মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধলা মাঠের একটি পাট ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত এক নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, মরদেহের হাত-পা বাঁধা ছিল। আর মরদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পোষাক দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি নারী। কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
গাংনী থানার পরিদর্শক তদন্ত সাজেদুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের পরে জানান, রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের কৃষক বেল্টু মিয়া আজ দুপুরের দিকে ক্ষেতে গিয়ে লাশের গন্ধ পায়। পরে মাঠের কৃষকদের সাথে নিয়ে মরদেহের সন্ধান পায়। গলিত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাল-জালিয়াতি, চুরি ও মারধরের অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা এ আদেশ দেন।
এর আগে, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার সাব ইন্সপেক্টর মাইনুল ইসলাম খান পুলক তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পরের দিন ১৪ আগস্ট তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরপর কয়েক দফা রিমান্ড শেষে পুনরায় (৩০ অক্টোবর) ভোট চুরির ঘটনায় দায়ের করা শাহবাগ থানার মামলায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে অডিটোরিয়াম থেকে আইনজীবীদের বের করে দেয়া হয় । এরপর নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে জাল ও ভুয়া ব্যালট তৈরি করে ভোট দিয়ে ১৪ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪০ জনের নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা করেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য এবি এম ইব্রাহীম খলীল। এ মামলায় আনিসুল হক এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।
বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টায় হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পরে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তাকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমানের আদালত।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা করতে জাতীয় পার্টি সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী সরকারের তারা মদত দিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ ব্যবসায় ও ট্রেন্ডারবাজি করে বিপুল অর্থ কামিয়েছেন এই সাবেক সংসদ সদস্য।
তবে তার পক্ষের আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ দাবি করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বীর বাঘৈর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা রয়েছে, ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ২০০৮ সালে বরিশাল-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন গোলাম কিবরিয়া টিপু। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার আগরপুর এলাকায়।
১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ৩ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালতের এই আদেশ দেন।
অব্যাহতি পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন, আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে ইকরামুজ্জামান এবং স্টার সিরামিকসের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।
এদিন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার তাদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত।
এদিন সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দুবাইয়ে ১৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৩ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় ফালুসহ ৩ জনের নামে বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফালু ও অন্য ৩ ব্যবসায়ী আরএকে সিরামিকস ও রাখেন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির এমডি এস এ কে একরামুজ্জামান, স্টার সিরামিকস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান এবং পরিচালক ম. আমির হোসাইন দুবাইতে ২০১০ সালে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রাই স্টার লিমিটেড ও ডেভেলপমেন্ট ইইউই নামে ৩টি প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে দেশটি থেকে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাচার করেন।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার চার সন্তানের বাবা দিনমজুর জামাল মিয়াকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এতে মা হারা অসহায় চার শিশু সন্তান ফিরে পেল তাদের বাবাকে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফিরোজ মামুন এ জামিন দেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ‘রাজনৈতিক মামলায়’ বাবা জেলে, মা-হারা ৪ শিশুর জীবন অনিশ্চিত’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এক মাস আগে জমজ সন্তান জন্মের পর মারা যান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম। মায়ের মৃত্যুর পর তাদের বাবা জামাল মিয়া তার ৪ সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে দেখাশোনা করতেন। তবে হত্যা মামলায় দিনমজুর জামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। ফলে তিন বোনকে নিয়ে দিশাহারা শিশু সাজ্জাদ। অভিভাবক না থাকায় পড়ালেখাও বন্ধ হতে চলেছে সাজ্জাদ ও তার বোনের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামাল মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর। একমাস আগে তার স্ত্রী সাথী বেগম যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এর ছয়দিন পর সাথী বেগম মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সদ্য জন্ম নেওয়া দুগ্ধপোষ্য দুই কন্যাসহ চার ছেলে মেয়ে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জামাল মিয়া। ঘরে অসুস্থ মা ও চার শিশু সন্তানের লালন-পালন করে দিন কাটছিল তার।
এ অবস্থায় ৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া বলেন, আমার ভাই বর্তমানে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নয়। একসময় আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পুলিশ কী কারণে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠিয়েছে জানা নেই।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন জামাল মিয়া। সে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা দিদার হত্যা ঘটনায় জড়িত। সেজন্য তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।