নোয়াখালীর চাটখিলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফাতেমা আক্তার শিউলি (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এই মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি।

বুধবার (২৬ মে) সকাল ১১টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ ৩ সন্তানের জননী। তিনি  উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের কড়িহাটি গ্রামের কমর উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ির তাজুল ইসলামের স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০ টার দিকে নিহতের স্বামী তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় গৃহবধূ কয়েক ঘণ্টা  আগেই মারা গেছে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহতের স্বামী তাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করত বলে জানা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে এই তারিখ ঠিক করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

;

আশ্রমে আরও ৪৫টা বাচ্চা আছে, ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে: আদালতে মিল্টন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে আরও ৪৫টা বাচ্চা রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার আদালতকে বললেন, সেই বাচ্চাগুলো ডিবিকে নিয়ে যেতে বলেন।

রোববার (৫ মে) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালতে মিরপুর মডেল থানায় করা মানব পাচার আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে একথা বলেন মিল্টন।

মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শিকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, যার কেউ নাই, অনাথ, অর্ধঅঙ্গ, ক্ষুধার্ত মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে আশ্রয় দেন মিল্টন সমাদ্দার। ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাকিব নামে এক ব্যক্তি এক শিশুকে নিয়ে আসেন। পরে মিল্টন তাকে রিসিভ করেন। ২০২০, ২১, ২২, ২৩ সালেও ডিবি ছিলো। বরিশালের ভাষায় একটা কথা আছে, শাপে কামড় দিলে, পিঁপড়া, উল্লার বিষও জমা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, রাকিবকে ডিবির প্রভাব খাটিয়ে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু রাকিবের কাছে বাচ্চাকে আনতে যাইনি। বরং রাকিবই আমার কাছে এসেছে বাচ্চাটাকে নিয়ে। খাওয়া, পড়া, চিকিৎসা, মানবিক সাহায্য যা করার করেছি। তখন তিনি কোথায় ছিলেন। বাংলাদেশে আরেকজন মাদার তেরেসা হলে তিনি হতেন মিল্টন সমাদ্দার।

যে বাচ্চাকে নিয়ে মামলা করা হয়েছে সেই বাচ্চা আশ্রমের বাবুর্চির কাছে বড় হচ্ছে বলে জানান এ আইনজীবী। কিন্তু তিন বছর ৭ মাস পর মিডিয়ার ঝলকে মামলা। বউয়ের দোষ ধরা হলে পায়ে পায়ে ধরা যায়। মিল্টন এখন সেই পর্যায়ে গেছে।

এসময় বিচারকে উদ্দেশ করে কাঠগড়ায় থাকা মিল্টন বলেন, আরও ৪৫টা বাচ্চা আছে। ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে।

গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

পরিবেশ রক্ষায় গাছকাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট মো, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও এডভোকেট রিপন বাড়ৈই জনস্বার্থে হাইকোর্টে এই রিটটি করেছেন।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রিটটি শুনানি হতে পারে বলে জানান রিটের পক্ষে আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। ফলে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে- যা বন্ধ না হলে দেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

;

মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবপাচার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, মিরপুর থানার মানবপাচার মামলায় বহুল আলোচিত সমালোচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় গত ২ মে মিল্টনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০টি মৃত সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার নামে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা, ওয়ারিশবিহীন ব্যক্তি, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান না করে তাদের মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছেন।

জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলাসহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;