মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহিত দিয়ে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নারাজি আবেদন করেছেন মুনিয়ার বোন, মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে তিনি এই নারাজি আবেদন দাখিল করে অন্য কেনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের আবেদন করেছেন।

এদিন রাজেশ চৌধুরীর আদালতে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন শুনানিতে বলেন, মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। মুনিয়া-আনভীরের বিভিন্ন অডিও ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হয়েছে। তদন্তে মুনিয়ার পরিবার ন্যায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই অন্য কোনো তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত না করা হলে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ন্যায় থেকে বঞ্চিত হবে।

এদিকে মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া আদালতকে বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, ভুক্তভোগীকে হত্যা এবং ধর্ষণ সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে তিনি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেবেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে- সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি তাকে।

গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাবহিত দিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মোশারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সেই রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।

   

গাছ লাগানো-কাটা বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাছ লাগানো ও কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি না করা এবং তাবদাহ ও তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ মে) এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি করেন এডভোকেট তানভীর আহমেদ।

এডভোকেট তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কুষ্টিয়া জেলা এলাকায় সামাজিক বনায়নের আওতায় কয়েক হাজার গাছ কাটা এবং তাপদাহ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি আনা হয়। গাছ লাগানো ও কাটা নিয়ে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিটটি দায়ের করা হয়।

এই আইনজীবী বলেন, কুষ্টিয়ায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ বছর আগে কয়েক হাজার গাছ লাগানো হয়। সেই গাছগুলোর মধ্যে গত বছর ১০ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়। সম্প্রতি আরও ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের নজরে আসে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে গাছ লাগানো ও কাটা নিয়ে কোনরূপ নীতিমালা নেই। এ বিষয়ে ফিনল্যান্ডের উদাহরণ টেনে আইনজীবী বলেন, সেখানে একটি গাছ কাটা হলে তিনটি গাছ লাগানোর নিয়ম রয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনে আগামী ৫ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আপাতত এই আসনে নির্বাচন হচ্ছে না।

এর আগে, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়।পরে উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. নায়েব আলী জোয়ারদার‌। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

;

মেনশন নয়, সিরিয়াল অনুযায়ী মামলার শুনানি: প্রধান বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুনানি আপগ্রেডেশনের কোন মেনশন নেওয়া হবে না। আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে মামলার সিরিয়াল অনুযায়ী শুনানি করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এছাড়া সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, এমনটা প্রত্যাশা করেন তিনি।

সোমবার (৬ মে) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শতাধিক আইনজীবী মেনশন করে তাদের মামলা আপগ্রেডেশন করার জন্য আবেদন জানাতে থাকলে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এদিন অন্যান্য দিনের মতো প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় শতাধিক আইনজীবী তাদের মামলার শুনানি আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন জানাতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি মামলা আপগ্রেডেশন করার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর মতামত জানতে চান। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ১ হাজার ৮০০ এর বেশি মামলা আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটা পাগলামি না?

তখন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ছোট ছোট মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে চলে আসে। এগুলো যদি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হতো তাহলে আপিলে এতো মামলা হতো না।

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনি যে মামলাগুলোর কথা বলছেন তার বেশিরভাগই হেরোইনসহ মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা। এ কারণে আমাদের আপিলে আসতে হয়।

এ পর্যায়ে সিনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, এমনটা আশা করি। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে সিরিয়াল অনুযায়ী মামলা শুনানি করা হবে, কোনও মেনশন নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

;

টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে ভারতে আইনি লড়াইয়ে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব বাংলাদেশের রাখার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে সরকার।

সোমবার (৬ মে) শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়ে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। তালিকায় সারাদেশের প্রায় ১৫০ টি পণ্যের উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, ভৌগোলিক শনাক্তকরণ (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনের উপযোগী পণ্যের পৃথক দুটি তালিকা প্রস্তুত করে ১৯ মার্চের মধ্যে আদালতে জমা দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তালিকা প্রণয়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

;