাই একেএম ইয়াসিন হকসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান। তিনি যুক্তিতর্কে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন।

এরপর আসামিদের পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন তাদের আইনজীবীরা। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৭ মে পরবর্তী যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলাটিতে ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও সীমান্ত হোসেন তাকবীর। মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসামিদের মধ্যে ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে। সীমান্ত হোসেন তাকবীর জামিনের। অপর তিন আসামি শুরু থেকে পলাতক রয়েছে।

২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন ও লেভেল পড়ুয়া মনজিল হক (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে সম্পত্তির লোভে মনজিলকে সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন।

;